‘অশালীন’ পোশাক পরলে বিমানে উঠতে দেওয়া হবে না!
আমেরিকার বিমান সংস্থা স্পিরিট এয়ারলাইন্স সম্প্রতি একটি নতুন পোশাকবিধি চালু করেছে, যা নিয়ে তীব্র বিতর্ক শুরু হয়েছে। সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, যাত্রীদের বিমানে ওঠার জন্য নির্দিষ্ট পোশাক পরা বাধ্যতামূলক। বিশেষভাবে, ‘অশালীন’ পোশাক পরা বা শরীরের একাংশ অতিরিক্ত প্রদর্শিত হওয়া যাত্রীদের বিমানে উঠতে দেওয়া হবে না। শুধু তাই নয়, যাদের শরীরে ট্যাটু রয়েছে এবং তা দৃশ্যমান, তাদেরও বিমানে উঠতে দেওয়া হবে না।
এই নতুন নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, শরীর দেখানো বা খালিপায়ে বিমানে ওঠা যাবে না। বিমান সংস্থা এমন পোশাকের তালিকা তৈরি করেছে যা তাদের ‘নো ফ্লাই’ (নিষিদ্ধ) তালিকায় রাখা হয়েছে। যা নিয়ে সোসাল মিডিয়াতে নানান প্রতিক্রিয়া এসেছে, এবং অনেকেই এর সমালোচনা করছেন।
নিউ ইয়র্ক টাইমস-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত বছর অক্টোবরে এক যাত্রী কেহিড়ি স্পিরিট এয়ারলাইন্সের বিরুদ্ধে পোশাকবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ তোলেন। তাঁর অভিযোগ ছিল, তিনি একটি ক্রপ টপ পরিধান করে বিমানে উঠেছিলেন, এবং সে জন্য তাকে বিমান থেকে নামিয়ে দেওয়া হয়। এই ঘটনার পরেই স্পিরিট এয়ারলাইন্স তাদের নতুন পোশাকবিধি ঘোষণা করে।
এমনকি, শুধুমাত্র স্পিরিট এয়ারলাইন্স নয়, আমেরিকার অন্যান্য বড় বিমান সংস্থাও similar পোশাকবিধি অনুসরণ করে। ইউনাইটেড এয়ারলাইন্স, জেটব্লু, ডেল্টা এবং আলাস্কা এয়ারলাইন্সের মতো সংস্থাগুলিতেও যাত্রীদের জন্য পোশাক সম্পর্কিত নির্দিষ্ট নিয়মাবলি রয়েছে।
এ ধরনের পোশাকবিধি চালু হওয়ার পর, যাত্রীদের মধ্যে প্রশ্ন উঠেছে—এটা কি প্রয়োজনীয় ছিল? বা, কি কারণে এই ধরনের বিধি সংস্থা চালু করেছে? এর ফলে সমালোচনার পাশাপাশি, কিছু মানুষ অবশ্য এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাচ্ছেন, কারণ তাদের মতে, এটি একটি পেশাদারী পরিবেশ বজায় রাখে। তবে, অনেকেই এটিকে স্বাধীনতার উপর আঘাত বলে মনে করছেন, যা একটি বড় বিতর্ক সৃষ্টি করেছে।
অবশ্য, পোশাকবিধি প্রসঙ্গে এই বিমান সংস্থাগুলির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এটি যাত্রীদের স্বাচ্ছন্দ্যের জন্য এবং বিমানের নিরাপত্তার জন্য করা হয়েছে।
বিয়ের মরসুমে সোনা ৮১ হাজার পেরোল! গয়না না কিনে কীভাবে বিনিয়োগে লাভ বাড়ানো যায়?

