🔸 রামনবমীর পর এবার হনুমানজয়ন্তী ঘিরেও মিছিলের প্রস্তুতি! রেড রোডে হাঁটার অনুমতির দাবিতে হাই কোর্টে বিজেপি 🔸

রামনবমীর পর এবার হনুমানজয়ন্তী!

রামনবমীর উত্তাপ এখনও পুরোপুরি থামেনি, তার মধ্যেই ফের পথে নামার তোড়জোড় শুরু করেছে বিজেপি। এবার লক্ষ্য—হনুমানজয়ন্তী। দিন ঠিক হয়েছে ১২ এপ্রিল, আর স্থান—কলকাতার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এলাকা রেড রোড।

সেই দিন দুপুর ১টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত রেড রোড জুড়ে ধর্মীয় মিছিলের পরিকল্পনা করেছে বিজেপি। দলীয় নেতৃত্বের দাবি, যথাযথ প্রক্রিয়া মেনে পুলিশের কাছে অনুমতির আবেদন জানানো হলেও তা এখনও মেলেনি। তাই বাধ্য হয়েই তারা দ্বারস্থ হয়েছে কলকাতা হাই কোর্টের।

হাই কোর্ট বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে গ্রহণ করেছে এবং জানিয়ে দিয়েছে, বুধবার বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের বেঞ্চে হবে মামলার শুনানি।

শুভেন্দুর ঘোষণার পরেই উদ্যোগ

দিন কয়েক আগেই বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছিলেন, “রামনবমীর মতোই রাজ্যে এবার **হনুমানজয়ন্তীতেও মিছিল হবে।” সেই ঘোষণার পর থেকেই সংগঠনগত প্রস্তুতি শুরু করে বিজেপি। কিন্তু রেড রোডে মিছিলের অনুমতি না মেলায় তৈরি হয় রাজনৈতিক টানাপড়েন।

বিজেপি শিবিরের অভিযোগ, প্রশাসনের পক্ষ থেকে ইচ্ছাকৃতভাবেই অনুমতি দেওয়া হয়নি। তাঁদের বক্তব্য, মিছিল শান্তিপূর্ণ হবে, ধর্মীয় ভাবাবেগের সঙ্গেই তা জড়িত। তাই এতে বাধা দেওয়ার কোনও যুক্তিসঙ্গত কারণ থাকতে পারে না।

অতীতেও একই পথে বিজেপি

এর আগেও এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল রামনবমীর সময়। তখন হাওড়ায় জোড়া মিছিল করতে চেয়ে আদালতের শরণাপন্ন হয়েছিল বিজেপি। সেই মামলাও বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের এজলাসেই উঠেছিল। তখনও পুলিশের আপত্তির মুখে পড়েছিল বিজেপি। কিন্তু শেষে হাই কোর্ট কিছু শর্তসাপেক্ষে মিছিলের অনুমতি দিয়েছিল।

সেই অভিজ্ঞতা মাথায় রেখেই এবারও বিজেপি আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। তাঁদের যুক্তি, যদি রামনবমীতে অনুমতি পাওয়া যায়, তাহলে হনুমানজয়ন্তী বাদ যাবে কেন?

আদালতের রায়ের দিকে তাকিয়ে রাজনৈতিক মহল

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এই মামলার শুনানি শুধুমাত্র ধর্মীয় কর্মসূচিকে ঘিরে নয়, এর সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে প্রশাসনের ‘নিরপেক্ষতা’ প্রশ্নও। বিশেষ করে, ভোটের মরসুমে ধর্মীয় ইস্যু নিয়ে মিছিলের অনুমতি পাওয়া না-পাওয়া নিয়ে বড় প্রশ্ন উঠে যায় রাজনৈতিক চত্বরেই।

এখন দেখার, হাই কোর্ট কী নির্দেশ দেয়—বিজেপিকে রেড রোডে মিছিলের অনুমতি মিলবে, নাকি প্রশাসনের সিদ্ধান্তই বহাল থাকবে।

সবচেয়ে বড় কথা, রামনবমীর পর হনুমানজয়ন্তী—একটির পর একটি ধর্মীয় উৎসব কেন্দ্র করে রাজ্য রাজনীতিতে বাড়ছে উত্তাপ। এর পরও কি আরও কিছু আসছে? সে উত্তর হয়তো সময়ই দেবে।

পুরুষের ত্বকে ক্যানসারের ঝুঁকি ৫০% বেশি! সানস্ক্রিন মাখছেন ঠিকঠাক?