ঘূর্ণিঝড় ডেনার তাণ্ডবেও প্রাণহানির খবর নেই
ঘূর্ণিঝড় ডেনার আঘাতে বিপর্যস্ত ওড়িশার উপকূলবর্তী এলাকা। তবে, সুরক্ষার পদক্ষেপের ফলে প্রাণহানির কোনও খবর নেই বলে জানিয়েছেন ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী মোহনচরণ মাঝি। শুক্রবার সকালে দুর্যোগ-পরবর্তী পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে তিনি জানান, প্রশাসনের সঠিক নজরদারি ও প্রস্তুতি থাকায় কোনও মৃত্যুর ঘটনা ঘটেনি।
প্রাণহানি রুখতে সঠিক পদক্ষেপ
মুখ্যমন্ত্রী মাঝি বলেন, “আমাদের সরকারের প্রধান লক্ষ্য ছিল, কোনও মানুষকে মারা যেতে দেব না, এবং আমরা সেই কথা রাখতে পেরেছি।” প্রশাসন আগে থেকেই উপকূলবর্তী অঞ্চলগুলিতে ৬ লক্ষ মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়েছিল। এর মধ্যে ৬০০০ গর্ভবতী মহিলাও ছিলেন, যাদের দ্রুত চিকিৎসা কেন্দ্রে পাঠানো হয়। স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি হওয়া ১৬০০ জন মহিলা ঘূর্ণিঝড়ের মধ্যেই সন্তানের জন্ম দিয়েছেন।
সাইক্লোন সেন্টারগুলির প্রস্তুতি
প্রাকৃতিক বিপর্যয় মোকাবিলায় আগাম পদক্ষেপ হিসাবে ৮৩২২টি সাইক্লোন সেন্টার প্রস্তুত রাখা হয়েছিল। বিপর্যয়ের সময় মানুষজনকে নিরাপদ স্থানে নিয়ে গিয়ে ৬০০৮টি সেন্টারে আশ্রয় দেওয়া হয়। এর ফলে বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি এড়ানো সম্ভব হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর কাছে প্রতিবেদন
মুখ্যমন্ত্রী আরও জানান, ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলার জন্য তাঁর নেতৃত্বাধীন বিজেপি সরকার কী কী পদক্ষেপ নিয়েছে, তা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে জানানো হয়েছে।
ডেনার আঘাত ও প্রভাব
বৃহস্পতিবার রাতে ডেনা ওড়িশার ভিতরকণিকা এবং ধামারার মধ্যবর্তী স্থানে আছড়ে পড়ে। রাত ১.৩০টা নাগাদ ঘূর্ণিঝড়ের কেন্দ্রীয় অংশ স্থলভাগ অতিক্রম করে এবং শুক্রবার সকাল ৭টার পর ‘লেজের’ অংশও স্থলভাগে প্রবেশ করে। বর্তমানে ঘূর্ণিঝড়ের অবস্থান হাবালিখাটি থেকে ৫০ কিলোমিটার দূরে, এবং এটি ধীরে ধীরে শক্তি হারিয়ে নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে বলে জানাচ্ছে আবহাওয়া দফতর।
ক্ষয়ক্ষতি ও উদ্ধারকাজ
ডেনার প্রভাবে ধামারা বন্দর সংলগ্ন গ্রাম এবং ভদ্রক অঞ্চলে বহু গাছ উপড়ে পড়ে রাস্তা বন্ধ হয়ে গেছে। তবে প্রশাসন দ্রুত উদ্ধারকাজ শুরু করেছে এবং পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।