আদালতের দারস্থ অসহায় বাবা!
মেয়ের কি ফাঁসি হয়ে গেছে, নাকি এখনো বেঁচে আছে? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতেই দিল্লি হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন উত্তরপ্রদেশের বান্দা জেলার বাসিন্দা সাবির খান। তাঁর মেয়ে শাহজ়াদি সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে (UAE) মৃত্যুদণ্ডের সাজা পেয়েছেন। কিন্তু ভারত সরকারের কাছে বারবার অনুরোধ করেও মেয়ে সম্পর্কে সঠিক তথ্য পাননি তিনি।
সোমবার দিল্লি হাই কোর্টে এই মামলার শুনানি হতে পারে বলে আশা করছেন সাবির।
🔍 কী ঘটেছিল শাহজ়াদির সঙ্গে?
📌 ২০২১ সালে শাহজ়াদিকে পাচার করে আবু ধাবিতে নিয়ে যাওয়া হয় বলে পরিবারের অভিযোগ।
📌 তিনি এক দম্পতির চার মাসের শিশুর দেখাশোনার কাজ করতেন।
📌 হঠাৎই শিশুটির মৃত্যু হয় এবং তাঁর বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ আনা হয়।
📌 পরে আবু ধাবির আদালত তাঁকে মৃত্যুদণ্ড দেয়।
শাহজ়াদির পরিবারের দাবি, তাঁকে পর্যাপ্ত আইনি সহায়তা দেওয়া হয়নি। এমনকি জোর করে দোষ স্বীকার করতে বাধ্য করা হয়েছে বলেও অভিযোগ।
⚖️ বাবা কেন আদালতের দ্বারস্থ হলেন?
সাবির খান জানিয়েছেন, তিনি বিদেশ মন্ত্রণালয় ও ভারতীয় দূতাবাসের কাছে বারবার আবেদন করেছেন, কিন্তু কোনো নির্দিষ্ট তথ্য পাননি।
📌 ২১ ফেব্রুয়ারি তিনি জানতে চান, মেয়ে এখনো বেঁচে আছে নাকি ফাঁসি কার্যকর হয়ে গেছে?
📌 কোনো সদুত্তর না পাওয়ায় তিনি দিল্লি হাই কোর্টে মামলা করেন।
পরিবারের আশঙ্কা, মেয়ের ফাঁসি হয়ে গিয়েছে, অথচ সরকার সেটি জানাচ্ছে না!
🛑 ভারত সরকারের ভূমিকা কী?
ভারত সরকার শাহজ়াদির জন্য ‘রিভিউ পিটিশন’ দাখিল করেছে।
📌 ১৮ ফেব্রুয়ারি ভারতীয় দূতাবাস জানায়, শাহজ়াদির ফাঁসির বিষয়টি এখনো বিবেচনাধীন।
📌 ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি পর্যন্ত তিনি আবু ধাবির আল ওয়াথবা জেলে বন্দি ছিলেন।
📌 ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিষয়টি নিয়ে UAE সরকারের সঙ্গে আলোচনা করছে।
তবে সাবির খানের অভিযোগ, সরকার যথেষ্ট উদ্যোগ নিচ্ছে না।
🇦🇪 শাহজ়াদির কি এখনো বাঁচার সম্ভাবনা আছে?
📌 মৃত্যুদণ্ডের বিরুদ্ধে আপিল করার সুযোগ রয়েছে।
📌 ভারত সরকারের পক্ষ থেকে ক্ষমার আবেদন করা যেতে পারে।
📌 UAE সরকার যদি মানবিক কারণে সাজা লঘু করে, তবে তাঁর প্রাণ বাঁচতে পারে।
তবে এই প্রক্রিয়ায় সময় লাগবে, এবং সরকারের উদ্যোগ ও কূটনৈতিক আলোচনার ওপর নির্ভর করবে শাহজ়াদির ভবিষ্যৎ।
🕊️ বাবা-মায়ের আকুতি: ‘আমাদের মেয়েকে ফিরিয়ে দিন’
শাহজ়াদির বাবা-মা অসহায়। তাঁরা সরকারের কাছে অনুরোধ করছেন, যেন তাঁদের মেয়েকে বাঁচানোর জন্য শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত লড়াই করা হয়।
📌 পরিবারের একটাই দাবি— মেয়ে কী অবস্থায় আছে, সেটা অন্তত জানানো হোক!
📌 সরকার যেন দ্রুত আইনি সহায়তা নিশ্চিত করে।
🔜 সোমবার কী হবে?
📌 দিল্লি হাই কোর্টে এই মামলার শুনানি হতে পারে।
📌 আদালত কেন্দ্রীয় সরকারকে দ্রুত রিপোর্ট জমা দিতে নির্দেশ দিতে পারে।
📌 এই শুনানার ভিত্তিতেই শাহজ়াদির ভাগ্য নির্ধারিত হতে পারে।
এখন শুধু অপেক্ষা— শাহজ়াদি কি বেঁচে আছেন, নাকি ভাগ্যের নির্মম পরিহাসে ফাঁসির সাজা কার্যকর হয়ে গেছে?