Tuesday, March 4, 2025

“ক্ষমা চাইব না, তবে সম্পর্ক মেরামত সম্ভব” – ট্রাম্পের সঙ্গে বিরোধের পর জানালেন জ়েলেনস্কি, পাশে ইউরোপ

Share

ট্রাম্পের সঙ্গে বিরোধের পর জানালেন জ়েলেনস্কি!

আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ের পরও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জ়েলেনস্কি স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন— তিনি ক্ষমা চাইবেন না। তবে দুই দেশের ঐতিহাসিক সম্পর্কের কথা মাথায় রেখে তিনি চান পরিস্থিতির উন্নতি হোক।

🇺🇸 ট্রাম্প-জ়েলেনস্কির উত্তপ্ত বৈঠক

শুক্রবার হোয়াইট হাউসে ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং জ়েলেনস্কির মধ্যে বৈঠক হয়, যেখানে মূলত রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এবং একটি খনিজ চুক্তি নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু

🚨 বৈঠক ক্রমেই রূপ নেয় তর্ক-বিতর্কে।
🚨 ট্রাম্প অভিযোগ করেন, জ়েলেনস্কি লক্ষ লক্ষ মানুষের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলছেন এবং তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ বাঁধানোর চেষ্টা করছেন।
🚨 জ়েলেনস্কি পাল্টা সাফ জানিয়ে দেন, ইউক্রেন শুধু নিজের স্বাধীনতা রক্ষার জন্য লড়ছে।

এই পরিস্থিতিতে আলোচনার ফলাফল শূন্য হয়, এবং সেই খনিজ চুক্তিও বাতিল হয়ে যায়।

💬 জ়েলেনস্কির স্পষ্ট বার্তা: “ক্ষমা চাইব না”

বৈঠকের পর ফক্স নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জ়েলেনস্কি স্পষ্ট করে বলেন—

❝আমি ট্রাম্পের কাছে ক্ষমা চাইব না। তবে আমি বিশ্বাস করি, এই সম্পর্ক ঠিক করা সম্ভব। কারণ, এটি শুধু আমাদের ব্যক্তিগত সম্পর্ক নয়, এটি দুই দেশের ঐতিহাসিক সম্পর্ক।❞

তিনি আরও বলেন—

“ট্রাম্প যদি ইউক্রেনকে সাহায্য না করেন, তাহলে আমাদের পক্ষে রাশিয়ার আগ্রাসন প্রতিরোধ করা কঠিন হবে।”
“আমরা সবসময় আমেরিকার সহায়তা পেয়েছি এবং ভবিষ্যতেও সহযোগিতার আশা রাখি।”

🇪🇺 ইউরোপ একজোট হয়ে দাঁড়াল ইউক্রেনের পাশে

হোয়াইট হাউসে সংঘাতের পর ইউরোপের একাধিক রাষ্ট্রনেতা প্রকাশ্যে জ়েলেনস্কিকে সমর্থন করেছেন।

🛡️ জার্মানি:

চ্যান্সেলর ওলাফ স্কল্‌জ বলেন—
“ইউক্রেনের মানুষ শান্তি চায়। তারা জানে শান্তি কতটা গুরুত্বপূর্ণ। জার্মানি ও ইউরোপ তাদের পাশে আছে।”

🛡️ ফ্রান্স:

প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাকরঁ বলেন—
“রাশিয়া আগ্রাসী, ইউক্রেন তার শিকার। আমেরিকা, ইউরোপ, জাপান, কানাডা— আমরা সবাই ইউক্রেনের পাশে আছি।”

🛡️ ইটালি:

প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি বলেন—
“আমাদের এখন বিভেদ নয়, ঐক্য দরকার। আমেরিকা ও ইউরোপকে একসঙ্গে বসে আলোচনা করতে হবে।”

🛡️ ডেনমার্ক:

বিদেশমন্ত্রী লার্স লোক্কে রাসমুসেন বলেন—
“হোয়াইট হাউসের এই পরিস্থিতি ইউক্রেনের জন্য বড় আঘাত। কিন্তু এতে লাভ হচ্ছে কেবল ক্রেমলিনের (রাশিয়ার)।”

🛡️ ইউরোপীয় কমিশন:

প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন দের লেইয়েন বলেন—
“জ়েলেনস্কি, আপনি একা নন। সাহসী হন, আমরা শান্তির জন্য আপনাদের পাশে আছি।”

🛡️ পোল্যান্ড:

প্রধানমন্ত্রী ডোনাল্ড টাক্স স্পষ্ট বার্তা দেন—
“জ়েলেনস্কি ও ইউক্রেন, তোমরা একা নও!”

🎭 হোয়াইট হাউসে পোশাক নিয়ে কটাক্ষ, তৎক্ষণাৎ জবাব দিলেন জ়েলেনস্কি

বৈঠকের সময়ই এক সাংবাদিক জ়েলেনস্কিকে স্যুট না পরার জন্য কটাক্ষ করেন।

🗣️ সাংবাদিকের প্রশ্ন: “আপনি কেন স্যুট পরেননি? আপনার কাছে কি স্যুট নেই?”
🗣️ জ়েলেনস্কির জবাব: “এই যুদ্ধ শেষ হলে আমি স্যুট পরব। হয়তো আপনার মতো, হয়তো তার চেয়েও ভালো কিছু।”

এর আগেও জো বাইডেনের সঙ্গে সাক্ষাতে জ়েলেনস্কি স্যুট না পরে সেনা পোশাকেই হাজির হয়েছিলেন।

📌 তাহলে এবার কী হবে?

💡 ট্রাম্পের অবস্থান:
➡️ তিনি ইউক্রেনকে সরাসরি সমর্থন করতে চান না।
➡️ তিনি রাশিয়ার সঙ্গে সমঝোতার পক্ষপাতী।
➡️ ইউক্রেনকে চাপে রেখে রাশিয়ার জয় নিশ্চিত করার পরিকল্পনা রয়েছে বলে ইউরোপের আশঙ্কা।

💡 ইউক্রেনের কৌশল:
➡️ ট্রাম্পের সঙ্গে সম্পর্ক মেরামতের চেষ্টা করবে।
➡️ ইউরোপের সমর্থন আরও শক্তিশালী করার চেষ্টা করবে।
➡️ যুদ্ধ চালিয়ে যাবে এবং আমেরিকার পরবর্তী পদক্ষেপের অপেক্ষা করবে।

🔥 উপসংহার: কূটনৈতিক লড়াইয়ে জ়েলেনস্কি একা নন

🛡️ ইউরোপের দেশগুলো একজোট হয়ে জ়েলেনস্কিকে সমর্থন করছে।
🛡️ ট্রাম্প ইউক্রেনকে সমঝোতার পথে ঠেলে দিতে চাইছেন, কিন্তু জ়েলেনস্কি লড়াই চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
🛡️ এই সংঘাত শুধুমাত্র দুই রাষ্ট্রপ্রধানের ব্যক্তিগত নয়, বরং এটি আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক সম্পর্কের একটি গুরুত্বপূর্ণ মোড়।

👉 ট্রাম্প ও জ়েলেনস্কির এই বিরোধ শেষ পর্যন্ত ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের ভবিষ্যৎ কোন দিকে নিয়ে যাবে, সেটাই এখন দেখার বিষয়।

৬.১ মাত্রার ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল নেপাল, কম্পন অনুভূত শিলিগুড়িতেও! আতঙ্কে রাত কাটালেন বাসিন্দারা

Read more

Local News