কাশ্মীর নিয়ে রাষ্ট্রপুঞ্জের উদ্বেগ!
কাশ্মীরের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকার কমিশন (UNHRC)। তবে ভারতের পক্ষ থেকে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, এই অভিযোগ ভিত্তিহীন এবং বাস্তবতার সঙ্গে সম্পর্কহীন।
বিশ্বের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে সোমবার বক্তব্য রাখেন UNHRC-র প্রধান ভল্কার তুর্ক। তিনি দাবি করেন, কাশ্মীরে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে এবং সেখানকার কর্মীদের হেনস্থার শিকার হতে হচ্ছে। এ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন তিনি। তবে রাষ্ট্রপুঞ্জে ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি অরিন্দম বাগচী এই মন্তব্যকে একেবারেই অপ্রতিষ্ঠিত ও অযৌক্তিক বলে উড়িয়ে দিয়েছেন।
🔴 রাষ্ট্রপুঞ্জের অভিযোগ কী?
👉 রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকার কমিশনের প্রধান ভল্কার তুর্ক দাবি করেছেন,
- কাশ্মীরে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটছে।
- সেখানকার মানবাধিকার কর্মীরা হেনস্থার শিকার হচ্ছেন।
- ভারত সরকারকে আলোচনার মাধ্যমে মণিপুরের হিংসা বন্ধে আরও সক্রিয় হতে হবে।
জেনেভায় রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকার কাউন্সিলের ৫৮তম সাধারণ সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
🔵 ভারতের কড়া জবাব
রাষ্ট্রপুঞ্জের বক্তব্যের কড়া বিরোধিতা করে ভারতের প্রতিনিধি অরিন্দম বাগচী বলেন,
💬 “ভারত বিশ্বের সবচেয়ে বড় গণতন্ত্র। এখানে স্বাধীনতা, বহুত্ববাদ এবং মানবাধিকার সুরক্ষিত রয়েছে। এই ধরনের ভিত্তিহীন অভিযোগ বাস্তব সত্যের সঙ্গে মেলে না।”
তিনি আরও বলেন,
✔️ কাশ্মীরে শান্তি এবং উন্নয়ন হচ্ছে।
✔️ নির্বাচন হচ্ছে গণতান্ত্রিকভাবে, ভোটদানের হারও বাড়ছে।
✔️ পর্যটন এবং অর্থনৈতিক বিকাশের দিক থেকেও জম্মু-কাশ্মীর এগিয়ে চলেছে।
অরিন্দম বলেন, ভারতীয় সমাজের বৈচিত্র ও মুক্তচিন্তার প্রকৃত মূল্যায়ন করা দরকার।
🧐 পাকিস্তানকে নিয়ে চুপ কেন রাষ্ট্রপুঞ্জ?
বিশ্বজুড়ে মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে বক্তব্য রাখতে গিয়ে রাষ্ট্রপুঞ্জের প্রধান ইউক্রেন, গাজা, আমেরিকা, বাংলাদেশ, আফগানিস্তানের প্রসঙ্গ টানেন।
❌ কিন্তু আশ্চর্যের বিষয়, তিনি পাকিস্তানের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে একটিও শব্দ বলেননি!
অরিন্দম বাগচী প্রশ্ন তোলেন, “পাকিস্তানের সংখ্যালঘুদের নিপীড়ন নিয়ে রাষ্ট্রপুঞ্জ কেন চুপ? সেখানে মানবাধিকার লঙ্ঘন কি নজরে আসে না?”
🔎 কাশ্মীরের বাস্তব চিত্র কী?
ভারত জানিয়ে দিয়েছে, কাশ্মীরে স্বাভাবিক পরিস্থিতি বজায় রয়েছে এবং সেখানে অবাধে উন্নয়নমূলক কাজ চলছে।
🔹 সাম্প্রতিক স্থানীয় নির্বাচনে ভোটদানের হার বেড়েছে।
🔹 পর্যটন শিল্পে ব্যাপক উন্নতি হয়েছে, ২০২৪ সালে রেকর্ড সংখ্যক পর্যটক জম্মু-কাশ্মীর ভ্রমণ করেছেন।
🔹 নতুন অবকাঠামো এবং কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হচ্ছে।
⚖️ তাহলে আসল সত্য কী?
👉 রাষ্ট্রপুঞ্জের বক্তব্য নিয়ে বিশেষজ্ঞদের একাংশ মনে করছেন,
✔️ কাশ্মীর নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে ভারতকে চাপে রাখতেই এই ধরনের বিবৃতি দেওয়া হচ্ছে।
✔️ ভারতে উন্নয়ন ও স্থিতিশীলতা বজায় থাকলেও, কিছু পক্ষ চায় বিষয়টিকে বিতর্কিত করে তুলতে।
✔️ ভারতের তরফে স্পষ্ট জানানো হয়েছে, দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বিদেশি হস্তক্ষেপ কাম্য নয়।
🔚 উপসংহার
কাশ্মীর নিয়ে রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকার কমিশনের উদ্বেগকে ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছে ভারত। দেশটির মতে, কাশ্মীর শান্তিপূর্ণভাবেই এগিয়ে চলেছে এবং সেখানে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ মিথ্যা।
🔥 ভারতের বার্তা স্পষ্ট:
👉 “আমরা আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বাইরের কারও অযাচিত মন্তব্য মেনে নেব না!”
‘প্যাক-ফ্যাক’ থেকে ‘আমার আইপ্যাক’— কেন বদলে গেল মমতার অবস্থান?