🚨 “ধৈর্যের সীমা ছাড়াচ্ছে!”: কর্মীদের হুঁশিয়ারি Nothing-র CEO কার্ল পে-র

“ধৈর্যের সীমা ছাড়াচ্ছে!”

নতুন প্রযুক্তি ও আকর্ষণীয় ডিজাইনের জন্য প্রযুক্তিপ্রেমীদের মনে জায়গা করে নেওয়া ব্রিটিশ স্মার্টফোন ব্র্যান্ড Nothing। তবে কোম্পানির ভেতরের পরিবেশ এখন একেবারে শান্ত নয়। সম্প্রতি এক অভ্যন্তরীণ মিটিংয়ে Nothing-এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও CEO কার্ল পে (Carl Pei) কড়া বার্তা দিয়েছেন তাঁর কর্মীদের উদ্দেশে— কাজের প্রতি নিষ্ঠা না দেখালে হতে পারে বড় রদবদল।

“আমার ধৈর্য ফুরিয়ে আসছে”— স্পষ্ট হুঁশিয়ারি কার্লের

প্রযুক্তি সংক্রান্ত সংবাদমাধ্যম TechnoSports-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, একটি অভ্যন্তরীণ আলোচনায় কার্ল পে বলেন:

“আমার ধৈর্য আস্তে আস্তে ফুরিয়ে আসছে। এই ছেলেখেলা আর চলতে পারে না। প্রত্যেককে সচেতন হতে হবে, না হলে কোম্পানি এগোবে না।”

তিনি সরাসরি জানান, কেউ যদি সংস্থার উন্নতির জন্য মন থেকে কাজ না করেন, তাহলে তাঁদের Nothing-এ আর জায়গা হবে না।

কিছু দলের কর্মক্ষমতা নিয়ে অসন্তুষ্ট CEO

বিশেষ করে ডিজাইন, সফটওয়্যার ও মার্কেটিং টিমের কর্মক্ষমতা নিয়ে অসন্তুষ্ট কার্ল। তিনি অভিযোগ করেছেন, এই বিভাগগুলির মধ্যে সমন্বয়ের অভাব রয়েছে এবং অনেক কর্মী যেন শুধু বেতন পাওয়ার জন্যই কাজ করছেন, সৃজনশীলতা ও উদ্যম নেই। তাঁর মতে, এমন মনোভাব থাকলে ভবিষ্যতে সংস্থা আরও বড় চ্যালেঞ্জে পড়বে।

ভারতীয় দলের প্রশংসা

তবে এই তিরস্কারের মধ্যেও কিছু প্রশংসাও করেছেন Nothing-এর CEO। বিশেষভাবে তিনি ভারতের দলের প্রশংসা করেন, যাঁরা অত্যন্ত সক্রিয় এবং দায়বদ্ধতার সঙ্গে কাজ করছেন। তিনি বলেন, “ভারতীয় টিম যা করছে, তা বাকিদের কাছেও দৃষ্টান্ত হওয়া উচিত।”

বড় চ্যালেঞ্জের মুখে Nothing?

Nothing এখনও একটি তরুণ ব্র্যান্ড হলেও, ইতিমধ্যেই তারা Phone (1), Phone (2) এবং সাম্প্রতিক CMF সিরিজের স্মার্টফোন ও অডিও প্রোডাক্ট দিয়ে বাজারে জায়গা করে নিয়েছে। তবে এই সাফল্য ধরে রাখতে গেলে শুধু আকর্ষণীয় ডিজাইন নয়, দক্ষ ও নিবেদিত টিমও অত্যন্ত জরুরি— এমনটাই মনে করেন কার্ল পে।

তাঁর বক্তব্য, ভবিষ্যতের লক্ষ্য অর্জনে কোম্পানির ভিতর থেকেই গতি বাড়াতে হবে। এখন কোনও রকম বিলাসিতা বা আত্মতুষ্টির জায়গা নেই।

কাজের মান নিয়ে বাড়ছে প্রত্যাশা

বর্তমান বাজারে প্রতিযোগিতা অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। OnePlus-এর প্রাক্তন সহ-প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে কার্ল পে জানেন, একটা ছোট ভুলের খেসারত দিতে হতে পারে পুরো ব্র্যান্ডকে। সে কারণেই তিনি শুরু থেকেই Nothing-কে গড়ে তুলতে চেয়েছেন উদ্ভাবনী মানসিকতা ও পারফরম্যান্স ভিত্তিক একটি টিম হিসেবে।

শেষ কথা

কার্ল পে-র এই কড়া বার্তা শুধু Nothing-এর কর্মীদের নয়, বরং প্রযুক্তি সংস্থাগুলির কর্মসংস্কৃতি নিয়েও প্রশ্ন তোলে। উদ্ভাবন আর নান্দনিকতার মিশেলে সফল হতে হলে শুধু ভাবনা নয়, কঠোর পরিশ্রম ও একাগ্রতাও জরুরি।

কোভিডের পর নতুন আতঙ্ক! ফুসফুস-কিডনি-মস্তিষ্কে হানা দিতে পারে এই মারণ ছত্রাক