দুবাইয়ের মাঠে এক মাসে ১৫ ম্যাচ!
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি শুরু হতে আর তিন দিন বাকি, এবং ভারত তাদের সব ম্যাচ খেলবে দুবাইয়ের মাঠে। গত এক মাসে এখানে ১৫টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে, যার মধ্যে পুরুষদের অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ, মহিলাদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ এবং আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি সহ একাধিক প্রতিযোগিতা ছিল। এই অবস্থায়, দুবাইয়ের পিচের অবস্থা কেমন? বিশেষ করে, রোহিত শর্মাদের জন্য কোন পিচে খেলতে হবে?
দুবাইয়ের মাঠে এতগুলি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হওয়ায়, নতুন পিচ পাওয়া কিছুটা কঠিন হতে পারে, কারণ পুরনো পিচে খেলার ফলে গতি ও বাউন্স কমে যায়। এই পরিস্থিতি নিয়ে অনেকেই চিন্তা করেছিলেন, কিন্তু ভারতীয় দলের জন্য খুশির খবর শোনা যাচ্ছে। পিটিআই-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে দুবাইয়ের মাঠকর্মী জানিয়েছেন, ভারতের জন্য নতুন পিচ প্রস্তুত করা হবে, তাই পুরনো পিচের চিন্তা করার কোনও প্রয়োজন নেই।
দুবাইয়ের মাঠে মোট ১০টি পিচ রয়েছে, যার মধ্যে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ম্যাচগুলির ১৫টি খেলা হয়েছে ৮টি পিচে। এর মধ্যে দুটো পিচ ছিল নতুন, যেগুলো বিশেষভাবে ভারতের ম্যাচগুলোর জন্য সংরক্ষিত রাখা হয়েছে। এই পদক্ষেপের মাধ্যমে ভারতীয় দলকে পুরনো এবং ব্যবহৃত পিচে খেলার ঝুঁকি থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।
শুক্রবারই ভারতীয় দল দুবাই পৌঁছে গিয়েছে, এবং রবিবার থেকেই তারা দুবাই ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে অনুশীলন শুরু করেছে। এই সময়ের মধ্যে দলটি মাঠের পরিবেশ ও পিচের পরিস্থিতি সম্পর্কে পুরোপুরি প্রস্তুত হতে পারবে। ভারতীয় দল বিশেষভাবে পেসার ও স্পিনারদের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখার জন্য প্রস্তুত। তাদের দলে তিনটি বিশেষজ্ঞ পেসার এবং দুইটি বিশেষজ্ঞ স্পিনার রয়েছেন। এছাড়া, একটি পেসার-অলরাউন্ডার এবং তিনটি স্পিনার-অলরাউন্ডারও দলে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
ভারতীয় দলের কোচ গৌতম গম্ভীর জানিয়েছেন, তারা এমনভাবে দল সাজিয়েছেন যাতে কোনো পরিস্থিতিতেই একাদশে পরিবর্তন আনা কঠিন না হয়। যে কোনো পিচের পরিস্থিতি অনুযায়ী দলে সঠিক ভারসাম্য রাখা হবে, যাতে প্রতিটি ম্যাচে সেরা পারফরম্যান্স দেওয়া যায়।
এই প্রস্তুতি ভারতীয় দলের জন্য বড় ধরনের সুবিধা বয়ে আনবে, কারণ দুবাইয়ের মাঠের জন্য তারা আগে থেকেই প্রস্তুতি নিয়েছে এবং প্রতিযোগিতার চ্যালেঞ্জ গ্রহণের জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত। তাই রোহিত শর্মা ও তার সতীর্থদের জন্য ম্যাচের আগে কোনও চিন্তার কারণ থাকবে না, এবং তারা মাঠে তাদের সেরা খেলা প্রদর্শন করতে প্রস্তুত।
মাটির নীচ থেকে গর্জনের শব্দ! ভূমিকম্পের নতুন অভিজ্ঞতায় আতঙ্কিত দিল্লিবাসী— কেন হল এমন?