দীপিকা পাড়ুকোনের সম্পত্তি
১৭ বছর ধরে বলিউডে নিজেদের কেরিয়ার তৈরি করেছেন দীপিকা পাড়ুকোন। ২০০৫ সালে মুম্বইয়ে প্রথমবার ফ্যাশন শোতে হাঁটার মাধ্যমে তার শোবিজ জগতে প্রবেশ। এরপর একে একে একাধিক বিজ্ঞাপন, মিউজ়িক ভিডিও এবং অভিনয় দিয়ে নিজের জায়গা তৈরি করেছেন তিনি। ২০০৭ সালে বলিউডে পা রেখেছিলেন ‘ওম শান্তি ওম’ ছবির মাধ্যমে, যেখানে তিনি শাহরুখ খানের বিপরীতে শান্তিপ্রিয়ার চরিত্রে অভিনয় করেন। সেই ছবি দিয়েই দীপিকা তার অভিনয় প্রতিভার পরিচয় দেন, যা তাকে বলিউডে স্থায়ী আসন এনে দেয়।
দীপিকা এখন ভারতের প্রথম সারির অভিনেত্রীদের মধ্যে অন্যতম। শুধু অভিনয়ের ক্ষেত্রে নয়, পারিশ্রমিকের দিক থেকেও তিনি বেশ এগিয়ে। ৩৯ বছরে পদার্পণ করা দীপিকা আজ নিজেকে শুধুমাত্র একজন সফল অভিনেত্রী হিসেবে নয়, বরং একাধিক ব্যবসায়ী হিসেবেও প্রতিষ্ঠিত করেছেন। তার সম্পত্তির পরিমাণ দেখে যে কেউ হতবাক হতে পারে। চলুন, দেখে নেওয়া যাক দীপিকার ৩৯ বছর বয়সে অর্জিত দারুণ সম্পত্তি।
দীপিকা পাড়ুকোনের সম্পত্তি
বর্তমানে দীপিকা পাড়ুকোনের মোট সম্পত্তির পরিমাণ প্রায় ৫০০ কোটি টাকা। এক একটি সিনেমার জন্য তিনি প্রায় ৩০ কোটি টাকা পারিশ্রমিক নেন, যা বলিউডের শীর্ষ অভিনেত্রীদের মধ্যে অন্যতম। মাসে তার আয় প্রায় ৩ কোটি টাকা এবং বার্ষিক আয় প্রায় ৪০ কোটি টাকার কাছাকাছি চলে।
দীপিকা পাড়ুকোনের সম্পত্তি কেবল তার অভিনয় থেকে আসে না, বরং তিনি একাধিক ব্যবসায়ও বিনিয়োগ করেছেন। তার নিজস্ব ত্বক পরিচর্যার ব্র্যান্ড রয়েছে, যা আরও একধাপ তাকে ব্যবসায়িক দিক থেকে সফলতা এনে দিয়েছে। সেইসঙ্গে তিনি বেশ কিছু আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডের বিজ্ঞাপনের মুখও। এই সব আয় মিলিয়ে দীপিকার ব্যবসায়িক সাম্রাজ্য দিন দিন বেড়েই চলেছে।
যতটা সম্ভব, দীপিকা ব্যক্তিগত জীবনেও বিলাসিতার কোনও কমতি রাখেননি। ২০১৩ সালে মুম্বইয়ের প্রভাদেবীতে একটি বিলাসবহুল বাড়ি কিনেছিলেন দীপিকা। তারপর, তার স্বামী রণবীর সিংহের সঙ্গে তিনি বান্দ্রাতে শাহরুখ খানের বাড়ির কাছেই আরও একটি নতুন বাড়ি কিনেছেন, যার মূল্য প্রায় ১১৯ কোটি টাকা। এই বাড়ির আয়তন ১১,২৬৬ বর্গফুট, যা মুম্বইয়ের বিলাসবহুল বাড়িগুলির মধ্যে অন্যতম।
এখানেই থামেননি দীপিকা। তার আরও একটি প্রপার্টি রয়েছে মুম্বইয়ের ওরলিতে, একটি পাঁচ কামরার ফ্ল্যাট, যার মূল্য ৪০ কোটি টাকা। এছাড়াও দীপিকা-রণবীর দম্পতি আলিবাগে ছুটি কাটাতে প্রায়ই যান এবং সেখানে তাদের একটি বাংলো রয়েছে, যার মূল্য ২২ কোটি টাকা।
এছাড়া দীপিকা বিভিন্ন সংস্থায় বিনিয়োগ করেছেন, যা তার মোট সম্পত্তি বৃদ্ধিতে সহায়ক। তার এই বিনিয়োগের মাধ্যমে অভিনেত্রী হিসেবে দীপিকা যে একটি ব্যবসায়ী হিসেবে নিজের স্থান তৈরি করেছেন, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
বলতে গেলে, দীপিকা পাড়ুকোন বর্তমানে একজন সফল অভিনেত্রী এবং ব্যবসায়ী, যার জীবন কেবল অভিনয় আর বিলাসিতার মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। তার পরিশ্রম, সৃজনশীলতা, এবং ব্যবসায়িক দক্ষতা তাকে আজকের অবস্থানে নিয়ে এসেছে। তার সম্পত্তি শুধুমাত্র তার খ্যাতি আর কাজের পরিমাণের প্রতিফলন নয়, এটি তার কঠোর পরিশ্রমের ফলস্বরূপ অর্জিত সাফল্যও বটে।
কোল্ড প্লে গানের অনুষ্ঠানে নোটিস! গায়ক ক্রিস মার্টিনকে আগেই সতর্ক করল গুজরাত প্রশাসন