নিমতলা ঘাটের কাঠের গুদামে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড
কলকাতার নিমতলা ঘাটের কাছে একটি কাঠের গুদামে শুক্রবার গভীর রাতে ভয়াবহ আগুন লাগার ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে জানা গেছে, রাত আনুমানিক দেড়টার দিকে মহর্ষি দেবেন্দ্র রোড সংলগ্ন ওই গুদামে আগুন লাগে। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে দ্রুত দমকলের ২০টি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। যদিও টানা ৬ ঘণ্টা চেষ্টার পরও আগুন সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়নি। শনিবার সকালেও সাদা ধোঁয়া বের হতে দেখা গিয়েছে এবং দমকল কর্মীরা আগুন নেভানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
আগুন লাগার কারণ ও বিস্ফোরণের সম্ভাবনা
আগুন লাগার সঠিক কারণ এখনও স্পষ্ট নয়। তবে স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, আগুন লাগার পর তাঁরা কয়েকটি বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পান। প্রাথমিক অনুমান অনুযায়ী, গুদামে থাকা গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ফলে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। কাঠের গুদামে দাহ্য পদার্থ থাকার কারণে আগুন ভয়াবহ আকার ধারণ করে। এছাড়া, গঙ্গার হাওয়ার কারণে আগুন নেভাতে দমকলকর্মীদের বেশ বেগ পেতে হয়েছে।
ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার ও পুনর্বাসনের উদ্যোগ
এই দুর্ঘটনায় আশপাশের প্রায় ১৭টি পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাঁদের বাড়ি এবং সম্পত্তি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় গভীর সংকটে পড়েছেন তারা। রাজ্যের নারী ও শিশু কল্যাণ মন্ত্রী এবং স্থানীয় বিধায়ক শশী পাঁজা ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, আপাতত ক্ষতিগ্রস্তদের অস্থায়ী থাকার ব্যবস্থা করা হবে। প্রয়োজনে কমিউনিটি হল ব্যবহার করে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হবে।
দমকল ও প্রশাসনের তৎপরতা
প্রথমে দমকলের চারটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে এসে কাজ শুরু করলেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পরে আরও ১৬টি ইঞ্জিন আনা হয়। দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু জানিয়েছেন, দ্রুত পদক্ষেপের ফলে আগুন নতুন করে ছড়িয়ে পড়া আটকানো সম্ভব হয়েছে। তবে পুরোপুরি আগুন নেভাতে এবং এলাকা সম্পূর্ণ নিরাপদ করতে আরও কিছুটা সময় লাগবে। দমকল কর্মীদের সঙ্গে কলকাতা পুলিশ এবং বিপর্যয় মোকাবিলা দলের সদস্যরাও উদ্ধারকাজে সহযোগিতা করছেন।
স্থানীয়দের আতঙ্ক ও ভবিষ্যৎ পদক্ষেপ
অগ্নিকাণ্ডের পর স্থানীয় এলাকাবাসীর মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। আগুন দ্রুত আশপাশের এলাকায় ছড়িয়ে পড়ায় অনেকেই বাড়িঘর ছেড়ে নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিয়েছেন। মন্ত্রী শশী পাঁজা স্থানীয় বাসিন্দাদের আশ্বস্ত করে বলেছেন, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর পুনর্বাসনের জন্য দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এছাড়া, গুদামে কীভাবে আগুন লাগল, তা খতিয়ে দেখতে প্রশাসন তদন্ত শুরু করেছে।
নিমতলা ঘাটের এই ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছে। দমকল এবং প্রশাসনের তৎপরতায় বড় ধরনের প্রাণহানি এড়ানো গেলেও সম্পত্তির ক্ষতি মারাত্মক। ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনের পাশাপাশি, এমন ঘটনা যাতে ভবিষ্যতে না ঘটে, তার জন্য কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া অত্যন্ত জরুরি।
আপনার অনুরোধ অনুযায়ী বাংলা ভাষায় ৫০০ শব্দের সংবাদ লিখে দিয়েছি। আরও কিছু প্রয়োজন হলে জানান!