করাচির স্টেডিয়ামে !
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি শুরু হতে আর কিছুদিন বাকি, কিন্তু তার আগেই পাকিস্তানে একটি নতুন বিতর্কের সূত্রপাত হলো। পাকিস্তানের লাহোর ও করাচির স্টেডিয়ামে ভারতের জাতীয় পতাকা দেখা যায়নি। এই ঘটনার পর থেকেই উত্তেজনা বেড়েছে এবং সমালোচনা শুরু হয়েছে।
২০১৯ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হওয়া চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ভারতের সব ম্যাচ পাকিস্তানে হওয়ার কথা ছিল। তবে, ভারত এই প্রতিযোগিতার সব ম্যাচ দুবাইতে খেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পাকিস্তানের তিনটি স্টেডিয়ামে, লাহোর, করাচি ও রাওয়ালপিণ্ডিতে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। এই নিয়ম অনুযায়ী, প্রতিটি আইসিসি টুর্নামেন্টে যে মাঠে খেলা হবে, সেখানে অংশগ্রহণকারী সব দেশের জাতীয় পতাকা এবং আইসিসির পতাকা থাকতে হবে।
তবে সম্প্রতি দুটি স্টেডিয়ামের একটি ভিডিয়ো প্রকাশিত হয়, যেখানে দেখা যায়, লাহোর ও করাচি স্টেডিয়ামে ভারতের জাতীয় পতাকা নেই, অথচ অন্য দেশগুলির পতাকা সঠিকভাবে রয়েছে। এই ঘটনাটি ভাইরাল হওয়ায় বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। অনেক ভারতীয় সমর্থক অভিযোগ করছেন যে, পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের পক্ষ থেকে এই ঘটনা ইচ্ছাকৃতভাবে ঘটানো হয়েছে। অপরদিকে, পাকিস্তান সমর্থকরা বলছেন, এটি ভারতীয় বোর্ডের সম্মানহানির উদ্দেশ্যে করা হয়েছে।
তবে, কেন ভারতীয় জাতীয় পতাকা উক্ত স্টেডিয়ামে নেই, সে বিষয়ে এখনও কোনো পরিষ্কার তথ্য পাওয়া যায়নি। দুইটি সম্ভাব্য কারণ উঠে এসেছে। প্রথমত, যদিও পাকিস্তান চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আয়োজক দেশ, ভারত তাদের ম্যাচ খেলবে দুবাইয়ে। ফলে পাকিস্তান থেকে মাত্র সাতটি দেশের পতাকা স্টেডিয়ামে রাখা হয়েছে, কারণ ভারত পাকিস্তানে পা রাখবে না। দ্বিতীয়ত, পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড ভারতকে পাকিস্তানে খেলতে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল, কিন্তু ভারত সুরক্ষা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করে পাকিস্তানে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়নি। এতে পাকিস্তান কিছুটা অবমাননা অনুভব করতে পারে এবং এইভাবে ভারতীয় জাতীয় পতাকা না রাখা হতে পারে তার প্রতিক্রিয়া।
এই বিতর্কের সূত্রপাত তখনই হয়েছিল, যখন পাকিস্তানে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি আয়োজিত হওয়ার পর ভারত প্রথমে এর প্রতিবাদ জানিয়ে জানিয়েছিল, পাকিস্তান থেকে প্রতিযোগিতা সরিয়ে নেওয়ার দাবি করেছে। তবে, আইসিসি তাতে সম্মতি দেয়নি এবং পাকিস্তানকে হাইব্রিড মডেল মেনে প্রতিযোগিতা আয়োজনের অনুমতি দিয়েছে। এর পর পাকিস্তানও ভারতীয় বোর্ডের এই সিদ্ধান্তের পাল্টা জবাব দিতে চেয়েছিল।
এটি মনে রাখা জরুরি যে, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি বা অন্যান্য আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টের ক্ষেত্রে, কোনো দেশকে তার নিজস্ব দেশের পতাকা না রাখার ঘটনা কিছুটা অস্বাভাবিক এবং বিতর্ক সৃষ্টি করতে পারে। পাকিস্তান ও ভারত উভয় দেশের মধ্যে একাধিক রাজনৈতিক এবং ক্রীড়া সম্পর্কের কারণে এই বিতর্কের উত্তাপ আরও বেড়েছে। আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারি দুবাইয়ে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের উত্তেজনা আরও বাড়িয়ে দেবে এই ঘটনা।
পুরোপুরি প্রস্তুত। তাই রোহিত শর্মা ও তার সতীর্থদের জন্য ম্যাচের আগে কোনও চিন্তার কারণ থাকবে না, এবং তারা মাঠে তাদের সেরা খেলা প্রদর্শন করতে প্রস্তুত।
মাটির নীচ থেকে গর্জনের শব্দ! ভূমিকম্পের নতুন অভিজ্ঞতায় আতঙ্কিত দিল্লিবাসী— কেন হল এমন?

