ট্রাম্প প্রশাসনে আবারও ভারতীয় বংশোদ্ভূত
আমেরিকার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট এবং আগামী দিনের সম্ভাব্য প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তাঁর প্রশাসনে আবারও ভারতীয় বংশোদ্ভূতকে বড় দায়িত্ব দিলেন। ফেডারেল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (এফবিআই)-এর শীর্ষপদে নিয়োগ করা হয়েছে ভারতীয় বংশোদ্ভূত কাশ্যপ পটেলকে। ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ মহলে পরিচিত নাম কাশ্যপ এর আগে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের চিফ অফ স্টাফ এবং জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থার সন্ত্রাসদমন বিভাগের সিনিয়র ডিরেক্টরের মতো গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন।
ট্রাম্পের কণ্ঠে কাশ্যপের প্রশংসা
কাশ্যপের এই নিয়োগের ঘোষণা করে ট্রাম্প বলেন, “কাশ দুর্দান্ত এবং প্রতিভাবান আইনজীবী। দুর্নীতি ফাঁস এবং ন্যায়বিচার রক্ষায় তিনি একজন সত্যিকারের যোদ্ধা। আমেরিকার মানুষের স্বার্থে তাঁর ভূমিকা প্রশংসনীয়।” ট্রাম্পের প্রথম প্রশাসনে কাশ্যপ দক্ষতার সঙ্গে কাজ করেছিলেন বলে তাঁর প্রতি আস্থা রাখার বিষয়টিও উল্লেখ করেন তিনি।
কাশ্যপ পটেলের সংক্ষিপ্ত পরিচিতি
পুরো নাম কাশ্যপ প্রমোদ পটেল। তিনি নিউইয়র্কের গার্ডেন সিটিতে ১৯৮০ সালে জন্মগ্রহণ করেন। ব্রিটেনের ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডন থেকে আন্তর্জাতিক আইন নিয়ে পড়াশোনা করেন কাশ্যপ। পরে নিউইয়র্কে আইনজীবী হিসাবে কর্মজীবন শুরু করেন। তারপরে তিনি আমেরিকার প্রশাসনিক ব্যবস্থায় নিজের জায়গা করে নেন।
নতুন দায়িত্বে কাশ্যপ
কাশ্যপের নিয়োগের মধ্য দিয়ে ট্রাম্প এফবিআইকে ঢেলে সাজানোর পরিকল্পনা করেছেন। গোয়েন্দা সংস্থার কাঠামো এবং কাজের ধরনে পরিবর্তন আনতে কাশ্যপের মতো দক্ষ প্রশাসনিক কর্তার ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে। ট্রাম্প বরাবরই আমেরিকার গোয়েন্দা ব্যবস্থার উন্নতির পক্ষে সওয়াল করে এসেছেন। দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় এলে এই উন্নতির কাজ আরও জোরদার হবে বলেই মনে করা হচ্ছে।
জয় ভট্টাচার্যের পর আরও এক ভারতীয়
দিন কয়েক আগেই ট্রাম্প তাঁর প্রশাসনের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ পদে ভারতীয় বংশোদ্ভূত জয় ভট্টাচার্যকে নিয়োগ করেছিলেন। জয়কে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ হেলথের (এনআইএইচ) অধিকর্তা করা হয়েছে। কলকাতায় জন্ম নেওয়া জয় ভট্টাচার্য একজন অর্থনীতিবিদ এবং স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ। তিনি স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে পিএইচডি করেছেন এবং আমেরিকার ন্যাশনাল ব্যুরো অফ ইকনমিক রিসার্চের সঙ্গে যুক্ত।
ভারতীয় বংশোদ্ভূতদের অবদান
ট্রাম্প প্রশাসনে ভারতীয় বংশোদ্ভূতদের ভূমিকা ক্রমশই বাড়ছে। এর আগে নিখিল মেহতা, সিমা নন্দার মতো ব্যক্তিত্বরা গুরুত্বপূর্ণ পদে কাজ করেছেন। কাশ্যপ এবং জয় এই ধারাকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে চলেছেন।
ভবিষ্যতের ইঙ্গিত
কাশ্যপ পটেলের নিয়োগ আমেরিকার প্রশাসনে ভারতীয় বংশোদ্ভূতদের জন্য নতুন দ্বার উন্মোচন করেছে। এটি কেবল ভারতীয় সম্প্রদায়ের জন্য গর্বের বিষয় নয়, বরং দুই দেশের সম্পর্কের ক্ষেত্রেও একটি ইতিবাচক বার্তা। ট্রাম্প প্রশাসনে ভারতীয় বংশোদ্ভূতদের প্রভাব আগামী দিনে আরও বাড়বে বলেই বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।
ডোনাল্ড ট্রাম্পের এই নিয়োগ কাশ্যপ পটেলের দক্ষতার উপর অগাধ বিশ্বাস এবং তাঁর নেতৃত্বে এফবিআইয়ের ভবিষ্যৎ কার্যকারিতার উপর আস্থা স্থাপন করে। ভারতীয় বংশোদ্ভূতদের জন্য এটি আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক।