দিল্লি ভোটের আগে কেনাবেচার অভিযোগ!
দিল্লি বিধানসভা ভোটের গণনার আগে উত্তেজনা তুঙ্গে! আর এই আবহেই প্রকাশ্যে এলো রাজনৈতিক কেনাবেচার অভিযোগ। আম আদমি পার্টির (আপ) প্রধান অরবিন্দ কেজরীওয়াল সরাসরি দাবি করলেন, বিজেপি তাঁর দলের সম্ভাব্য জয়ী প্রার্থীদের দলে টানতে গোপনে যোগাযোগ করছে এবং ১৫ কোটি টাকা ও মন্ত্রিত্বের টোপ দিচ্ছে! যদিও বিজেপি এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে বলেছে, ‘আমাদের এমন কিছু করার প্রয়োজনই নেই, কারণ নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে চলেছি।’
কেজরীর বিস্ফোরক অভিযোগ
বৃহস্পতিবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে দিল্লির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কেজরীওয়াল বলেন, ‘‘আমাদের দলের ১৬ জন প্রার্থীকে ফোন করে বলা হয়েছে, বিজেপিতে যোগ দিলে ১৫ কোটি টাকা দেওয়া হবে। শুধু তাই নয়, তাঁরা মন্ত্রিত্বও পাবেন!’’ কেজরীর দাবি, এই ঘটনার নেপথ্যে রয়েছে বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব। ভোট গণনার আগে তাঁর দলকে দুর্বল করতেই এই চক্রান্ত চলছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।
দলের আরেক নেতা এবং বিদায়ী মন্ত্রী মুকেশ অহলয়তও এমনই অভিযোগ তুলেছেন। তাঁর কথায়, ‘‘আমাকে ফোন করে বলা হয়েছে, বিজেপিতে এলে টাকা আর মন্ত্রিত্ব দুই-ই পাব!’’ কেজরীওয়াল আরও বলেন, ‘‘এটি গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে একটি বড় ষড়যন্ত্র। বিজেপি বুঝে গিয়েছে তারা হারতে চলেছে, তাই এভাবে কেনাবেচার খেলা খেলছে।’’
বিজেপির পাল্টা জবাব
বিজেপি অবশ্য আপের এই অভিযোগকে পাত্তা দিতে রাজি নয়। দিল্লি বিজেপির সভাপতি বীরেন্দ্র সচদেব শুক্রবার বলেন, ‘‘আমরা নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে চলেছি। অন্য কোনো দলের বিধায়কদের প্রয়োজন নেই। কেজরীওয়াল বুঝে গিয়েছেন, আপ এবার হারছে, তাই হতাশা থেকেই এসব ভিত্তিহীন অভিযোগ করছেন।’’
ভোটের লড়াইয়ে কে এগিয়ে?
বুধবার দিল্লির ৭০টি বিধানসভা আসনে ভোটগ্রহণ হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, এবারের ভোটদানের হার ৬০.৪২%।
যদিও গণনার আগেই দুই শিবিরই নিজেদের জয় নিশ্চিত বলে দাবি করছে, কিন্তু অধিকাংশ বুথফেরত সমীক্ষা বলছে, এইবার বিজেপি দিল্লির ক্ষমতা দখল করতে পারে। ২০২০ সালের নির্বাচনে আপ ৭০টির মধ্যে ৬২টি আসন জিতেছিল, আর বিজেপির ঝুলিতে ছিল মাত্র ৮টি আসন। তবে এবারের নির্বাচনে রাজনৈতিক সমীকরণ বদলাতে পারে বলে ইঙ্গিত দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
এরপর কী?
এই কেনাবেচার অভিযোগকে কেন্দ্র করে দিল্লির রাজনীতি এখন সরগরম। বিজেপির দাবি, তারা নিজের শক্তিতেই সরকার গড়বে, অন্যদিকে আপ বলছে, বিজেপি টাকা দিয়ে বিধায়ক কিনতে চাইছে।
আগামীকাল ভোট গণনা। তখনই স্পষ্ট হয়ে যাবে দিল্লির মসনদ কার হাতে উঠতে চলেছে—আপের, নাকি বিজেপির!
শিবলিঙ্গে দুগ্ধস্নান, মহাকুম্ভে কি এবার পুণ্যের পথে ভিকি কৌশল?