শ্রেয়সের অকপট স্বীকারোক্তি!
ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথম একদিনের ম্যাচে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দেখালেন শ্রেয়স আয়ার। মাত্র ৩৬ বলে ৫৯ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলে ভারতকে জয়ের পথে এগিয়ে দেন তিনি। যদিও ম্যাচের সেরা নির্বাচিত হয়েছেন শুভমন গিল, তবে শ্রেয়সের বিধ্বংসী ব্যাটিং ইংল্যান্ডের হাত থেকে ম্যাচ ছিনিয়ে নেয়।
তবে ম্যাচ শেষে এক বিস্ফোরক স্বীকারোক্তি করেছেন শ্রেয়স। তিনি জানিয়েছেন, “বিরাট কোহলি যদি ফিট থাকতেন, তাহলে একাদশে আমার জায়গাই হত না।”
শেষ মুহূর্তে একাদশে সুযোগ পেলেন শ্রেয়স
শ্রেয়স জানিয়েছেন, ম্যাচের আগের রাত পর্যন্ত তিনিও জানতেন না যে তিনি খেলতে চলেছেন। সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “বুধবার রাতে রোহিত ভাই আমাকে বলেছিল, ‘তুমি খেলতেও পারো।’ কারণ, বিরাট ভাইয়ের হাঁটুতে চোট ছিল। ও ফিট থাকলে প্রথম একাদশে আমার সুযোগ পাওয়ার সম্ভাবনা ছিল না।”
তবে সুযোগ পেয়েই নিজের সামর্থ্যের প্রমাণ দিয়েছেন শ্রেয়স। চার নম্বরে নেমে দুর্দান্ত ব্যাটিং করেন, শুভমন গিলের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ পার্টনারশিপ গড়ে তোলেন এবং ইংল্যান্ড বোলারদের ওপর চড়াও হন। ম্যাচে ৯টি চার ও ২টি ছক্কা হাঁকান তিনি।
দ্বিতীয় ম্যাচে কি জায়গা পাবেন শ্রেয়স?
বিরাট কোহলি দ্রুত সুস্থ হয়ে গেলে দ্বিতীয় ম্যাচে শ্রেয়স একাদশে জায়গা পাবেন কি না, তা নিয়ে রয়েছে অনিশ্চয়তা। ভারতীয় দল নতুন ওপেনার যশস্বী জয়সওয়ালকে প্রথম ম্যাচে সুযোগ দিয়েছিল, কিন্তু তিনি ১৫ রানেই আউট হয়ে যান। বিরাট ফিরলে যশস্বীকে বাদ দিয়ে শুভমনকে ওপেনিংয়ে পাঠানো হতে পারে। সেই ক্ষেত্রে শ্রেয়স তার চার নম্বর জায়গা ধরে রাখতে পারেন।
তবে শ্রেয়স এখনই ভবিষ্যৎ নিয়ে ভাবতে রাজি নন। তিনি বলেন, “পরের ম্যাচে কী হবে, তা নিয়ে এখনই ভাবছি না। এই ম্যাচে ভালো খেলতে চেয়েছিলাম, সেটাতে সফল হয়েছি।”
শুভমনের তিন নম্বরে ব্যাটিং অভিজ্ঞতা
ম্যাচের সেরা হওয়া শুভমন গিল সাধারণত ওপেন করেন, তবে প্রথম ম্যাচে তিন নম্বরে ব্যাট করতে পাঠানো হয় তাকে। প্রথম দিকে দ্রুত দুই উইকেট হারিয়ে ফেলার পর তিনি দলকে সামলান। শুভমন বলেন, “আমি টেস্টেও তিন নম্বরে ব্যাট করি, তাই মানিয়ে নেওয়ার কিছু ছিল না। ওপেনাররা দ্রুত ফিরে গেলে এক ধরনের মানসিকতা নিয়ে ব্যাট করতে হয়, আর বড় পার্টনারশিপ হলে আক্রমণাত্মক শট খেলার সুযোগ পাওয়া যায়।”
রোহিতের সঙ্গে নেতৃত্বের অভিজ্ঞতা
শুভমন এই সিরিজে সহ-অধিনায়কের ভূমিকা পালন করছেন। নিজের দায়িত্ব সম্পর্কে তিনি বলেন, “রোহিত ভাই আমার সঙ্গে আলোচনা করে বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নিচ্ছিল। আমার পরামর্শও চাইছিল। ওর সঙ্গে কাজ করতে পেরে ভালো লাগছে।”
রিভার্স সুইপ খেলার নির্দেশ ছিল?
শুভমন ও শ্রেয়স, দু’জনেই ইংল্যান্ডের স্পিনারদের বিরুদ্ধে রিভার্স সুইপ খেলেন। তবে এটা কি টিম ম্যানেজমেন্টের কোনো পরিকল্পনার অংশ ছিল? শুভমন জানান, “দল থেকে কোনো নির্দিষ্ট নির্দেশ ছিল না। স্পিনারদের বল খুব বেশি টার্ন করছিল, তাই সোজা শট নেওয়া কঠিন হয়ে যাচ্ছিল। স্কোরবোর্ড সচল রাখতে সুইপ ও রিভার্স সুইপ খেলতে হয়েছে। পেসারদের বিরুদ্ধে শট নেওয়া সহজ ছিল।”
দ্বিতীয় ম্যাচে বদল আসবে?
দ্বিতীয় একদিনের ম্যাচ রবিবার অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে বিরাট কোহলি ফিট হয়ে দলে ফিরলে ওপেনিংয়ে পরিবর্তন আসতে পারে। শুভমনকে ওপেনিংয়ে পাঠানো হলে শ্রেয়স হয়তো চার নম্বরে খেলতে পারেন। তবে ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্ট শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত সিদ্ধান্ত নিতে চাইবে।
যাই হোক, ইংল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে শ্রেয়স আয়ারের পারফরম্যান্স দেখিয়ে দিল, সুযোগ এলে তিনি সেটাকে দুই হাতে কাজে লাগাতে প্রস্তুত!
পার্লামেন্টের আপত্তি উড়িয়ে আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে খেলবে ইংল্যান্ড