স্বাস্থ্যসচিব সরানো যাবে না
জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলন ও অনশন ঘিরে উত্তাল পরিস্থিতির মধ্যেই সরাসরি বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি অনুরোধের সুরে যেমন কথা বললেন, তেমনি কিছু কঠিন সত্যের মুখোমুখিও করালেন তাঁদের। মূলত স্বাস্থ্যসচিবকে সরানোর দাবি নিয়ে অনড় থাকা ডাক্তারদের উদ্দেশ্যে মমতা স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন, “সবাইকে সরানো সম্ভব নয়।”
মুখ্যমন্ত্রীর অনুরোধ ও প্রতিশ্রুতি
শনিবার ধর্মতলায় অনশন মঞ্চে উপস্থিত মুখ্যসচিব ও স্বরাষ্ট্রসচিবের মাধ্যমে ডাক্তারদের সঙ্গে কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, “অনশন তুলে নিয়ে কাজে যোগ দিন। তোমাদের দাবি পূরণের জন্য আমাকে চার মাস সময় দাও। আমি তোমাদের দাবি শুনবো, কিন্তু দয়া করে অনশন ভেঙে কাজে ফিরে আসো।”
তিনি আরও বলেন, “তোমরা আমাকে মানো বা না মানো, আমি তোমাদের জন্য উদ্বিগ্ন। তোমাদের স্বাস্থ্য নিয়ে চিন্তিত। আমি অনুরোধ করছি, অনশন বন্ধ করে আলোচনায় বসো।”
ডাক্তারদের দাবি ও মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিক্রিয়া
ডাক্তাররা তাঁদের দাবিগুলি একে একে পড়ে শোনান মুখ্যমন্ত্রীর কাছে। প্রথম দাবিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজি হলেও, দ্বিতীয় দাবিতে—স্বাস্থ্যসচিবকে সরানোর বিষয়ে—তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দেন, “কোনও দুর্নীতির অভিযোগ থাকলে সরকার তা দেখবে, কিন্তু অভিযোগ হলেই কাউকে সরানো যাবে না।”
ডাক্তারদের আরও কয়েকটি দাবির মধ্যে রেফারেল পদ্ধতি, হাসপাতালের ফাঁকা বেডের খতিয়ান, সিভিক ভলান্টিয়ার নিয়োগ ও ছাত্র সংসদ নির্বাচনের মতো বেশ কয়েকটি বিষয় ছিল। এর মধ্যে রেফারেল পদ্ধতি নিয়ে একটি পাইলট প্রকল্প চালু হয়েছে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। তবে স্বাস্থ্যসচিবকে সরানোর দাবি তিনি নাকচ করে দেন।
আন্দোলনের ভবিষ্যৎ
মুখ্যমন্ত্রীর অনুরোধের পরেও, জুনিয়র ডাক্তাররা অনশন চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্তে অনড় রয়েছেন। তাঁরা স্পষ্ট জানিয়েছেন, যতক্ষণ না তাঁদের সব দাবি পূরণ হচ্ছে, অনশন প্রত্যাহার করা হবে না।
এখন দেখার বিষয়, মুখ্যমন্ত্রীর দেওয়া চার মাসের সময়সীমার মধ্যে দাবিগুলি কতটা পূরণ হয় এবং জুনিয়র ডাক্তাররা এই পরিস্থিতির সমাধানে আলোচনার মাধ্যমে কতটা এগিয়ে আসেন।