কলকাতা ডার্বির রিপোর্ট কার্ড: মোহনবাগান বনাম ইস্টবেঙ্গল
শনিবার ইন্ডিয়ান সুপার লিগের (আইএসএল) ফিরতি ডার্বিতে মুখোমুখি হচ্ছে মোহনবাগান সুপার জায়ান্টস এবং ইস্টবেঙ্গল এফসি। ম্যাচটি গুয়াহাটির ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে। পয়েন্ট তালিকায় শীর্ষে থাকা মোহনবাগানের বিরুদ্ধে ১১তম স্থানে থাকা ইস্টবেঙ্গলের পারফরম্যান্সের ব্যবধান বিশাল হলেও ডার্বির মতো ম্যাচে কোনও দলকে এগিয়ে রাখা কঠিন। আনন্দবাজার অনলাইন দুই দলের পারফরম্যান্স ও সম্ভাবনা বিশ্লেষণ করেছে।
মোহনবাগান:
পয়েন্ট: ৭৩
মোহনবাগান এবারের আইএসএলে ধারাবাহিকভাবে সাফল্যের শিখরে রয়েছে। প্রথম একাদশের খেলোয়াড়দের বিশ্লেষণে তারা বেশ কিছু দিক দিয়ে এগিয়ে।
- বিশাল কাইথ (গোলরক্ষক, ৮): ১৪ ম্যাচে ৫১টি সেভ এবং সাতটি ক্লিন শিট। তেকাঠির নীচে তার উপস্থিতি দলকে আত্মবিশ্বাস জোগায়।
- আলবের্তো রদ্রিগেস (ডিফেন্ডার, ৭): ১১ ম্যাচে চারটি গোল এবং একটি অ্যাসিস্ট। ডিফেন্সের পাশাপাশি গোল করাতেও পারদর্শী।
- টম অলড্রেড (ডিফেন্ডার, ৬): ১৪ ম্যাচে ছ’টি ট্যাকল এবং একটি গোল। তবে গতি কিছুটা কম।
- শুভাশিস বসু (ডিফেন্ডার, ৬): অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করলেও গতি কম থাকায় আক্রমণ সামলাতে সমস্যায় পড়েন।
- মনবীর সিংহ (মিডফিল্ডার, ৬): ১৩ ম্যাচে তিনটি গোল এবং তিনটি অ্যাসিস্ট। ধারাবাহিকতায় ঘাটতি রয়েছে।
- গ্রেগ স্টুয়ার্ট (মিডফিল্ডার, ৮): ৯ ম্যাচে একটি গোল এবং পাঁচটি অ্যাসিস্ট। চোট কাটিয়ে ফেরার পরে দলকে নতুন মাত্রা দিচ্ছেন।
- জেমি ম্যাকলারেন (ফরোয়ার্ড, ৭): ১৩ ম্যাচে পাঁচটি গোল। বক্স স্ট্রাইকার হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ।
দলের ব্যাকআপ খেলোয়াড়দের মধ্যে দিমিত্রি পেত্রাতোস এবং জেসন কামিন্সের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে।
ইস্টবেঙ্গল:
পয়েন্ট: ৬৪
পয়েন্ট তালিকায় পিছিয়ে থাকা সত্ত্বেও ইস্টবেঙ্গল দল কিছু ক্ষেত্রে ভালো পারফরম্যান্স দেখিয়েছে।
- প্রভসুখন গিল (গোলরক্ষক, ৫): ১২ ম্যাচে ৩৩টি সেভ এবং চারটি ক্লিন শিট। তবে ধারাবাহিকতার অভাব।
- আনোয়ার আলি (ডিফেন্ডার, ৭): ১৩ ম্যাচে ১২টি ট্যাকল। দলের প্রধান ভরসা হলেও চোট পেয়ে ডার্বিতে তার খেলা অনিশ্চিত।
- লালচুংনুঙ্গা (ডিফেন্ডার, ৫): ১১ ম্যাচে ১৯টি ট্যাকল। তবে দু’বার লাল কার্ড পাওয়ায় দলের ক্ষতি হয়েছে।
- শৌভিক চক্রবর্তী (মিডফিল্ডার, ৭): নির্ভরযোগ্য পারফরম্যান্স। রক্ষণ ও মাঝমাঠের মাঝে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
- পিভি বিষ্ণু (মিডফিল্ডার, ৭): ১৩ ম্যাচে তিনটি গোল। তার গতি ও গোল করার ক্ষমতা দলের শক্তি।
- ক্লেটন সিলভা (ফরোয়ার্ড, ৬): ১৪ ম্যাচে একটি অ্যাসিস্ট। ফরোয়ার্ডের জায়গায় তার প্রভাব কমছে।
- দিমিত্রিয়স দিয়ামানতাকোস (ফরোয়ার্ড, ৬): ১০ ম্যাচে তিনটি গোল। তবে আগের মরসুমের ফর্ম ধরে রাখতে পারেননি।
ডেভিড মার এবং অন্যান্য ব্যাকআপ খেলোয়াড়রাও দলের হয়ে নির্ধারক ভূমিকা পালন করতে পারেন।
কে এগিয়ে?
দুই দলের পারফরম্যান্স বিশ্লেষণ করলে বোঝা যায়, মোহনবাগান অনেক দিক দিয়ে এগিয়ে। তবে ডার্বির চিরাচরিত নিয়মে জয় নির্ভর করে সেই দিনের খেলার মানের ওপর। ইস্টবেঙ্গল দুর্বল হলেও কিছু শক্তিশালী খেলোয়াড় দিয়ে চমক দেখানোর ক্ষমতা রাখে।
শনিবারের ডার্বি নিয়ে কলকাতার দুই প্রধান সমর্থকদের উত্তেজনা চরমে। মাঠে নামার অপেক্ষায় দুই দল, আর সমর্থকদের মনে শুধু একটাই প্রশ্ন—এই ডার্বির রাজা কে হবে?
প্রভাস থেকে শাহরুখ: ২০২৬ সালে বক্স অফিস মাতাতে পারে কোন তারকাদের ছবি?