যাত্রীশূন্য গ্বদর নিয়ে পাকিস্তানে তীব্র বিতর্ক
পাকিস্তানের বালুচিস্তানের গ্বদরে বিশাল ব্যয়ে তৈরি হলো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। কিন্তু উদ্বোধনের পরেও সেখানে নেই কোনো যাত্রী, উড়ে না কোনো বিমান! ২৪ কোটি ডলারের এই প্রকল্প এখন পরিণত হয়েছে এক অদ্ভুত রহস্যে, যা ঘিরে শুরু হয়েছে প্রবল বিতর্ক।
গ্বদর বিমানবন্দর: কী ছিল পরিকল্পনা?
🔹 পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ গত বছরের অক্টোবরে এই বিমানবন্দরের উদ্বোধন করেন।
🔹 সম্পূর্ণ অর্থায়ন করেছে চিন, বিনিয়োগ প্রায় ২৪ কোটি ডলার।
🔹 বিমানবন্দরের যাত্রী ধারণক্ষমতা ৪ লক্ষেরও বেশি।
🔹 আধুনিক লাউঞ্জ, বিশাল পার্কিং লট, ফুড কোর্ট, রেস্ট রুমসহ অত্যাধুনিক সুবিধা।
তবে এতসব ব্যবস্থার পরেও একটি সমস্যার সমাধান হয়নি— এখানে কোনো যাত্রী নেই!
কেন যাত্রীরা আসছেন না?
1️⃣ অবস্থান:
👉 গ্বদর শহর পাকিস্তানের সবচেয়ে পিছিয়ে থাকা অঞ্চলে।
👉 জনসংখ্যা মাত্র ৯০ হাজার, যার বেশিরভাগেরই বিমানে চড়ার সামর্থ্য নেই।
2️⃣ পরিকাঠামোর অভাব:
👉 বিদ্যুৎ ও বিশুদ্ধ পানীয় জলের তীব্র অভাব।
👉 বিমানবন্দর চালাতে নির্ভর করতে হচ্ছে ইরানের পাওয়ার গ্রিড ও সৌর প্যানেলের ওপর।
3️⃣ নিরাপত্তা সংকট:
👉 বালুচিস্তানে দীর্ঘদিন ধরেই সশস্ত্র বিদ্রোহ চলছে।
👉 বিদেশি পর্যটক বা বিনিয়োগকারীরা এখানে আসতে ভয় পাচ্ছেন।
👉 বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর হামলার ঝুঁকি থাকায় পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীকেও মোতায়েন করতে হয়েছে।
কাদের জন্য তৈরি হলো এই বিমানবন্দর?
❌ গ্বদরের সাধারণ মানুষের বিমান চড়ার সামর্থ্য নেই।
❌ বিদেশি পর্যটকরাও নিরাপত্তার কারণে আসছেন না।
❌ পাকিস্তান সরকার এই প্রকল্পকে ‘উন্নয়ন’-এর অংশ বললেও এটি মূলত চিনের একটি কৌশলগত বিনিয়োগ।
শুরুতেই ছন্দহীন শামি, এক ওভারে ১১ বল! বুমরাহের রেকর্ড ভাঙলেন বাংলার পেসার