কেজরীওয়ালের তীব্র কটাক্ষ নির্বাচন কমিশনারকে
দিল্লিতে ভোটের প্রচারের শেষ দিনে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমারকে কটাক্ষ করলেন আম আদমি পার্টির প্রধান অরবিন্দ কেজরীওয়াল। তাঁর অভিযোগ, বিজেপিকে ভোটে জেতানোর জন্য নির্বাচন কমিশন কার্যত আত্মসমর্পণ করেছে।
সোমবার সাংবাদিক বৈঠকে কেজরীওয়াল বলেন, ‘‘আজ নির্বাচন কমিশন যে ভাবে বিজেপির সামনে নতিস্বীকার করেছে, তাতে মনে হচ্ছে তাদের অস্তিত্বই নেই। জনগণের মনে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে, এই মাসের শেষে মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের পদ থেকে অবসর নেওয়ার পরে রাজীব কুমার কোন পদ পেতে চলেছেন? তাঁকে কী ধরনের পদের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে?’’
‘হোম ভোটিং’ নিয়ে গুরুতর অভিযোগ
কেজরীওয়ালের অভিযোগ, মঙ্গলবার রাতে দিল্লির ভোটপর্ব শুরুর আগে কমিশনের একাংশের সহযোগিতায় ‘হোম ভোটিং’-এর নামে বড়সড় কারচুপির ছক কষেছে বিজেপি। তাঁর দাবি, রাজধানীর বিভিন্ন বস্তির দরিদ্র ভোটারদের কাছে কমিশনের নাম করে বিজেপির কর্মীরা নকল ইভিএম নিয়ে হাজির হবে। এরপর সেই নকল ইভিএমের বোতাম টিপিয়ে ভোটারদের আঙুলে ভোটদানের কালি লাগিয়ে দেওয়া হবে। এতে ওই ভোটাররা পরদিন আর প্রকৃত ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিতে পারবেন না। কেজরীর কথায়, ‘‘এ এক ভয়ঙ্কর ষড়যন্ত্র। ভোট গণতন্ত্রের মূল স্তম্ভ, অথচ তাকে এভাবে প্রহসনে পরিণত করা হচ্ছে।’’
দিল্লির ভোটের লড়াই
আগামী ৫ ফেব্রুয়ারি দিল্লির ৭০টি বিধানসভা আসনে এক দফায় ভোটগ্রহণ হবে, যার ফলাফল ঘোষণা হবে ৮ ফেব্রুয়ারি। নির্বাচনের মূল লড়াই আপ এবং বিজেপির মধ্যেই সীমাবদ্ধ বলে বিভিন্ন জনমত সমীক্ষার ইঙ্গিত মিলেছে। তবে কেজরীওয়ালের অভিযোগ, বিজেপি ইতিমধ্যেই দিল্লি পুলিশ এবং নির্বাচন কমিশনের সহযোগিতায় ভোটে কারচুপির চেষ্টা চালাচ্ছে।
নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন
আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারি মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার অবসর নেবেন। তাঁর উত্তরসূরি নির্বাচন করতে ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় সরকার একটি সার্চ কমিটি গঠন করেছে। কিন্তু কেজরীওয়ালের অভিযোগ, বিদায়ী মুখ্য নির্বাচন কমিশনার তাঁর নিরপেক্ষতা বজায় রাখেননি। তিনি বলেন, ‘‘নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা দেখে মনে হচ্ছে, তাঁরা বিজেপির হয়ে কাজ করছেন। সাধারণ মানুষের মনে প্রশ্ন উঠছে, অবসরের পর তিনি কী পুরস্কার পেতে চলেছেন?’’
কেজরীর আক্রমণের পরিপ্রেক্ষিত
এটাই প্রথম নয়, কেজরীওয়াল আগেও নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তুলেছেন। কিছুদিন আগেও তিনি বলেছিলেন, ‘‘বিজেপির জন্য নির্বাচন কমিশন নিয়ম বদলাচ্ছে। তাদের হয়ে মাঠে নেমেছে।’’ বিজেপি অবশ্য এই অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছে এবং একে ‘‘ভিত্তিহীন’’ বলে দাবি করেছে।
গোটা রান্না: সরস্বতী পুজোয় পূর্ব বাংলার ঐতিহ্য, চচ্চড়ির স্বাদে নতুনত্ব