মুম্বইয়ের গয়না সংস্থার ভয়ংকর প্রতারণা!
মুম্বইয়ের টরেস জুয়েলার্স নামে এক গয়না সংস্থা গ্রাহকদের লোভনীয় প্রতিশ্রুতি দিয়ে হাজার হাজার মানুষকে প্রতারণার ফাঁদে ফেলে দিয়েছে। কোম্পানির সোনায় ৪৮%, রুপোয় ৯৬% এবং ময়সানাইট পাথরে ৫২০% রিটার্নের প্রতিশ্রুতি শুনে সাধারণ মানুষ লাখ লাখ টাকা বিনিয়োগ করেন। কিন্তু অর্থ ফেরত তো দূর, সংস্থার মালিকরা টাকা নিয়ে উধাও!
বিশাল এই আর্থিক কেলেঙ্কারির তদন্তে ইতিমধ্যেই তিন ডেয়ারি সংস্থার প্রধানসহ চারজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে এই কেলেঙ্কারি নিয়ে!
🕵️ কীভাবে শুরু হয়েছিল প্রতারণা?
👉 ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে সংস্থা বিনিয়োগ স্কিম চালু করে।
👉 গ্রাহকদের বলা হয়— এক লাখ টাকা বিনিয়োগ করলে ১০ হাজার টাকার ময়সানাইট পাথরের দুল উপহার দেওয়া হবে।
👉 প্রতি সপ্তাহে ৬% রিটার্ন দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়।
👉 প্রচুর মানুষ বিনিয়োগ করেন, কারণ সংস্থার “ব্র্যান্ড ভ্যালু” নিয়ে প্রচার চালানো হয়েছিল।
👉 তবে পরে জানা যায়, যে পাথর দেওয়া হয়েছিল, সেগুলো সম্পূর্ণ নকল!
⚠️ প্রথম সন্দেহ কবে উত্থাপিত হয়?
👉 ২০২৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর থেকে বিনিয়োগকারীদের টাকা দেওয়া বন্ধ হয়ে যায়।
👉 সংস্থার এজেন্টরা ফোন ধরাও বন্ধ করে দেন।
👉 তদন্তে দেখা যায়, ২১ জুন থেকে ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে আসল কেলেঙ্কারি হয়।
👉 ততদিনে কয়েকশো কোটি টাকা বিনিয়োগ হয়ে গিয়েছে।
🚨 গ্রেফতার ও পালিয়ে যাওয়া চক্রের মূল পান্ডারা
✅ গ্রেপ্তার:
🔴 উত্তরাখণ্ডের ভোলেবাবা ডেয়ারির মালিক বিপিন জৈন ও পোমিল জৈন
🔴 তামিলনাড়ুর বৈষ্ণবী ডেয়ারির অপূর্ব বিনয় কান্ত
🔴 তেলঙ্গানার এআর ডেয়ারির রাজু রাজাশেখরন
✅ পালিয়ে গিয়েছে:
🔴 মূল পরিকল্পনাকারী ইউক্রেনীয় নাগরিক জন কার্টার ও ভিক্টোরিয়া কোওয়ালেঙ্কো
🔴 ইন্টারপোল ইতিমধ্যেই ব্লু কর্নার নোটিস জারি করেছে।
🔍 তদন্তে উঠে এল আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য!
🛑 প্রথমে সংস্থার ইনস্টাগ্রাম পোস্টে বলা হয়— “সিইও তৌসিফ রেয়াজ ও অ্যানালিস্ট অভিষেক গুপ্ত সংস্থার নাম ডুবিয়েছেন।”
🛑 পরে তৌসিফ নিজেই দাবি করেন, তিনি কেলেঙ্কারির পর্দাফাঁস করেছেন!
🛑 তবে পুলিশ তদন্তে জানতে পারে, তৌসিফই আসলে ইউক্রেনীয় নাগরিক জন কার্টার, যিনি নাম পরিবর্তন করে প্রতারণা চালিয়ে যাচ্ছিলেন!
⚖️ আইনি পদক্ষেপ ও তদন্তের অগ্রগতি
✅ অর্থনৈতিক অপরাধ শাখা (EOW) মহারাষ্ট্রের ‘আমানত সংরক্ষণ আইন’ ও ভারতীয় ন্যায় সংহিতা অনুযায়ী মামলা দায়ের করেছে।
✅ মুম্বই ও জয়পুরে ১০টি জায়গায় পুলিশ অভিযান চালিয়েছে।
✅ আদালতে জানানো হয়েছে, ১১,০০০ বিনিয়োগকারীর অভিযোগ জমা পড়েছে এবং শতাধিক কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে।
🚨 উপসংহার: আরও কতজন এই কেলেঙ্কারির শিকার?
এই ঘটনা প্রমাণ করছে, অত্যধিক মুনাফার লোভে না পড়ে বিনিয়োগের আগে ভালোভাবে যাচাই করা দরকার। অনেকেই অল্প সময়ে বেশি টাকা ফেরতের লোভে সম্পদ হারিয়েছেন।
গুরুতর অসুস্থ ওড়িয়া অভিনেতা উত্তম মহান্তি, ভেন্টিলেশনে রেখে দিল্লিতে স্থানান্তর