Monday, February 24, 2025

গ্ল্যামারের আড়ালে ভয়ংকর বাস্তব! দক্ষিণ কোরিয়ার বিনোদন জগতে ‘দাসত্ব’, একের পর এক আত্মহত্যায় চাঞ্চল্য

Share

গ্ল্যামারের আড়ালে ভয়ংকর বাস্তব!

ঝলমলে মঞ্চে তাঁরা নায়ক-নায়িকা, দর্শকদের নয়নের মণি। কিন্তু ক্যামেরার আলো নিভলেই যেন অন্ধকার গহ্বরে তলিয়ে যান কোরিয়ার বিনোদন জগতের বহু তারকা। একটার পর একটা আত্মহত্যার ঘটনা কাঁপিয়ে দিচ্ছে গোটা দেশকে। সত্যিই কি গ্ল্যামারের মোড়কে ঢাকা রয়েছে ভয়ংকর এক বাস্তব?


গ্ল্যামারের আড়ালে কোরিয়ান তারকাদের দুঃসহ জীবন

দক্ষিণ কোরিয়ার পপ ইন্ডাস্ট্রি এবং বিনোদন জগৎ সারা বিশ্বের নজর কেড়েছে। কিন্তু এই জগতেরই এক অন্ধকার দিক আছে, যা বারবার শিরোনামে উঠে আসছে— অমানবিক কাজের চাপ, দাসত্বমূলক চুক্তি, মানসিক অত্যাচার এবং ট্রোলিংয়ের শিকার হয়ে একের পর এক তারকা আত্মঘাতী হচ্ছেন।

🖤 মাত্র ২৪ বছর বয়সে অভিনেত্রী কিম সে-রন আত্মহত্যা করলেন।
🖤 ‘শাইনি’ ব্যান্ডের কিম জং-হিউন মাত্র ২৭ বছর বয়সে চরম সিদ্ধান্ত নেন।
🖤 নারীবাদী বই পড়ার জন্য ‘রেড ভেলভেট’-এর তারকা আইরিনকে বয়কট করা হয়।
🖤 ‘এফ (এক্স)-এর’ সদস্য সুলি ট্রোলিং সহ্য করতে না পেরে নিজেকে শেষ করে দেন।

এই সব ঘটনাই বলে দেয়, দক্ষিণ কোরিয়ার গ্ল্যামার ওয়ার্ল্ডে বাইরের চাকচিক্যের আড়ালে এক ভয়ংকর অন্ধকার জগৎ লুকিয়ে রয়েছে।


তারকাদের ‘দাসত্ব’ চুক্তি! নিঃস্ব হয়ে যায় ব্যক্তিগত জীবন

কোরিয়ার বিনোদন সংস্থাগুলি সাধারণত ‘স্লেভ কন্ট্র্যাক্ট’ বা দাসত্বমূলক চুক্তির জন্য কুখ্যাত।

🎭 মাত্র ১২ বছর বয়স থেকেই শিশুদের প্রশিক্ষণের নামে কঠোর নিয়মের মধ্যে ফেলে দেওয়া হয়।
🎭 কোম্পানির অনুমতি ছাড়া প্রেমও করা যায় না, এমনকি খাবার খাওয়া পর্যন্ত নিয়ন্ত্রিত হয়।
🎭 দিনের পর দিন চুক্তি মেনে কাজ করতে হয়, স্বাস্থ্যেরও তোয়াক্কা করা হয় না।
🎭 চুক্তি থেকে বেরিয়ে আসতে চাইলেও মারাত্মক ক্ষতিপূরণ দিতে হয়, যা প্রায় অসম্ভব।


ট্রোলিং এবং মানসিক চাপে মৃত্যু

শুধু কঠোর চুক্তিই নয়, সমাজমাধ্যমের ট্রোলিং কোরিয়ান তারকাদের মানসিক ভাবে ভেঙে দিচ্ছে।

📢 পপ তারকা সুলি নারীবাদী মন্তব্য করার কারণে লাগাতার অনলাইনে আক্রমণের শিকার হন।
📢 ‘শাইনি’ ব্যান্ডের কিম জং-হিউন হতাশায় ডুবে যান, আর সেখান থেকে বেরোতে পারেননি।
📢 অনেকে ট্রোলের চাপে মাদক বা ঘুমের ওষুধের আশ্রয় নেন, যা শেষমেশ মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়।

এই কারণেই দক্ষিণ কোরিয়ায় বর্তমানে বিনোদন জগতের মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে বড়সড় আলোড়ন চলছে।


আইনি লড়াই করেও স্বস্তি নেই!

কিছু তারকা এই অত্যাচারের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলেছেন।

⚖️ ক্রিস এবং লুহান নামের দুই তারকা বিনোদন সংস্থার বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেন।
⚖️ ‘নিউজিন্স’ ব্যান্ডও তাদের চুক্তি ভেঙে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করেছিল।
⚖️ অনেকেই চুক্তির শর্ত বদলানোর জন্য লড়াই করছেন, কিন্তু বদল এসেছে সামান্যই।

তবে অনেক ক্ষেত্রেই এসব প্রতিবাদ চাপা পড়ে যায় কোম্পানির বিশাল প্রভাবের কারণে।


এই ভয়ংকর বাস্তবের শেষ কোথায়?

কোরিয়ান বিনোদন দুনিয়ায় অমানবিক চুক্তি, ট্রোলিং, মানসিক চাপে তারকাদের আত্মহত্যার ঘটনা ক্রমশ বাড়ছে। প্রশাসন এখন নতুন কিছু নিয়ম আনার কথা ভাবছে, যাতে তারকাদের প্রতি এই ধরনের অত্যাচার বন্ধ করা যায়।

শুরুতেই ছন্দহীন শামি, এক ওভারে ১১ বল! বুমরাহের রেকর্ড ভাঙলেন বাংলার পেসার

Read more

Local News