Monday, December 1, 2025

লিঙ্গভিত্তিক হিংসা কমাতে মিছিল, উঠল নিরাপত্তার দাবি

Share

লিঙ্গভিত্তিক হিংসা

বিশ্বে নারী ও বালিকাদের বিরুদ্ধে লিঙ্গভিত্তিক হিংসার ঘটনা দিন দিন বাড়ছে, যা মানবাধিকার লঙ্ঘনের অন্যতম প্রধান কারণ হিসেবে রাষ্ট্রপুঞ্জের পরিসংখ্যানে উঠে এসেছে। প্রতি ১০ মিনিটে এক নারী খুন হচ্ছেন, আর এই খুনের পিছনে মূলত লিঙ্গভিত্তিক হিংসার হাত রয়েছে। ভারতেও ২০২২ সালে প্রায় সাড়ে ৪ লক্ষ লিঙ্গভিত্তিক হিংসার অভিযোগ নথিভুক্ত হয়েছে, যা উদ্বেগজনক।

লিঙ্গভিত্তিক হিংসা কমানোর জন্য ২৫ নভেম্বর, নারী নির্যাতন নির্মূলের আন্তর্জাতিক দিবস হিসেবে পালন করা হয়েছে। এর মাধ্যমে শুরু হল ১৪ দিনব্যাপী একটি সচেতনতা অভিযান, যার লক্ষ্য বিশ্বব্যাপী লিঙ্গভিত্তিক হিংসার বিরুদ্ধে জনসচেতনতা বৃদ্ধি করা। একই সময়ে, এর প্রেক্ষাপটে ভারতের কিছু জায়গায় লিঙ্গভিত্তিক হিংসা কমানোর দাবিতে পথযাত্রা, মিছিল ও নানা কর্মসূচি পালিত হচ্ছে। এই পদযাত্রাগুলির মধ্যে একটি ছিল গড়িয়াহাট থেকে কালীঘাট মেট্রো স্টেশন পর্যন্ত, যেখানে শহরের বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন এবং নেটওয়ার্কের সদস্যরা অংশ নেন।

এই বিষয়ে কথা বলেন ‘স্বয়ম’ নামক এক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের অধিকর্তা অমৃতা দাশগুপ্ত। তিনি জানান, “নারী নির্যাতন এবং লিঙ্গভিত্তিক হিংসা একটি সামাজিক সমস্যা। তবে বেশিরভাগ সময়ই এসব বিষয় নিয়ে তেমন আলোচনা হয় না। গণমাধ্যমে কিছুটা আলোচনার সুযোগ হলেও, সাধারণ মানুষের মধ্যে এর গুরুত্ব নিয়ে খুব একটা সচেতনতা নেই। আর জি কর কাণ্ডের পর পরিস্থিতি পাল্টেছে, সাধারণ মানুষ এখন সক্রিয়ভাবে পথে নেমেছেন এবং বিষয়টি নিয়ে সবার মধ্যে আরও সচেতনতা তৈরি হচ্ছে।”

অমৃতা আরও বলেন, “মেয়েরা এখন কর্মক্ষেত্রে আরও বেশি করে অংশ নিচ্ছেন, তবে সেই সঙ্গে বাড়ছে তাদের বিরুদ্ধে হিংসার ঘটনা। আমাদের লক্ষ্য হলো, শুধু মেয়েদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা নয়, বরং সমাজের মানসিকতা পরিবর্তন করাও। সচেতনতা বাড়ানোর মাধ্যমে এ ধরনের ঘটনা কমিয়ে আনা সম্ভব।”

বর্তমানে সমাজের বিভিন্ন স্তরে নারীদের নিরাপত্তা নিয়ে নানা ধরনের উদ্বেগ রয়েছে। সম্প্রতি আর জি কর-কাণ্ডের মতো ঘটনা দেশজুড়ে আলোচিত হওয়ার পর, সেসব ঘটনার প্রেক্ষিতে অনেকেই নিজেদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন। বিশেষ করে মেয়েদের কর্মক্ষেত্রে সুরক্ষা, ঘরে-বাইরে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার বিষয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে।

শুধু শহরের মঞ্চে নয়, বিভিন্ন গ্রাম ও শহরেও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলো লিঙ্গভিত্তিক হিংসার বিরুদ্ধে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে। সামাজিক নিরাপত্তা ও মানসিকতার পরিবর্তন আনার জন্য সচেতনতা বাড়ানোর পাশাপাশি আইন ও নীতিগত পরিবর্তনও জরুরি হয়ে পড়েছে।

এছাড়া, নারীদের বিরুদ্ধে সহিংসতা ঠেকাতে সরকারের পক্ষ থেকে আরও শক্ত পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি উঠেছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, শুধু আইন এবং পুলিশি ব্যবস্থা নয়, জনগণের মধ্যে সচেতনতা, শিক্ষার প্রসার এবং সামাজিক ন্যায় প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে লিঙ্গভিত্তিক হিংসা কমানো সম্ভব।

অথবা, নারী নির্যাতন এবং লিঙ্গভিত্তিক হিংসা কমানোর লক্ষ্যে আরও বেশি কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি হয়ে পড়েছে, যাতে মেয়েরা নিজেদের নিরাপত্তা নিয়ে নিশ্চিন্ত

Read more

Local News