ঘূর্ণিঝড় ‘ডেনা’র মোকাবিলায় শহরকে ঝুঁকিমুক্ত রাখতে কলকাতা পুরসভা ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে। ঝড়ের সময় বিদ্যুতের দুর্ঘটনা এড়াতে শহরের সমস্ত ত্রিফলা বাতি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে পুরসভা। পুর কমিশনার ধবল জৈনকে নোডাল অফিসার হিসেবে নিয়োগ করে প্রতিটি ওয়ার্ড ও বোরোতে বিশেষ টিম গঠন করা হয়েছে। এই টিমগুলো সার্বক্ষণিক নজরদারিতে থাকবে এবং দ্রুত সাড়া দিতে প্রস্তুত। পুরসভার কন্ট্রোল রুমে ২৪ ঘণ্টা নজরদারি চলবে, যেখানে সিসিটিভির মাধ্যমে শহরের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হবে। ঝড় পরবর্তী সময়ে যেকোনো জরুরি পরিস্থিতি সামাল দিতে এবং নাগরিক পরিষেবা সচল রাখতে কর্মীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে।
‘আমপান’ থেকে শিক্ষা নিয়ে এবার ‘ডেনা’র সম্ভাব্য প্রভাব এড়াতে নানামুখী পদক্ষেপ নিয়েছে পুরসভা। আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে ঘূর্ণিঝড়টি ওড়িশার উপকূলে আঘাত হানতে পারে। তবে এর প্রভাব কলকাতায় খুব বেশি না পড়লেও ঝোড়ো হাওয়া ও ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
এদিকে, পুরসভার উদ্যোগে ১৬টি বোরো অফিসে বিশেষ উদ্ধারদল মোতায়েন করা হয়েছে। গাছ পড়ে গেলে দ্রুত তা পরিষ্কার করতে হাইড্রোলিক ল্যাডার, ক্রেন, ডাম্পার প্রস্তুত রাখা হয়েছে। জলাবদ্ধতা এড়াতে নিকাশি বিভাগের সকল বুস্টার পাম্পিং স্টেশনগুলোতে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে এবং ২৮১টি নিকাশি মেশিন ও ৪৫২টি পাম্প সক্রিয় রয়েছে।
নিচু এলাকার ঝুঁকি কমাতে এবং জলাবদ্ধতা এড়াতে পাম্পের সক্রিয়তাও নিশ্চিত করা হয়েছে। বিশেষভাবে বিপজ্জনক বা ভগ্নপ্রায় বাড়ির বাসিন্দাদের সরিয়ে নিতে মাইকে প্রচার চালানো হচ্ছে। তাদের ২৪ থেকে ২৬ অক্টোবর পর্যন্ত পুরসভার নির্ধারিত আশ্রয় শিবিরে থাকার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

