তেলঙ্গানার সুড়ঙ্গে আটকে ৮ শ্রমিক!
তেলঙ্গানার নাগারকুর্নুল জেলায় সুড়ঙ্গ ধসের পর চার দিন কেটে গেছে, কিন্তু এখনও আটকে রয়েছেন আটজন শ্রমিক। তাঁদের জীবিত অবস্থায় উদ্ধারের জন্য প্রাণপণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন উদ্ধারকর্মীরা। প্রতি মিনিটে ৪,৫০০ লিটার জল বাইরে বের করা হচ্ছে সুড়ঙ্গের পথ পরিষ্কার করতে, যাতে আটক শ্রমিকদের কাছে দ্রুত পৌঁছনো যায়।
উদ্ধারকাজ আরও জটিল হয়ে উঠেছে সুড়ঙ্গের ভিতরে জমে থাকা জল, কাদা আর ধসে পড়া পাথরের স্তূপের কারণে। জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী (NDRF), রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী (SDRF), ভারতীয় সেনা এবং কয়লাখনির অভিজ্ঞ কর্মীদের সমন্বয়ে গঠিত বিশাল উদ্ধারকারী দল চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। প্রায় ৩০০ জন বিশেষজ্ঞ এই অভিযানে যুক্ত রয়েছেন।
কীভাবে চলছে উদ্ধারকাজ?
উদ্ধারকর্মীরা তিনটি পদ্ধতিতে আটকে পড়া শ্রমিকদের কাছে পৌঁছানোর চেষ্টা করছেন—
1️⃣ সুড়ঙ্গের জমে থাকা কাদা ও জল সরিয়ে পথ তৈরি করা।
2️⃣ সুড়ঙ্গের উপর থেকে গর্ত খুঁড়ে ভিতরে প্রবেশের রাস্তা খুঁজে বের করা।
3️⃣ সুড়ঙ্গের পাশ থেকে অন্য একটি গর্ত তৈরি করে আটকে পড়া শ্রমিকদের কাছে পৌঁছানো।
যদিও দ্বিতীয় এবং তৃতীয় পদ্ধতির জন্য সুড়ঙ্গের সহ্যক্ষমতা পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে, কারণ অতিরিক্ত খনন করলে আরও ধস নামার আশঙ্কা রয়েছে।
শ্রমিকদের সাড়া মিলছে না, উদ্বেগ বাড়ছে
সংবাদ সংস্থা পিটিআই-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, উদ্ধারকর্মীরা সুড়ঙ্গের ভিতরে আটকে থাকা শ্রমিকদের নাম ধরে ডেকেছেন। কিন্তু এখনও পর্যন্ত উল্টো দিক থেকে কোনও সাড়া মেলেনি। ফলে তাঁদের শারীরিক অবস্থা নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে।
সোমবার সকালেই ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন তেলঙ্গানার মন্ত্রী জুপল্লী কৃষ্ণ রাও, যিনি উদ্ধার কাজের তদারকি করছেন।
কীভাবে ঘটল এই দুর্ঘটনা?
➡️ শনিবার সকালে তেলঙ্গানার শ্রীশৈলম সুড়ঙ্গের একাংশ আচমকা ভেঙে পড়ে।
➡️ ৪৪ কিলোমিটার দীর্ঘ এই সুড়ঙ্গটি সেচ প্রকল্পের কাজে ব্যবহৃত হওয়ার কথা ছিল।
➡️ প্রায় ১৪ কিলোমিটার ভিতরে তিন মিটার জায়গা জুড়ে সুড়ঙ্গের ছাদ ভেঙে পড়ে।
➡️ সেই সময় প্রায় ৫০ জন শ্রমিক সেখানে কাজ করছিলেন।
➡️ ৪২ জন নিরাপদে বেরিয়ে এলেও আটজন সুড়ঙ্গের ভিতরেই আটকে পড়েন।
কতটা আশার আলো?
বিশেষজ্ঞদের মতে, আগামী ২৪-৪৮ ঘণ্টা এই উদ্ধার অভিযানের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
☑️ পানি ও কাদা সরানোর কাজ দ্রুতগতিতে চলছে।
☑️ সেনাবাহিনীর একটি বিশেষ দল নিয়োজিত হয়েছে শ্রমিকদের অবস্থান চিহ্নিত করতে।
☑️ ড্রোন ও বিশেষ ক্যামেরা ব্যবহার করে সুড়ঙ্গের ভিতরের পরিস্থিতি বোঝার চেষ্টা চলছে।
তবে, যত সময় গড়াচ্ছে, শ্রমিকদের নিরাপদে উদ্ধার করা যাবে কি না, সেই উদ্বেগ বাড়ছে। উদ্ধারকারী দল প্রাণপণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে, কিন্তু সুড়ঙ্গের গভীরতা ও ধসের কারণে পরিস্থিতি অত্যন্ত কঠিন হয়ে পড়েছে। সমস্ত দেশের নজর এখন এই উদ্ধার অভিযানের দিকে।
শুরুতেই ছন্দহীন শামি, এক ওভারে ১১ বল! বুমরাহের রেকর্ড ভাঙলেন বাংলার পেসার