অনন্যার পছন্দের জাদু পানীয়?
অভিনেত্রী অনন্যা পাণ্ডে নিজের স্বাস্থ্য এবং ত্বকের যত্নে যে ঘরোয়া উপায়গুলি ব্যবহার করেন, তার মধ্যে অন্যতম একটি হল জিরে ভেজানো জল। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে অনন্যা জানিয়েছেন, দিন শুরু করার জন্য এটি তাঁর প্রথম পছন্দ। এটি শুধু বিপাকহার উন্নত করতেই নয়, শরীরে আর্দ্রতা বজায় রাখার ক্ষেত্রেও দারুণ কার্যকর।
জিরে ভেজানো জলের উপকারিতা
বিপাকহার উন্নত করে
জিরেতে প্রচুর পটাশিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ়, আয়রন এবং ফাইবার রয়েছে। পুষ্টিবিদদের মতে, জলে ভিজলে জিরের মধ্যে থাকা খনিজ উপাদান দ্রুত শরীরে শোষিত হয়। এতে বিপাকহার উন্নত হয়, যা শরীর থেকে টক্সিন দূর করতে এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।

পেটের সমস্যা সমাধানে কার্যকর
পেটফাঁপা, গ্যাস বা হজমের সমস্যায় জিরে ভেজানো জল দারুণ উপকারী। এতে থাকা ফাইবার অন্ত্রের কার্যকারিতা উন্নত করে, ফলে হজম ভালো হয়।
ডায়াবিটিস নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে
জিরে ভেজানো জল রক্তে চর্বির মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে এবং ইনসুলিন সংবেদনশীলতা উন্নত করতে সাহায্য করে। এটি ডায়াবিটিস রোগীদের জন্য বিশেষ উপকারী।
ওজন কমাতে সাহায্য করে
২০১৫ সালে একটি গবেষণায় দেখা গেছে, জিরে এবং লিপিড নিয়ন্ত্রণে ওষুধের কার্যকারিতা প্রায় একই রকম। নিয়মিত জিরে ভেজানো জল খেলে বিএমআই এবং মেটাবলিজ়ম উন্নত হয়, যা ওজন কমানোর প্রক্রিয়ায় সহায়ক।
জিরে ভেজানো জল কীভাবে তৈরি করবেন?
১. বোতল প্রস্তুত করুন
এক লিটার জল ধরে এমন একটি কাচের বোতলে জল ভরে নিন।
২. জিরে যোগ করুন
বোতলে এক থেকে দুই চামচ গোটা জিরে দিয়ে দিন।
৩. সারা রাত ভিজিয়ে রাখুন
বোতলের মুখ আটকে সারা রাত রেখে দিন। যদি তাড়াহুড়ো থাকে, তবে অন্তত চার-পাঁচ ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখুন।
- জিরে ছেঁকে নিন
খাওয়ার আগে ছাঁকনি দিয়ে জল থেকে জিরে ছেঁকে নিন। - খালি পেটে পান করুন
সকালে মুখ ধুয়ে খালি পেটে এই জল পান করুন। চাইলে হালকা গরমও করে নিতে পারেন।
জিরে ভেজানো জল খাওয়ার সময় সতর্কতা
- পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করুন
প্রথমে এক লিটার জলে এক-দুই চামচ জিরে ব্যবহার করুন। অভ্যাস তৈরি হলে তিন থেকে চার চামচ পর্যন্ত বাড়ানো যেতে পারে। - অতিরিক্ত খাওয়া থেকে বিরত থাকুন
অতিরিক্ত জিরে ভেজানো জল খেলে হজমের সমস্যা হতে পারে। - পরামর্শ নিন
যদি শরীরে কোনো সমস্যা থাকে, তবে জিরে ভেজানো জল খাওয়ার আগে চিকিৎসক বা পুষ্টিবিদের সঙ্গে পরামর্শ করুন।
উপসংহার
জিরে ভেজানো জল খাওয়ার অভ্যাস শুধু অনন্যা পাণ্ডের মতো তারকাদেরই নয়, সাধারণ মানুষের জন্যও দারুণ উপকারী। এটি বিপাকহার উন্নত করে, হজমের সমস্যা দূর করে এবং শরীরকে আর্দ্র রাখে। তবে এর সঠিক ব্যবহার এবং পরিমাণ বজায় রাখা জরুরি। স্বাস্থ্যকর জীবনের জন্য এই ঘরোয়া টোটকা সহজেই আপনার দৈনন্দিন রুটিনে জায়গা পেতে পারে।
প্রিয়ঙ্কার সময় ব্যবস্থাপনার রহস্য: মায়ের অভিজ্ঞতা ও শিক্ষা

