🚨 লালকেল্লা বিস্ফোরণ তদন্তে নতুন মোড়! হরিয়ানার গ্রাম থেকে উদ্ধার ‘ঘাতক’ উমর নবির দ্বিতীয় গাড়ি, ভিতরে কী লুকিয়ে আছে?

লালকেল্লা বিস্ফোরণ তদন্তে নতুন মোড়!

দিল্লির লালকেল্লার সামনে ভয়াবহ গাড়ি বিস্ফোরণের ঘটনায় ইতিমধ্যেই নড়েচড়ে বসেছে গোটা দেশ। এই ঘটনায় অভিযুক্ত হিসেবে উঠে এসেছে এক নাম — উমর নবি। এবার তদন্তে বড় সাফল্য পেয়েছে পুলিশ। হরিয়ানার খাণ্ডওয়ালি গ্রাম থেকে উদ্ধার হয়েছে উমরের দ্বিতীয় গাড়ি — লাল রঙের ফোর্ড ইকোস্পোর্ট।

সকালের পর থেকেই দিল্লি ও হরিয়ানার বিভিন্ন প্রান্তে তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছিল পুলিশ। অবশেষে এক স্থানীয় বাসিন্দার বাড়ির সামনে গাড়িটি উদ্ধার হয়।
এখন প্রশ্ন—এই গাড়ির ভিতরে কী ছিল, এবং কে বা কারা এত দিন ব্যবহার করছিল?

🚗 গাড়ি উদ্ধার ও রহস্যময় গতিবিধি

উদ্ধার হওয়া গাড়িটির রেজিস্ট্রেশন নম্বর ডিএল১০সিকে০৪৫৮, যা ২০১৭ সালের ২২ নভেম্বর দিল্লির রাজৌরি গার্ডেনে নথিভুক্ত হয়। তদন্তে জানা গেছে, রেজিস্ট্রেশনের সময় উমর নবি ব্যবহার করেছিলেন একটি ভুয়ো ঠিকানা — উত্তর-পূর্ব দিল্লির একটি বাড়ির নাম দেওয়া হয়েছিল, যা তদন্তে পরে মিথ্যা প্রমাণিত হয়।

ঘটনার রাতেই পুলিশ সেই ঠিকানায় অভিযান চালায়, কিন্তু কোনও প্রমাণ মেলেনি।
এখন গোয়েন্দাদের সন্দেহ, এই লাল রঙের ফোর্ড ইকোস্পোর্ট গাড়িটি বিস্ফোরণের পর হরিয়ানায় সরিয়ে আনা হয়েছিল প্রমাণ নষ্ট করার উদ্দেশ্যে।

তদন্তকারীরা মনে করছেন,

“ঘটনার পর কেউ বা কারা এই গাড়ি ব্যবহার করেছে। গাড়ির ভিতরে গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ থাকতে পারে, এমনকি থাকতে পারে বিস্ফোরক পদার্থও।”

🧨 বিস্ফোরক সন্দেহে সতর্ক গোয়েন্দারা

গাড়িটি উদ্ধারের পরই এলাকা ঘিরে ফেলে স্থানীয় পুলিশ।
সতর্কতার সঙ্গে গাড়িটি পরীক্ষা করছে বিস্ফোরক-বিশেষজ্ঞ দল।
প্রাথমিকভাবে গাড়ির ভেতরে কিছু সন্দেহজনক বস্তু পাওয়া গেছে বলে সূত্রের খবর, যদিও তা নিয়ে সরকারি ভাবে এখনও কিছু জানানো হয়নি।

এদিকে, দিল্লি পুলিশ এবং কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলি সিসিটিভি ফুটেজ, টোল বুথ রেকর্ড ও মোবাইল টাওয়ার ডেটা বিশ্লেষণ করে গাড়িটির চলাচল ট্র্যাক করছে। তাদের ধারণা, বিস্ফোরণের পর গাড়িটি রাতারাতি হরিয়ানার গ্রামে আনা হয়েছিল।

⚠️ বিস্ফোরণে মৃত্যু ও মোদীর আশ্বাস

লালকেল্লার সামনের সেই ভয়াবহ বিস্ফোরণে এখনও পর্যন্ত ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে।
আরও ২০ জন গুরুতর আহত, যাঁরা দিল্লির বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
ভুটান সফর শেষে দেশে ফিরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নিজে হাসপাতালে গিয়ে আহতদের সঙ্গে দেখা করেন।

তিনি আশ্বাস দিয়েছেন,

“যাঁরা এই ষড়যন্ত্রের সঙ্গে জড়িত, তাঁদের কাউকেই রেহাই দেওয়া হবে না। অপরাধীরা শাস্তি পাবে, আর দেশ জানবে সত্যিটা।”

🔍 তদন্তে নজরদারি বাড়ানো হচ্ছে

তদন্তকারী সংস্থাগুলি এখন দুই দিকেই নজর দিচ্ছে —
১️⃣ উমর নবির যোগাযোগের সূত্রে সম্ভাব্য সহযোগীরা কে?
২️⃣ দ্বিতীয় গাড়ির সঙ্গে লালকেল্লা বিস্ফোরণের সরাসরি সংযোগ কতটা?

গোয়েন্দারা জানিয়েছেন, উমরের এই গাড়িটি বিস্ফোরণ-পূর্ব প্রস্তুতি বা বিস্ফোরণ-পরবর্তী পালানোর জন্য ব্যবহার করা হতে পারে।
তদন্তে কোনও ঝুঁকি না নিয়ে তারা গাড়িটিকে সিল করে বিশেষ পরীক্ষার জন্য দিল্লি নিয়ে আসছে।

📍শেষ কথা

একদিকে এখনও শোকাহত লালকেল্লা বিস্ফোরণে প্রাণ হারানোদের পরিবার,
অন্যদিকে তদন্তের জালে ক্রমশ ঘিরে আসছে ষড়যন্ত্রের জাল।
উমর নবির এই দ্বিতীয় গাড়ি উদ্ধার নিঃসন্দেহে বড় সাফল্য —
তবে গাড়ির ভিতরে কী লুকিয়ে আছে, সেই উত্তরই এখন গোটা দেশের কৌতূহলের কেন্দ্রবিন্দু।