বাংলাদেশে নতুন ছাত্র সংগঠনের!
বাংলাদেশের ছাত্র রাজনীতিতে নতুন মোড়! কোটা সংস্কার আন্দোলনে সক্রিয় নেতাদের নিয়েই গঠিত হতে চলেছে নতুন ছাত্র সংগঠন। ইতিমধ্যেই সম্ভাব্য নামও ঠিক হয়ে গিয়েছে। জানা গেছে, সংগঠনটির নেতৃত্বে থাকবেন ২০২৩ সালের কোটা সংস্কার আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেওয়া ছাত্রনেতারা।
গত বছর কোটা সংস্কারের দাবিতে ব্যাপক বিক্ষোভ হয় বাংলাদেশে। সরকারি চাকরিতে কোটা সংরক্ষণের বিরুদ্ধে রাস্তায় নামে হাজারো শিক্ষার্থী। তখনকার আন্দোলনের মূল সংগঠকদেরই এবার নতুন ছাত্র সংগঠনের শীর্ষপদে দেখা যেতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
নতুন সংগঠনের সম্ভাব্য নাম কী?
বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম প্রথম আলো জানিয়েছে, নতুন ছাত্র সংগঠনের নাম হতে পারে “বৈপ্লবী ছাত্রশক্তি”।
এই সংগঠনটি ২০২৩ সালে তৈরি হওয়া ‘গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তি’র উত্তরসূরি হতে পারে, যদিও সেই সংগঠন পরবর্তীতে বিলুপ্ত হয়ে যায়। নতুন ছাত্র সংগঠনের বেশিরভাগ উদ্যোক্তাই সেই বিলুপ্ত সংগঠনের সাবেক সদস্য।
এছাড়া, ইসলামি ছাত্রশিবিরের কিছু সাবেক সদস্যও এতে যোগ দিতে পারেন, তবে সংগঠনের পদাধিকারীদের মধ্যে কেউ ইসলামি ছাত্রশিবিরের বর্তমান নেতৃস্থানীয় পদে থাকবেন না বলে জানা গেছে।
কাদের দেখা যেতে পারে নেতৃত্বে?
🔹 কোটা সংস্কার আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সংগঠকরা
🔹 আওয়ামী লীগের ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের প্রাক্তন কিছু সদস্য – যাঁরা আন্দোলনের সময় ছাত্রলীগ ছেড়ে দিয়েছিলেন
🔹 স্বাধীন ছাত্র রাজনীতিতে আগ্রহী কিছু নতুন মুখ
অনেক আন্দোলনকারী আগে ছাত্রলীগের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন, কিন্তু তাঁরা দাবি করেছেন যে, রাজনৈতিক চাপের কারণে বাধ্য হয়েই ছাত্রলীগে যোগ দিতে হয়েছিল তাঁদের। নতুন ছাত্র সংগঠনে এই সাবেক ছাত্রলীগ নেতাদেরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
নতুন ছাত্র সংগঠনের রাজনৈতিক সম্পর্ক কী?
নতুন সংগঠনের উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন,
✅ এটি কোনও রাজনৈতিক দলের শাখা সংগঠন হবে না
✅ ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’ বা ‘জাতীয় নাগরিক কমিটি’র সঙ্গে সরাসরি কোনও সম্পর্ক থাকবে না
✅ বর্তমানে বাংলাদেশে গঠিত হতে চলা নতুন রাজনৈতিক দলটির সঙ্গেও সরাসরি কোনো সংযোগ থাকবে না
তবে নতুন রাজনৈতিক দলের প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে যাঁদের নাম সামনে আসছে, তাঁদের অনেকের সঙ্গেই এই ছাত্র সংগঠনের নেতাদের ঘনিষ্ঠতা রয়েছে।
বাংলাদেশে নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের সঙ্গেও কি কোনও সম্পর্ক রয়েছে?
আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশে নতুন রাজনৈতিক দলের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা হওয়ার কথা।
অনেকে দাবি করেছেন, নতুন রাজনৈতিক দলের পেছনে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ও অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের ভূমিকা থাকতে পারে। যদিও এই তথ্যের আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি এখনও মেলেনি।
🔸 নতুন রাজনৈতিক দলের আহ্বায়ক হতে পারেন নাহিদ ইসলাম, যিনি এখন অন্তর্বর্তী সরকারের একজন উপদেষ্টা।
🔸 দল গঠনের আনুষ্ঠানিক ঘোষণার আগে তিনি উপদেষ্টার পদ থেকে ইস্তফা দেবেন।
বাংলাদেশের ছাত্র রাজনীতিতে নতুন ধারা?
বাংলাদেশের ছাত্র রাজনীতি দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগের ছাত্রলীগ এবং বিএনপির ছাত্রদলের নিয়ন্ত্রণে ছিল। তবে সাম্প্রতিক বছরগুলিতে ছাত্র রাজনীতির নতুন ধারা তৈরির দাবি জোরদার হয়েছে।
নতুন ছাত্র সংগঠন পুরনো ধারার রাজনীতি থেকে বেরিয়ে এসে স্বতন্ত্র অবস্থান নিতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
এখন দেখার, এই সংগঠন আদৌ টিকে থাকতে পারে কিনা, এবং কতটা জনপ্রিয়তা অর্জন করতে পারে!
শুরুতেই ছন্দহীন শামি, এক ওভারে ১১ বল! বুমরাহের রেকর্ড ভাঙলেন বাংলার পেসার