খুশি কপূরের বদলে যাওয়া মুখ
বলিউডের দর্শকরা যখন খুশি কপূরের নাম শোনেন, তখনই একে অপরকে প্রশ্ন করতে শুরু করেন—”কি করে এত সুন্দর দেখায়?” শ্রীদেবীর কন্যা হওয়ায় খুশি ছোট থেকেই সবার চোখে ছিলেন। তবে বি-টাউনে পা রাখার আগে তাঁর চেহারা ছিল কিছুটা ভিন্ন, বিশেষ করে নাক, ঠোঁট এবং মুখের গড়ন। সময়ের সঙ্গে বদলেছে অনেক কিছুই, এবং এখন খুশি নিজের পরিবর্তন নিয়ে মুখ খুলেছেন।
খুশি কপূর সম্প্রতি বলিউডে পা রেখেছেন জ়োয়া আখতারের “আর্চিজ” সিনেমার মাধ্যমে। তার পরেই আসতে চলেছে তার দ্বিতীয় সিনেমা, “লাভইয়াপ্পা”, যেখানে তার সহ-অভিনেতা আমির খানের ছেলে জুনেইদ খান। তবে তাঁদের সিনেমার গানগুলি তো ভাইরাল হয়েছে, কিন্তু নেটপাড়ার কিছু মানুষ মনে করেন, জুনেইদ এবং খুশির মধ্যে কাঙ্ক্ষিত রসায়ন নেই।
খুশি কপূর ছোট থেকেই শ্রীদেবীর কন্যা হিসেবে জনপ্রিয়। কিন্তু তার পরিবর্তিত চেহারা নিয়ে নানা গুঞ্জন ছড়িয়েছে বি-টাউনে। অনেকেই মনে করেন, খুশি নিজেকে আরও সুন্দর ও আকর্ষণীয় করতে অস্ত্রোপচার করিয়েছেন। প্রশ্ন উঠেছে, কি পরিবর্তন করেছেন তিনি?
নেটপাড়ায় কিছুদিন আগে শ্রীদেবীর একটি পুরনো অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানের ভিডিও ভাইরাল হয়েছিল। সেখানে কিশোরী খুশিকে দেখে অনেকেই মন্তব্য করেছেন, “খুশির নাক ও ঠোঁটের গড়ন এখন অনেক বদলেছে।” সেই ভিডিও নিয়ে অনেকেই নানা রকমের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। তবে খুশি এই বিষয়ে নিজের মতামত স্পষ্ট করেছেন। তিনি জানিয়ে দেন, “আমি নাক ও ঠোঁটের অস্ত্রোপচার করিয়েছি, কিন্তু আমি মনে করি, এটি কোনো অপমানের বিষয় নয়।” তিনি আরও বলেন, “এটা কিছু বিশেষ ব্যাপার নয়, এবং আমি যেটা করেছি তা নিয়ে আমি গর্বিত।”
খুশি কপূর জানান, বি-টাউনে পা রাখার আগে অনেকেই তার চেহারা নিয়ে নেতিবাচক মন্তব্য করতেন। তাঁরা তার সম্পর্কে অনেক নেতিবাচক ধারণা পোষণ করতেন। তবে, খুশি জানিয়েছিলেন যে তিনি নিজেকে ভালোবাসেন এবং সকলের মতামত গুরুত্ব দেন না।
খুশি জানান, “অস্ত্রোপচার এমন কিছু নয়, যা নিয়ে লুকিয়ে থাকতে হবে বা হীনমন্যতা অনুভব করতে হবে। এটা শুধুমাত্র একটি ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত, এবং আমি তা করেছি যাতে নিজেকে আরও ভালোভাবে অনুভব করতে পারি।”
এখন, যখন খুশি তার চেহারা এবং অস্ত্রোপচার নিয়ে স্পষ্ট হয়েছেন, তখন অনেকেই তার সাহসের প্রশংসা করছেন। তাঁর মত, “নিজেকে ভালোভাবে দেখতে চাইলে, বা নিজের অস্বস্তির কোনো ব্যাপারে পরিবর্তন আনতে চাইলে, সেটি একেবারে ব্যক্তিগত বিষয় এবং তা নিয়ে কোনো আপত্তি থাকার কিছু নেই।”
এছাড়া, খুশি কপূরের শ্রীদেবী-কন্যা হওয়ার মানে এই নয় যে, তাঁর সব কিছু নিখুঁত হবে। বলিউডে পা রাখার পর তাঁকে নানা সমালোচনার মুখোমুখি হতে হয়েছে। তবে, তিনি যে ধরনের আত্মবিশ্বাস এবং মনের শান্তি বজায় রেখেছেন, তা একদম প্রাসঙ্গিক।
সর্বশেষে, খুশি কপূর তার চেহারা নিয়ে যেভাবে কথাবার্তা বলেছেন, তা শুধুমাত্র তাকে নয়, বরং আমাদের সবার জন্যই একটি শিক্ষণীয় বার্তা। পরিবর্তন বা উন্নতির জন্য কোনো অপমান বা লুকিয়ে থাকার প্রয়োজন নেই—নিজেকে ভালোবাসা এবং সৃষ্টিশীলতা অনুসরণ করা গুরুত্বপূর্ণ।
ত্রিবেণী সঙ্গম থেকে পুণ্যার্থীদের সরাতে কঠোর পদক্ষেপ, ঘোড়সওয়ার পুলিশ নামাল যোগী সরকার