Monday, December 1, 2025

বাবাকে বিয়ে করলেন মেয়ে! নেটমাধ্যমে বিতর্কে ভাইরাল ভিডিয়ো

Share

বাবাকে বিয়ে করলেন মেয়ে!

অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি, ২৪ বছর বয়সি এক তরুণী তাঁর ৫০ বছর বয়সি বাবাকে বিয়ে করেছেন বলে দাবি করেছেন। সম্প্রতি সমাজমাধ্যমে এই সংক্রান্ত একটি ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়েছে, যা দেখে চমকে গিয়েছেন বহু মানুষ। ওই তরুণী নিজেই বাবার সঙ্গে তাঁর বিবাহিত জীবন নিয়ে কথা বলেছেন এবং জানিয়েছেন যে এতে কোনো লজ্জা নেই।

ভাইরাল ভিডিয়োর প্রসঙ্গ

এই বিতর্কিত ভিডিয়োটি সমাজবাদী পার্টির নেতা জয় সিংহ যাদব তাঁর এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডলে পোস্ট করেন। ভিডিয়োটি ইতিমধ্যেই পাঁচ লক্ষের বেশি মানুষ দেখেছেন। নেটমাধ্যমে সমানে ‘শেয়ার’ করা হচ্ছে এই ভিডিয়ো। অনেকে তাঁদের ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন কমেন্টে। বেশিরভাগ মন্তব্যে তরুণীর আচরণকে তীব্র সমালোচনা করা হয়েছে। নেটিজেনদের একাংশ দাবি করছেন, “বাবা-মেয়ের সম্পর্কের পবিত্রতা নষ্ট করার জন্য এ ধরনের কাজ আইনত অপরাধ।”

ভিডিয়োতে যা দেখা যাচ্ছে

ভিডিয়োটিতে দেখা যায়, এক তরুণী লাল শাড়ি পরে, গলায় মঙ্গলসূত্র এবং কপালে সিঁদুর নিয়ে এক মধ্যবয়স্ক পুরুষের পাশে দাঁড়িয়ে আছেন। ওই তরুণী বলেন, “ইনি আমার বাবা, তবে এখন থেকে আমরা স্বামী-স্ত্রী। এতে লজ্জার কিছু নেই।” পাশের ব্যক্তি, যাঁকে তিনি বাবা হিসেবে পরিচয় দেন, তাঁর কথাও ভিডিয়োতে ধরা পড়ে। তিনি বলেন, “হ্যাঁ, এটা সত্যি যে ও আমার মেয়ে। তাতে সমস্যা কোথায়?” তরুণী আরও বলেন, “আমি বাবাকে অনেকদিন ধরেই পছন্দ করি। অবশেষে দু’জনে ঠিক করেছি, আমরা বিয়ে করব।”

নেটমাধ্যমের প্রতিক্রিয়া

এই ভিডিয়ো ঘিরে নেটিজেনদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে। কেউ কেউ একে পুরোপুরি ভুয়ো বলে দাবি করেছেন। তাঁদের মতে, এই তরুণী শুধুমাত্র নেটমাধ্যমে প্রচার পাওয়ার জন্য এমন দাবি করেছেন। অনেকের মতে, এই ভিডিয়োটি পুরনো, কিন্তু সমাজবাদী পার্টির নেতা এটি শেয়ার করার পর আবার ভাইরাল হয়েছে। অনেকে এটিকে “সংস্কৃতি এবং পারিবারিক মূল্যবোধের অপমান” বলে উল্লেখ করেছেন।

সাহিত্যিক এবং সমাজ বিশ্লেষকদের মন্তব্য

এ ধরনের ঘটনাকে ঘিরে সমাজের মূল্যবোধ এবং নৈতিকতার প্রশ্ন উঠছে। মনোবিদদের মতে, এমন কাহিনি যদি সত্যিও হয়, তবে তা একটি গভীর মানসিক অসুস্থতার ইঙ্গিত দেয়। আবার কেউ কেউ মনে করছেন, এই ভিডিয়ো সম্ভবত পরিকল্পিত প্রচারের অংশ এবং এর বাস্তবতা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে।

আসল সত্য কী?

ভিডিয়োটির সত্যতা এখনও যাচাই করা যায়নি। তবে এই ভিডিয়ো যে সমাজমাধ্যমে বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে, তা স্পষ্ট। নেটিজেনদের একাংশ মনে করেন, এটি প্রচার পাওয়ার একটি সস্তা পন্থা, যা সমাজের মূল কাঠামো এবং সম্পর্কের পবিত্রতাকে আঘাত করেছে।

উপসংহার

এ ধরনের ঘটনা বা দাবির প্রভাব সামাজিক নৈতিকতার ওপর গভীর ছাপ ফেলে। সত্যতা যাচাই না করে এমন বিতর্কিত ভিডিয়ো শেয়ার করা উচিত কি না, তা নিয়েও প্রশ্ন ওঠা জরুরি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ব্যবহার যত বৃদ্ধি পাচ্ছে, ততই এ ধরনের বিভ্রান্তিকর এবং অস্বস্তিকর কন্টেন্ট ভাইরাল হচ্ছে। তাই এ ধরনের তথ্য যাচাই করার দায়িত্ব সবার।

Read more

Local News