কালীপুজো মিটলেই ফের ভোটের দামামা
কালীপুজোর পরেই আবার ভোটের উত্তাপ বাড়ছে পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে। আগামী ১৩ নভেম্বর রাজ্যের ৬টি বিধানসভা আসনে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, যেখানে বিজেপি ইতিমধ্যেই তাদের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেছে। এই উপনির্বাচন রাজ্যের রাজনীতিতে বিশেষ গুরুত্ব বহন করছে, কারণ লোকসভা নির্বাচনের আগে এটি দলের শক্তি প্রমাণের একটি বড় পরীক্ষা।
বিজেপির প্রার্থী তালিকা:
১. সিতাই – দীপককুমার রায়
২. মাদারিহাট – রাহুল লোহার
৩. নৈহাটি – রূপক মিত্র
৪. হাড়োয়া – বিমল দাস
৫. মেদিনীপুর – শুভজিত্ রায়
৬. তালড্যাংরা – অনন্ত রায়চৌধুরী
উপনির্বাচনের পটভূমি
এই উপনির্বাচনগুলি সেই আসনগুলিতে অনুষ্ঠিত হচ্ছে, যেখানে বিধায়কেরা সাংসদ নির্বাচিত হওয়ার পর বিধানসভা আসনগুলি শূন্য হয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, নৈহাটির বিধায়ক পার্থ ভৌমিক বর্তমানে রাজ্যের মন্ত্রী, আর মেদিনীপুরের বিধায়ক জুন মালিক এবং হাড়োয়ার বিধায়ক নূরুল ইসলাম সংসদ সদস্য হয়েছেন। ফলে এই আসনগুলি ফাঁকা হয়ে যাওয়ায় উপনির্বাচনের প্রয়োজন হয়েছে।
লোকসভা নির্বাচনের প্রভাব
লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যের ৩ বিধায়ক—রায়গঞ্জের কৃষ্ণ কল্যাণী, বাগদার বিশ্বজিৎ দাস, এবং রানাঘাট দক্ষিণের মুকুটমণি অধিকারী—তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন। তারা একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির টিকিটে জিতলেও, পরবর্তীতে তৃণমূলে যোগ দেন এবং লোকসভা নির্বাচনে প্রার্থী হন। বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পর তাদের জায়গায় নতুন উপনির্বাচনের প্রয়োজন হয়।
তৃণমূলের শক্তি বৃদ্ধি
তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী কৃষ্ণ কল্যাণী রায়গঞ্জে জিতেছেন, মুকুটমণি অধিকারী জিতেছেন রানাঘাট দক্ষিণে, আর বাগদায় জিতেছেন তৃণমূলের মধুপর্ণা ঠাকুর। এর ফলে তৃণমূল কংগ্রেস আরও শক্তিশালী হয়ে উঠেছে, যা এই উপনির্বাচনগুলিতে তাদের জন্য বাড়তি চ্যালেঞ্জের পরিবেশ তৈরি করেছে।
উপসংহার
১৩ নভেম্বরের এই উপনির্বাচন পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হতে চলেছে। ২৩ নভেম্বর ফলাফল প্রকাশিত হবে, যা পরবর্তী লোকসভা নির্বাচনের প্রস্তুতিতে বড় ভূমিকা রাখবে। কালীপুজোর উৎসব মিটতেই ভোটের উত্তাপ বাড়বে, আর রাজ্যজুড়ে এই ৬টি আসনে প্রচার ও রাজনৈতিক কৌশলের লড়াই তুঙ্গে উঠবে।