পুলিশের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ সুতন্দ্রার মায়ের!
“আমার মেয়ে যে গাড়িতে ছিল, সেটাকে মত্ত অবস্থায় তাড়া করছিল একদল যুবক! গ্লাসে মদ ঢেলে খেতে খেতে, গায়ে হাওয়া লাগিয়ে, তারা গাড়ি নিয়ে ছুটছিল জাতীয় সড়কে। পুলিশ কি কিছুই দেখেনি?” – এই প্রশ্নেই এখন ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন মৃত সুতন্দ্রা চট্টোপাধ্যায়ের মা তনুশ্রী চট্টোপাধ্যায়।
সদ্য প্রয়াত ২৭ বছরের সুতন্দ্রা চন্দননগরের বাসিন্দা, পেশায় ছিলেন ইভেন্ট ম্যানেজার ও নৃত্যশিল্পী। কাজের সূত্রে গিয়েছিলেন পশ্চিম বর্ধমানের পানাগড়ে। কিন্তু আর বাড়ি ফেরা হয়নি। রবিবার গভীর রাতে পানাগড়ের ১৯ নম্বর জাতীয় সড়ক এবং পুরনো জিটি রোডের সংযোগস্থলে গাড়ি উল্টে মারা যান তিনি। প্রথম থেকেই সঙ্গীদের অভিযোগ ছিল, একটি সাদা রঙের এসইউভি তাঁদের গাড়ির পিছু ধাওয়া করছিল, অশ্লীল মন্তব্য করছিল এবং গাড়িতে ধাক্কা দিচ্ছিল।
কিন্তু পুলিশ বলছে অন্য কথা! তাদের দাবি, “ইভটিজিং”-এর অভিযোগ ভিত্তিহীন, দু’টি গাড়ির রেষারেষির কারণেই দুর্ঘটনা ঘটেছে। এখন প্রশ্ন উঠছে, সত্যিটা কী?
🚨 “কেন অভিযুক্তদের ধরা হচ্ছে না?” পুলিশের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ
মেয়ের মৃত্যু নিয়ে পুলিশের অবস্থান মানতে নারাজ তনুশ্রী। তাঁর দাবি, “যদি সত্যিই রেষারেষির কারণে দুর্ঘটনা ঘটে থাকে, তাহলে অন্য গাড়ির চালকদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না কেন?”
তিনি আরও বলেন,
✅ “জাতীয় সড়কে সিসিটিভি রয়েছে, পুলিশ কি দেখেনি?”
✅ “কেন রাতের বেলা মদের বোতল আর গ্লাস নিয়ে জাতীয় সড়কে দৌরাত্ম্য চলছিল?”
✅ “কেন এখনো কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি?”
সুতন্দ্রার পরিবারের তরফে মঙ্গলবার কাঁকসা থানায় আনুষ্ঠানিক ভাবে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। কিন্তু তারপরও অভিযুক্তরা ধরা না পড়ায় বাড়ছে ক্ষোভ।
🚗 কী ঘটেছিল সেদিন রাতে?
রবিবার গভীর রাতে পানাগড়ে সুতন্দ্রার গাড়ি ধাওয়া করছিল একটি সাদা রঙের এসইউভি।
✔️ গাড়ির চালক রাজদেও সাঁও জানিয়েছেন, “আমি নিজেই দেখেছি, ওরা আমাদের ধাওয়া করছিল। গাড়িতে থাকা মত্ত যুবকেরা অশ্লীল মন্তব্য করছিল, ইঙ্গিত করছিল।”
✔️ একাধিকবার গাড়িতে ধাক্কা দেয় অভিযুক্তরা, এরপর বাঁচার চেষ্টা করতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে যায় গাড়ি।
ঘটনার পরই পুলিশের দাবি ছিল, “এটি নিছক দুর্ঘটনা, ইভটিজিং বা শ্লীলতাহানির কোনও প্রমাণ নেই।” তবে পরিবার ও সঙ্গীদের বক্তব্য, পুলিশের এমন অবস্থান শুধু দোষীদের আড়াল করার জন্য!
⚖️ “ন্যায় চাই, বিচার চাই!” – সুতন্দ্রার মায়ের আর্তি
মঙ্গলবার চন্দননগরে সুতন্দ্রার বাড়িতে যান পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা। উপস্থিত ছিলেন চন্দননগর পুলিশের ডিসিপি অলকানন্দা ভাওয়াল, এসিপি সুমন বন্দ্যোপাধ্যায় এবং চন্দননগর থানার আইসি শুভেন্দু মুখোপাধ্যায়।
তারা পরিবারকে আশ্বাস দিয়েছেন, “ন্যায়বিচার নিশ্চয়ই হবে, তদন্ত চলছে।” কিন্তু পুলিশের এই আশ্বাসে খুব বেশি ভরসা রাখতে পারছেন না তনুশ্রী। তিনি বলেন, “আমরা পুলিশকে বিশ্বাস করছি, কিন্তু আর কত দিন? দেখা যাক, তারা সত্যিই কিছু করে কি না।”
❓ তাহলে কি সত্য লুকোনোর চেষ্টা চলছে?
পানাগড়কাণ্ডে শুরু থেকেই পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
✔️ পুলিশ বলছে, দুর্ঘটনা, কিন্তু প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, ইভটিজিং!
✔️ গাড়ির চালকসহ সঙ্গীরা বলছেন, ধাওয়া করা হচ্ছিল, কিন্তু পুলিশের রিপোর্টে তা উল্লেখ নেই!
✔️ এফআইআর দায়ের হলেও এখনও অভিযুক্তদের খুঁজে বের করেনি পুলিশ।
এতেই বাড়ছে সন্দেহ— সত্যিই কি এটা দুর্ঘটনা, নাকি কিছু লুকোনোর চেষ্টা হচ্ছে?
🔚 শেষ কথা
সুতন্দ্রার মৃত্যু কি নিছক দুর্ঘটনা, নাকি পরিকল্পিত শ্লীলতাহানির চেষ্টা থেকে উদ্ভূত এক ভয়াবহ ঘটনা? পরিবার ও সাধারণ মানুষের প্রশ্নের জবাব কি আদৌ দেবে প্রশাসন? নাকি দোষীরা পার পেয়ে যাবে?
এই ঘটনার ন্যায়বিচার চাইছে গোটা দেশ। কবে মেলবে সেই বিচার? উত্তর দেবে সময়।
শুরুতেই ছন্দহীন শামি, এক ওভারে ১১ বল! বুমরাহের রেকর্ড ভাঙলেন বাংলার পেসার