গল্ফগ্রিনে নাবালিকা মডেলকে চড়
গল্ফগ্রিনের এক অভ্যন্তরীণ ফোটোগ্রাফি সেশনে এক নাবালিকা মডেলকে অশালীন ভঙ্গিতে ছবি তোলার জন্য জোর করা হয়। মডেল সেই অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করলে, অভিযুক্ত ফোটোগ্রাফার তার ওপর চড় মারে। এই ঘটনাটি ২ নভেম্বর ঘটে এবং এর পরই থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়।
ঘটনা কীভাবে ঘটেছিল?
গল্ফগ্রিনের একটি স্থানে ফোটোগ্রাফির জন্য এক নাবালিকা মডেল উপস্থিত ছিলেন। অভিযোগ, অভিযুক্ত ফোটোগ্রাফার ওই মডেলকে আপত্তিকর পোশাক পরতে এবং অশালীন ভঙ্গিতে ছবি তুলতে জোর করতে থাকেন। মডেল বারবার জানিয়ে দেন যে, তিনি এই ধরনের ছবি তোলার জন্য প্রস্তুত নন। কিন্তু, তার পরেও ফোটোগ্রাফার ওই অনুরোধের ওপর জোর দিয়ে চলেন।
এ পরিস্থিতিতে, যখন মডেল তাঁর অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করতে থাকেন, তখন ক্ষিপ্ত হয়ে অভিযুক্ত ফোটোগ্রাফার মডেলকে সপাটে চড় মারেন। এরপর মডেল ঘটনাটি গল্ফগ্রিন থানায় জানিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা
এই ঘটনায় পুলিশ অভিযুক্ত ফোটোগ্রাফারের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৫(৩) ধারায় অভিযোগ গ্রহণ করেছে এবং তাকে থানায় হাজির হওয়ার জন্য নোটিস পাঠিয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনার তদন্ত চলছে এবং অভিযুক্ত ফোটোগ্রাফারের বিরুদ্ধে আরও ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে।
আইনি নিষেধাজ্ঞা ও চিত্র প্রকাশের বাধা
এ ধরনের ঘটনা সংক্রান্ত ছবি প্রকাশের ক্ষেত্রে আইনি নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। তাই, ঘটনার আসল ছবি সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশ করা সম্ভব নয়। তবে, এর মতো ঘটনায় সমাজে মডেলদের প্রতি শারীরিক এবং মানসিক সহিংসতা কতটা অগ্রহণযোগ্য, তা স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।
এই ধরনের ঘটনার প্রভাব
এ ধরনের ঘটনা সমাজে মহিলাদের এবং মডেলদের নিরাপত্তা ও সম্মান নিয়ে বড় প্রশ্ন তুলে ধরেছে। একদিকে, ফোটোগ্রাফি শিল্পের মধ্যে কিছু ব্যক্তির দ্বারা অশালীন আচরণ সামাজিক ও আইনগতভাবে অপরাধ, অন্যদিকে, এটি সেই সমস্ত মডেলদের জন্য এক বড় বিপদের সংকেত।
ফোটোগ্রাফি, মডেলিং বা শিল্পের অন্যান্য ক্ষেত্রগুলোতে যাতে কোনো ধরনের অবৈধ বা অশালীন চাপ তৈরি না হয়, তার জন্য আরও শক্তিশালী আইনি কাঠামো এবং সমাজিক সচেতনতা প্রয়োজন। নারীদের প্রতি সহিংসতার বিরুদ্ধে আইনটি আরও কঠোর করতে হবে, যাতে এই ধরনের ঘটনা ভবিষ্যতে আরও কমে যায়।
গল্ফগ্রিনে ঘটিত এই অশালীন আচরণের ঘটনা শুধু যে মডেলিং ইন্ডাস্ট্রির মধ্যে ঘটে, তা নয়; এটি সমাজের প্রতিটি স্তরে নারীর সম্মান ও নিরাপত্তার প্রশ্ন। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, এবং তদন্ত চলছে। আশা করা যায়, এই ধরনের ঘটনার পর সমাজে আরও সচেতনতা সৃষ্টি হবে এবং নারীদের প্রতি সহিংসতা কমবে।

