‘খাদান’-এর সাফল্যে উচ্ছ্বসিত দেব
বাংলা সিনেমার দর্শকদের উন্মাদনা এবার যেন নতুন এক উচ্চতায় পৌঁছাল। দেব অভিনীত এবং বহুল প্রতীক্ষিত ছবি ‘খাদান‘ মুক্তির প্রথম দিনেই নজির গড়ল। উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জে রাত ২টোর শো হাউজফুল! এই অভূতপূর্ব সাফল্যে উচ্ছ্বসিত স্বয়ং দেব সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের আনন্দ প্রকাশ করেছেন।
দেবের কথায় ‘খাদান উৎসব শুরু’
নিজের ভেরিফায়েড সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টে একটি ভিডিও শেয়ার করে দেব লিখেছেন, ‘খাদান উৎসব শুরু। এটা একেবারে অর্গানিক, নতুন যুগের শুরু।’ রায়গঞ্জের একটি প্রেক্ষাগৃহের বাইরে রাত ২টোর ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে দর্শকদের উচ্ছ্বাস। যেন রাত নয়, সবে সন্ধ্যা নেমেছে। ১৫৯ আসনের এই সিনেমা হলে প্রথম দিনের রাত ২টোর শো অগ্রিম বুকিং শুরুর কিছুক্ষণের মধ্যেই হাউজফুল হয়ে যায়। দেবের এই সাফল্যে গোটা টলিউডে শুরু হয়েছে শুভেচ্ছার ঢল।
অগ্রিম বুকিং শুরুতে আফশোস, পরে সাফল্যের ঝলক
দেব নিজেই জানিয়েছিলেন, প্রথম দিকে শো এবং অগ্রিম বুকিং নিয়ে কিছুটা আফশোস ছিল। কিন্তু মুক্তির দিনে ছবিটা বদলে গেল। দেবের এই উচ্ছ্বাস শুধু রায়গঞ্জের রেকর্ডের জন্য নয়, গোটা বাংলা সিনেমার জন্য এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা হিসেবে দেখছেন তিনি। ‘খাদান’ যেন বাংলা চলচ্চিত্রের সেই হারিয়ে যাওয়া উত্তেজনাকে ফিরিয়ে এনেছে।
রায়গঞ্জে সিনেমার উন্মাদনা: এক অভূতপূর্ব ঘটনা
রায়গঞ্জের এই এসভিএফ প্রেক্ষাগৃহে রাত ২টোর শো দেখার জন্য মানুষ যেভাবে ভিড় জমিয়েছে, তা সত্যিই অভূতপূর্ব। টিকিট কেটে হলে ঢুকতে পারাটাই যেন দর্শকদের কাছে বড় প্রাপ্তি। বাংলা সিনেমার ইতিহাসে এটি এক বিরল ঘটনা। রাতের অন্ধকারেও হলের সামনে যে ভিড়, তা এক অন্যধরনের উৎসবের পরিবেশ সৃষ্টি করেছে।
টলিউডের শুভেচ্ছা বার্তা
দেবের এই সাফল্যে টলিউডের একাধিক ব্যক্তিত্ব শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। বিশেষ করে পরিচালক কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায় এই খবর নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করে দেবকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। দেবও নিজের ফেসবুক লাইভে এসে দর্শকদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন। তাঁর মতে, দর্শকদের এই ভালবাসাই একজন অভিনেতার সবচেয়ে বড় পুরস্কার।
‘খাদান’: দেব ও যীশুর অভিনয়ের ম্যাজিক
দেব ও যীশু সেনগুপ্ত অভিনীত ‘খাদান’ ইতিমধ্যেই দর্শকদের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে। ছবির গল্প, অভিনয় এবং নির্মাণ সবকিছুই দর্শকদের মন জয় করেছে। শুধু রায়গঞ্জ নয়, কলকাতাতেও ছবিটি ভালোই সাড়া ফেলেছে। এই ছবি নিয়ে দর্শকদের মধ্যে যে উন্মাদনা দেখা যাচ্ছে, তা বাংলা ছবির প্রতি আবারও মানুষের গভীর ভালোবাসার প্রমাণ।
নতুন যুগের সূচনা?
দেবের কথায়, ‘খাদান’ শুধু একটি ছবি নয়, এটি বাংলা সিনেমার নতুন যুগের সূচনা। রাত ২টোর মতো অপ্রচলিত সময়েও দর্শকদের হলমুখী হওয়া প্রমাণ করে বাংলা সিনেমার প্রতি তাদের গভীর ভালোবাসা। সিনেমা শিল্পের জন্য এটি একটি ইতিবাচক সংকেত। বাংলা ছবি আরও বড় এবং সাহসী প্রচেষ্টা করতে পারবে যদি দর্শকদের এমন সাড়া অব্যাহত থাকে।
উপসংহার
দেবের ‘খাদান’ শুধু একটি সফল সিনেমা নয়, এটি বাংলা চলচ্চিত্রের এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা। রায়গঞ্জের এই অভূতপূর্ব ঘটনা বাংলা ছবির ভবিষ্যতের জন্য এক বড় আশার আলো। দেব ও যীশুর মতো অভিনেতাদের প্রচেষ্টা এবং দর্শকদের অগাধ ভালোবাসা মিলে বাংলা সিনেমা আবারও নতুন উচ্চতায় পৌঁছাবে। ‘খাদান’ এই যাত্রারই সূচনা।