মমতার নতুন প্রশাসনিক পদক্ষেপ
সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশাসনিক পদে নিয়োগ করেছেন এক সময়ের সিপিএম ও পরে কংগ্রেস নেতা আব্দুস সাত্তারকে। ২০০৬-২০১১ সালে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের সরকারে সংখ্যালঘু উন্নয়ন ও মাদ্রাসা দফতরের মন্ত্রী ছিলেন সাত্তার। তাঁর বর্তমান পদ, সংখ্যালঘু উন্নয়ন ও মাদ্রাসা শিক্ষায় মুখ্যমন্ত্রীর প্রধান উপদেষ্টা হিসাবে নিযুক্ত হওয়া, রাজনৈতিক ক্ষেত্রে আলোচনার সূত্রপাত করেছে।
তিনটি মূল উদ্দেশ্য ও কৌশল
১. ফিরহাদ হাকিমের সমতুল্য একটি সংখ্যালঘু মুখ
তৃণমূল সরকার সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের কাছ থেকে ব্যাপক সমর্থন পেলেও রাজ্য জুড়ে প্রভাব বিস্তারকারী কোনো সংখ্যালঘু মুখ একমাত্র ফিরহাদ হাকিম। সাত্তারের নিয়োগের মাধ্যমে প্রশাসনে ফিরহাদের পাশাপাশি একটি বিকল্প সংখ্যালঘু মুখ তৈরি করার প্রয়াস চলছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
২. রাজনৈতিক দলত্যাগী নেতাদের বার্তা
সাধারণত রাজনৈতিক নেতারা প্রথমে তৃণমূলে যোগদান করেই প্রশাসনিক পদে আসেন। কিন্তু সাত্তারের ক্ষেত্রে মমতা সরাসরি প্রশাসনে তাঁকে স্থান দিয়েছেন। এটি অন্য দল থেকে আসা নেতাদের জন্য একটি স্পষ্ট বার্তা যে, দলের আনুষ্ঠানিকতা ছাড়াও যোগদান সম্ভব। এমন কৌশল তৃণমূলের নিয়োগের প্রক্রিয়ায় এক নতুন দিক উন্মোচিত করেছে।
৩. ওয়াকফ অভিজ্ঞতা কাজে লাগানো
সাম্প্রতিক সময়ে কেন্দ্রীয় ওয়াকফ আইন নিয়ে চলমান বিবাদের প্রেক্ষিতে, সংখ্যালঘু উন্নয়নে সাত্তারের অভিজ্ঞতা তৃণমূল প্রশাসন কাজে লাগাতে চাইছে। তাঁর অতীত অভিজ্ঞতা এই ইস্যুতে রাজ্য প্রশাসনকে সমর্থন করতে পারবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
আব্দুস সাত্তারের এই নিয়োগ রাজনৈতিক মহলে আলোচনার ঝড় তুলেছে এবং তৃণমূলের প্রশাসনিক কৌশলের অন্যতম দৃষ্টান্ত হয়ে দাঁড়িয়েছে।