শান্তির খোঁজে বৃন্দাবনে কোহলি
অস্ট্রেলিয়া সফর থেকে ফিরে এবার মানসিক শান্তির খোঁজে বৃন্দাবনের প্রেমানন্দ গোবিন্দ শরণ জি মহারাজের আশ্রমে হাজির হয়েছেন ভারতীয় ক্রিকেট তারকা বিরাট কোহলি এবং তাঁর স্ত্রী বলিউড অভিনেত্রী অনুষ্কা শর্মা। অস্ট্রেলিয়া সিরিজে রানখরা এবং দলে তাঁর অবস্থান নিয়ে উঠতে থাকা প্রশ্নের মাঝেই এই সফরটি বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন অনেকেই।
অস্ট্রেলিয়া সফরের হতাশাজনক পারফরম্যান্স
পার্থে প্রথম টেস্টে শতরান করার পরও পরবর্তী চারটি ম্যাচে বিরাটের ব্যাট কথা বলেনি। ন’টি ইনিংসে তাঁর সংগ্রহ মাত্র ১৯০ রান। গড় ২৩.৭৫। অফ স্টাম্পের বাইরের বলে দুর্বলতা কাটিয়ে উঠতে না পারায় প্রায় প্রতিটি ইনিংসেই উইকেট ছুড়ে এসেছেন। এই পারফরম্যান্সের কারণে সমালোচনায় মুখর হয়েছেন ক্রিকেটপ্রেমী এবং প্রাক্তন ক্রিকেটাররা। কেউ কেউ তাঁকে রঞ্জি ট্রফিতে খেলতে যাওয়ার পরামর্শও দিয়েছেন।
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে আসন্ন একদিনের সিরিজে কোহলিকে বিশ্রাম দেওয়া হতে পারে। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতেও যদি রান না আসে, তবে টেস্টের পর একদিনের দলে তাঁর জায়গা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে পারে। এই চাপের মধ্যে কোহলির মনোজগতে অস্বস্তি কাজ করছে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
শান্তির খোঁজে বৃন্দাবনে
এই কঠিন সময়ে বিরাট এবং অনুষ্কা তাঁদের দুই সন্তানকে সঙ্গে নিয়ে বৃন্দাবনের আশ্রমে গিয়েছিলেন। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, মহারাজের আশীর্বাদ নিচ্ছেন এই দম্পতি। মহারাজ তাঁদের নম্র ব্যবহার এবং বিশ্বাসের প্রশংসা করেন। এমনকি অনুষ্কার ভূমিকা নিয়ে বলেন, বিরাটের মতো একজন সফল ব্যক্তিকে মানসিকভাবে সহায়তা করা কঠিন কাজ।
বিরুষ্কার আধ্যাত্মিক যাত্রা
এটি অবশ্য বিরাট-অনুষ্কার জন্য নতুন কোনো অভিজ্ঞতা নয়। তাঁরা মাঝেমধ্যেই বিভিন্ন আশ্রমে যান এবং দেশ-বিদেশে কীর্তনের অনুষ্ঠানে অংশ নেন। ঈশ্বরের প্রতি তাঁদের বিশ্বাস এবং মানসিক শান্তি ও শক্তির জন্য এই ধরনের আধ্যাত্মিক সফর তাঁদের জীবনের গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
ভবিষ্যৎ নিয়ে ভাবনা
সমালোচনার ঝড় সত্ত্বেও বিরাট কোহলি নিজের খেলায় ফিরে আসার জন্য কাজ করছেন। তবে এটি স্পষ্ট যে, মানসিক স্বস্তি এবং শক্তি ফিরে পাওয়ার জন্য আধ্যাত্মিকতা তাঁকে সহায়তা করছে। আগামী দিনে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি তাঁর জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সেখানে ভালো পারফরম্যান্স করতে না পারলে, দলে তাঁর জায়গা নিয়ে প্রশ্ন আরও জোরালো হতে পারে।
বিরুষ্কার এই আধ্যাত্মিক সফর কেবল মানসিক শান্তির জন্য নয়, বরং সমালোচনার চাপকে মোকাবিলা করার একটি পথ হিসেবেও দেখা যেতে পারে। তাঁরা জীবনের প্রতিটি চাপ ও সমালোচনাকে ধৈর্য এবং বিশ্বাসের সঙ্গে মোকাবিলা করার জন্য পরিচিত।
বিরাট কোহলি এবং অনুষ্কা শর্মার এই আধ্যাত্মিক পথচলা আমাদের সকলের জন্য একটি অনুপ্রেরণা হতে পারে। কঠিন সময়েও নিজেদের শান্তি ও শক্তির খোঁজে তাঁরা যে পথে হাঁটছেন, তা থেকে শেখার আছে অনেক কিছু।
এলঅ্যান্ডটি চেয়ারম্যানের মন্তব্যে বিতর্ক! কর্মীদের মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে চিন্তিত দীপিকা?

