Tuesday, February 25, 2025

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে নাম মুছে ফেলা হলো লালন, সত্যেন বসু, জীবনানন্দদেরও! কেন এই সিদ্ধান্ত?

Share

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে নাম মুছে ফেলা হলো লালন, সত্যেন বসু, জীবনানন্দদেরও!

শুধু শেখ মুজিবুর রহমান বা তাঁর পরিবারের সদস্যদের নয়, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মানবতাবাদী লালন সাঁই, বিজ্ঞানী সত্যেন্দ্রনাথ বসু, আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু, কবি জীবনানন্দ দাশের নামও সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ১৬টি ভবনের নাম পরিবর্তনের ঘোষণা করেছে, যা নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক শুরু হয়েছে।


নতুন নামকরণ: কারা বাদ, কাদের রাখা হলো?

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার এস এম মাহবুবুর রহমানের সই করা এক নোটিসে জানানো হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট বৈঠকে এই নাম পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
📌 ‘বঙ্গবন্ধু মুজিবুর রহমান হল’ → ‘বীরশ্রেষ্ঠ মোহাম্মদ রুহুল আমিন হল’
📌 ‘বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল’ → ‘বিজয় ২৪ হল’
📌 ‘জয় বাংলা ভবন’ → ‘অকাডেমিক ভবন ০৪’
📌 ‘লালন সাঁই মিলনায়তন’ → ‘টিএসসি ভবন’
📌 ‘সত্যেন্দ্রনাথ বসু ভবন’, ‘জগদীশচন্দ্র বসু ভবন’, ‘জীবনানন্দ দাশ ভবন’— তিনটিরই নাম মুছে ফেলা হয়েছে!
📌 ‘সুলতানা কামাল জিমনাসিয়াম’ → ‘খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় জিমনাসিয়াম’

তবে, তিনটি নাম ঠিক রাখা হয়েছে—
‘মাইকেল মধুসূদন দত্ত অতিথি ভবন’
‘রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর শিক্ষা ভবন’
‘কাজী নজরুল ইসলাম কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার’


এই নাম পরিবর্তনের কারণ কী?

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে সরাসরি কিছু বলা না হলেও, বিশ্লেষকদের মতে এর পেছনে রাজনৈতিক ও আদর্শগত কারণ থাকতে পারে।

১) রাজনৈতিক প্রভাব ও নতুন সরকার

বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের নাম সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্তে বোঝা যাচ্ছে, বাংলাদেশের বর্তমান সরকার অতীতের আওয়ামী লীগ শাসনের চিহ্ন মুছে ফেলতে চাইছে।

২) লালন ও মানবতাবাদীদের বিরুদ্ধে মৌলবাদীদের অবস্থান

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তনের সিদ্ধান্তের পাশাপাশি, টাঙ্গাইলের মধুপুরে ‘লালন স্মরণোৎসব’ বন্ধ করে দিয়েছে মৌলবাদী গোষ্ঠী হেফাজতে ইসলাম।
লালন ছিলেন এক উদারপন্থী মানবতাবাদী, যিনি ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে মানুষের ঐক্যের কথা বলেছিলেন।
কট্টর মৌলবাদীরা বরাবরই লালনের আদর্শের বিরোধিতা করেছে।
টাঙ্গাইলে হেফাজতের চাপে প্রশাসন অনুমতি থাকা সত্ত্বেও লালন মেলা বন্ধ করে দেয়!

৩) বিজ্ঞানী ও কবিদের নাম বাদ দেওয়ার কারণ কী?

সত্যেন বসু, জগদীশচন্দ্র বসু, জীবনানন্দ দাশের নাম কেন বাদ দেওয়া হলো, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে।
📌 সত্যেন বসু ও জগদীশচন্দ্র বসু বিশ্বখ্যাত বিজ্ঞানী।
📌 জীবনানন্দ দাশ ছিলেন আধুনিক বাংলার অন্যতম শ্রেষ্ঠ কবি।
📌 তাঁদের নাম বাদ দেওয়া কি শুধুই নতুন সরকারের আদর্শগত অবস্থানের প্রতিফলন? নাকি অন্য কোনো রাজনৈতিক উদ্দেশ্য রয়েছে?

একদিনেই ২০ লাখ অনুগামী হারালেন! বিতর্কের কেন্দ্রে ইউটিউবার রণবীর ইলাহাবাদিয়া, কত আয় করেন তিনি?

Read more

Local News