Monday, December 1, 2025

ইডি অফিসারের বাড়িতে আচমকা সিবিআই হানা: উদ্ধার নোটের পাহাড়! কত টাকা পাওয়া গেল?

Share

ইডি অফিসারের বাড়িতে আচমকা সিবিআই হানা

শিমলার এক ইডি আধিকারিকের বাড়ি থেকে বিপুল পরিমাণ নগদ টাকা উদ্ধার করেছে সিবিআই। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা অভিযুক্ত অফিসারের বিরুদ্ধে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে তদন্ত চালাচ্ছিল। অভিযানের সময় ইডি আধিকারিক পলাতক ছিলেন, তবে তাঁর ভাইকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই ঘটনায় হিমাচল প্রদেশের প্রশাসনিক মহলে ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।

অভিযানের পটভূমি

এই চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে হিমাচল প্রদেশের শিমলায়। অভিযুক্ত ব্যক্তি এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি) সহকারী ডিরেক্টর পদে কর্মরত ছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে ঘুষ নেওয়ার গুরুতর অভিযোগ ওঠে। সিবিআইয়ের চণ্ডীগড় দফতরে দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনে একটি এফআইআর দায়ের করা হয়, যার ভিত্তিতেই তদন্ত শুরু হয়। তদন্তের প্রথম ধাপে অভিযুক্তের বাড়ি এবং দফতরে অভিযান চালায় সিবিআই।

অভিযানের সময়ের বিবরণ

শিমলার ছোটা শিমলা এলাকার স্ট্রবেরি হিলসের রানি ভিলায় অভিযুক্ত ইডি আধিকারিকের বাড়িতে সিবিআই অভিযান চালায়। প্রথম দফার অভিযানে বাড়ি থেকে ৫৪ লক্ষ টাকা উদ্ধার করা হয়। এই টাকা ঘুষ হিসাবে নেওয়া হয়েছিল বলে সিবিআইয়ের দাবি। অভিযুক্ত ব্যক্তি বাড়িতে অনুপস্থিত থাকলেও তাঁর ভাইকে ঘটনাস্থল থেকে গ্রেফতার করা হয়।

দ্বিতীয় দফার অভিযানে ওই বাড়ি থেকে আরও ৫৬ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা উদ্ধার হয়। সব মিলিয়ে অভিযুক্তের বাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়া টাকার পরিমাণ দাঁড়ায় ১ কোটি ১০ লক্ষ টাকা। এই বিপুল পরিমাণ নগদ অর্থ দেখে গোয়েন্দারাও বিস্মিত।

আরও অভিযানের ফলাফল

শুধু বাড়ি নয়, শিমলায় ইডি দফতরেও অভিযান চালিয়েছে সিবিআই। সেখান থেকে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। অভিযানে একটি বিলাসবহুল গাড়িও আটক করা হয়। চণ্ডীগড় এবং শিমলার সিবিআই আধিকারিকদের যৌথ তৎপরতায় এই অভিযান সম্পন্ন হয়েছে। তবে অভিযুক্ত ইডি কর্তার এখনও কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। সিবিআই জানায়, তাঁর খোঁজে তল্লাশি অব্যাহত রয়েছে।

অভিযুক্তের বিরুদ্ধে অভিযোগ

সিবিআই সূত্রে জানা যায়, অভিযুক্ত ইডি অফিসার এবং তাঁর ভাই, দু’জনের বিরুদ্ধেই আর্থিক তছরুপ প্রতিরোধ আইনের মামলায় জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। এই মামলাটি তিন বছর পুরনো। সেই মামলার সূত্র ধরেই তাঁদের বিরুদ্ধে ঘুষ নেওয়ার প্রমাণ সংগ্রহ করছিল কেন্দ্রীয় সংস্থা। এই প্রমাণের ভিত্তিতেই অভিযানের পরিকল্পনা করা হয়।

প্রশাসনিক প্রতিক্রিয়া

এই ঘটনায় হিমাচল প্রদেশের প্রশাসনে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। একজন উচ্চপদস্থ ইডি অফিসারের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ এবং তাঁর বাড়ি থেকে এত পরিমাণ নগদ টাকার উদ্ধার কেলেঙ্কারি সৃষ্টি করেছে। এর ফলে ইডি এবং অন্যান্য প্রশাসনিক বিভাগের সততার ওপর প্রশ্নচিহ্ন উঠেছে।

ভবিষ্যৎ পদক্ষেপ

সিবিআই এখন মূল অভিযুক্তের খোঁজ চালাচ্ছে। তাঁর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও ভাবা হচ্ছে। অভিযুক্ত অফিসারকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসতে পারে বলে ধারণা।

এই ঘটনা প্রমাণ করে, ঘুষ এবং দুর্নীতি প্রতিরোধে কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলির তৎপরতা কতটা জরুরি। দেশের প্রশাসনিক ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা আনতে এমন পদক্ষেপগুলি গুরুত্বপূর্ণ।

সারসংক্ষেপ

শিমলার এই ঘটনায় যে পরিমাণ অর্থ উদ্ধার হয়েছে, তা শুধু একটি ঘুষের ঘটনার নয়, বরং দুর্নীতির গভীর চিত্র তুলে ধরে। অভিযুক্তের গ্রেফতার এবং ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্তই ভবিষ্যতে দেশের প্রশাসনিক ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে পারে।

Read more

Local News