বিচারক হতে চেয়েছিলেন রিঙ্কুর ‘বাগদত্তা’ প্রিয়া
সম্প্রতি ভারতীয় ক্রিকেটার রিঙ্কু সিংহ এবং সমাজবাদী পার্টির কনিষ্ঠ সাংসদ প্রিয়া সরোজের সম্পর্ক নিয়ে সারা দেশে হইচই শুরু হয়েছে। এক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়, রিঙ্কু এবং প্রিয়া সম্পর্কে জড়িয়েছেন এবং তারা শীঘ্রই এক হতে পারেন। তবে, এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই শুরু হয় নানা গুঞ্জন। সামাজিক মাধ্যমে বিষয়টি নিয়ে চর্চা তুঙ্গে উঠে, বিশেষ করে দুই পরিবারের মধ্যে কি সত্যিই প্রেম চলছে, তা নিয়ে নানা প্রশ্ন ওঠে। তবে, প্রিয়ার বাবা এবং উত্তরপ্রদেশের বিধায়ক তুফানি সরোজ কিছুটা শান্তি এনে জানান যে, রিঙ্কু এবং প্রিয়া প্রেম করছেন না, শুধুমাত্র বিয়ের জন্য পরিবারের মধ্যে আলোচনা চলছে।
তুফানি সরোজ স্পষ্ট করে বলেছেন যে, “রিঙ্কুর পরিবার বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিল, কিন্তু এখনও কোনো পাকাপাকি সিদ্ধান্ত হয়নি। প্রিয়া বর্তমানে তিরুঅনন্তপুরমে রয়েছেন, এবং এই বিষয়ে আলোচনা চলছে।” তিনি আরও জানান, রিঙ্কুর পরিবার প্রিয়ার জামাইবাবু, যিনি আলিগড়ের মুখ্য বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট, তাঁর সাথে যোগাযোগ করেছিলেন।
এদিকে, প্রিয়া সরোজের রাজনৈতিক ক্যারিয়ারও নজর কাড়ছে। প্রিয়া সমাজবাদী পার্টির মছলিশহর লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ এবং তার বাবার রাজনীতির ধারাবাহিকতায় তিনি ভারতের অন্যতম কনিষ্ঠ সাংসদ। ২৫ বছর বয়সে তিনি সাংসদ হিসেবে নির্বাচিত হন এবং বিজেপির হেভিওয়েট প্রার্থী ভোলানাথ সরোজকে ৩৫ হাজারেরও বেশি ভোটে পরাজিত করেন।
তবে, রাজনীতিতে পা রাখার আগে প্রিয়ার এক বিশেষ ইচ্ছা ছিল—তিনি একসময় বিচারক হতে চেয়েছিলেন। তিনি নিজেই বলেছেন, “রাজনীতিতে আসার কোনো ইচ্ছা আমার ছিল না। আইনে স্নাতক হওয়ার পর কোভিড-১৯ অতিমারির সময়ে আমি বিচারক হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম।” তাঁর পরিবারের সদস্যরা সবসময় তাঁর আইনি পেশায় এগিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে সমর্থন দিয়েছিলেন, কিন্তু রাজনীতির দুনিয়ায় প্রবেশের পর, তিনি নিজেকে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে সমর্পণ করেন।
প্রিয়া সরোজের জীবন যাত্রা অত্যন্ত সাধারণ, নির্বাচনী হলফনামা অনুযায়ী, তার নিজের কোনো বাড়ি বা গাড়ি নেই। তাঁর কাছে মাত্র ৫ গ্রাম সোনার গয়না রয়েছে এবং মোট সম্পত্তির পরিমাণ ১১ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা। যদিও রাজনৈতিক জীবনে এ ধরনের ঋণ-বিহীন জীবনযাপন অনেকেই সমর্থন করেন, তবে প্রিয়া তার পেশাদার জীবনের দিকে আরও এগিয়ে চলছেন।
প্রিয়ার পরিবারের রাজনৈতিক ঐতিহ্যও যথেষ্ট সমৃদ্ধ। তাঁর বাবা তুফানি সরোজ তিনবার সাংসদ ছিলেন, এবং প্রিয়ার নিজের সংসদে আসার পথও অনেকটা তাঁর পথ অনুসরণ করে হয়েছে। দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগে স্নাতক প্রিয়া, রাজনীতিতে আসার আগে আদালতের সোপানে তার ক্যারিয়ার গড়ার চিন্তা করেছিলেন।
রিঙ্কু সিংহ এবং প্রিয়া সরোজের সম্পর্ক নিয়ে যতই চর্চা হোক, ততই তাঁদের জীবনযাত্রা এবং ভবিষ্যতের পরিকল্পনা মানুষের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠছে। যদিও প্রিয়ার রাজনীতির জগতে পা দেওয়ার পিছনে কোনো পূর্ব পরিকল্পনা ছিল না, তবে এখন তিনি দেশ ও জনগণের জন্য কাজ করতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।
বুমরাহ খেলতে পারবেন কি না, জানেন না আগরকর ও রোহিতরা! তবু কেন রাখা হল চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দলে?