দলীয় সহকর্মীর বিরুদ্ধে হুমকির অভিযোগ!
শোভন চট্টোপাধ্যায় ও রত্না চট্টোপাধ্যায়ের বিবাহবিচ্ছেদ মামলা নিয়ে উত্তপ্ত পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠল। এবার তৃণমূলেরই দুই প্রভাবশালী নেতা-নেত্রীর মধ্যে প্রকাশ্যে আইনি লড়াই শুরু হতে চলেছে।
তৃণমূল সাংসদ তথা আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করেছেন, রত্না চট্টোপাধ্যায় তাঁকে প্রকাশ্যে কুরুচিকর আক্রমণ করছেন এবং হুমকি দিচ্ছেন। এই বিষয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করে রত্নার বিরুদ্ধে মামলা করার অনুমতি চেয়েছেন তিনি।
কী অভিযোগ তুললেন কল্যাণ?
সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের বেঞ্চে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, রত্না সংবাদমাধ্যমের সামনে তাঁকে হুমকি দিচ্ছেন। এমনকি, তাঁর মেয়েকেও এই কটাক্ষের শিকার হতে হয়েছে বলে দাবি করেছেন কল্যাণ।
“আমি ভয় পাই না, কিন্তু এই ধরনের আচরণ মেনে নেওয়া যায় না। আদালত কি রাজনৈতিক মঞ্চ? এখানে কেউ আইনজীবীকে হুমকি দিতে পারেন?” — হাইকোর্টে বলেন কল্যাণ।
তিনি আরও বলেন, “এটা যদি অন্য কোথাও হতো, তাহলে তো আমাকে মারধরই করা হতো!”
হাইকোর্টের অবস্থান কী?
📌 বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্য রত্নার আইনজীবীর কাছে বিষয়টি জানতে চান।
📌 বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) রত্নার বক্তব্য শোনার পর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে, কল্যাণ মামলা দায়ের করতে পারবেন কি না।
📌 হাইকোর্টের অনুমতি মিললে রত্নার বিরুদ্ধে মানহানি বা অন্য কোনও আইনি ধারা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে।
রাজনৈতিক বিতর্কে নতুন মোড়
📢 নিজের দলের বিধায়ককেই প্রকাশ্যে আদালতে টেনে আনার ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে রাজনৈতিক মহলে। কারণ, রত্না শুধুমাত্র বিধায়ক নন, তিনি কলকাতা পুরসভার কাউন্সিলরও।
📢 কল্যাণ বলেন, “রত্না এর আগেও আলিপুর আদালতে একই কাজ করেছেন। এখন হাইকোর্টেও একই পদ্ধতি প্রয়োগ করতে চাইছেন। তিনি শুধু আমাকে নয়, বিচার ব্যবস্থাকেও প্রভাবিত করতে চাইছেন।”
📢 শোভন চট্টোপাধ্যায়ের হয়ে কল্যাণ সওয়াল করতেই ক্ষুব্ধ হয়েছেন রত্না। শোভন ও রত্নার বিবাহবিচ্ছেদের মামলা এখন চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে।
📢 ২০১৭ সালে শোভন আলিপুর আদালতে বিবাহবিচ্ছেদের মামলা করেন। নিম্ন আদালতে মামলার শুনানি প্রায় শেষের পথে। রত্না চেয়েছিলেন আরও সাক্ষীর জবানবন্দি নেওয়া হোক, কিন্তু আদালত তা খারিজ করে দেয়। এরপর তিনি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন।
এখন কী হতে পারে?
🔹 বুধবার রত্নার বক্তব্য শোনার পর আদালত সিদ্ধান্ত নেবে, কল্যাণ মামলা করতে পারবেন কি না।
🔹 রত্নার হুমকি দেওয়া নিয়ে কোনও প্রমাণ আদালতে পেশ করা হয় কি না, সেটাও গুরুত্বপূর্ণ হবে।
🔹 এই আইনি লড়াই কি তৃণমূলের অভ্যন্তরীণ বিভাজনকে আরও উসকে দেবে?
রাজনৈতিক ও আইনি মহলে এখন সবচেয়ে বড় প্রশ্ন— “একই দলে থেকেও এমন প্রকাশ্য বিরোধ কি ভবিষ্যতে আরও বড় সংকট তৈরি করবে?”
শুরুতেই ছন্দহীন শামি, এক ওভারে ১১ বল! বুমরাহের রেকর্ড ভাঙলেন বাংলার পেসার