🔥 লালকেল্লার সামনে বিস্ফোরণ: সন্ত্রাসবাদী হামলাই ঘোষণা করল কেন্দ্র, তদন্তে নয়া মোড়!

🔥 লালকেল্লার সামনে বিস্ফোরণ!

দিল্লির বুকে লালকেল্লার সামনে ভয়াবহ গাড়ি বিস্ফোরণের ঘটনার রহস্য উন্মোচনের পথে তদন্তকারী সংস্থাগুলি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে বুধবার সন্ধ্যায় হওয়া কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়েছে—এটি নিছক দুর্ঘটনা নয়, বরং পরিকল্পিত সন্ত্রাসবাদী হামলা।

🔹 প্রধানমন্ত্রী-মন্ত্রিসভার জরুরি বৈঠক

ভুটান সফর সেরে দেশে ফিরেই প্রধানমন্ত্রী আহতদের দেখতে যান হাসপাতালে। এর পরই তিনি জরুরি মন্ত্রিসভার বৈঠক ডাকেন। বৈঠকে নিহতদের স্মৃতিতে দু’মিনিট নীরবতা পালন করা হয় এবং কেন্দ্রীয় সরকার এই হামলার তীব্র নিন্দা জানায়।
সরকারের তরফে জানানো হয়েছে—

“তদন্তে সর্বোচ্চ পেশাদারিত্ব বজায় রেখে দোষীদের অবিলম্বে আইনের আওতায় আনা হবে।”

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ-সহ শীর্ষ মন্ত্রীরা। প্রধানমন্ত্রী নিজে জানিয়েছেন, এই বিস্ফোরণের নেপথ্যে রয়েছে একটি বড়সড় আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র।

🔹 তদন্তে নতুন দিশা: দুই দিনে চাঞ্চল্যকর অগ্রগতি

মাত্র দুই দিনেই তদন্তে বড় অগ্রগতি হয়েছে। একাধিক সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। উদ্ধার হয়েছে বিস্ফোরণে ব্যবহৃত সাদা হুন্ডাই আই২০-র সঙ্গে যুক্ত অভিযুক্ত উমর উন-নবির আরেকটি লাল রঙের ফোর্ড ইকোস্পোর্ট গাড়ি।
তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, বিস্ফোরণের আগে ওই গাড়িটি রাজধানীর দুই ব্যস্ততম জায়গা—কনট প্লেস ও ময়ূর বিহার—ঘুরে গিয়েছিল। এটি প্রমাণ করে, লালকেল্লা ছিল একমাত্র লক্ষ্য নয়, বরং আরও বড় পরিকল্পনা ছিল হামলাকারীদের।

🔹 উমরের পালানোর ছক?

তদন্তে ইঙ্গিত মিলছে, অভিযুক্ত উমর উন-নবি পালানোর চেষ্টা করছিলেন। কাশ্মীর, ফরিদাবাদ ও সাহারানপুর থেকে তাঁর সহযোগীদের গ্রেফতারের পরই তিনি ভয় পেয়ে যান। তাই প্রমাণ লোপাট করতে গাড়িতেই বিস্ফোরণ ঘটান বলে ধারণা গোয়েন্দাদের।

🔹 ফরিদাবাদের মেডিক্যাল কলেজে চাঞ্চল্য

উমর এবং মুজ়াম্মিল দু’জনই ফরিদাবাদের আল-ফালাহ্‌ মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসক। তাদের বিরুদ্ধে জইশ-ই-মহম্মদের সঙ্গে যোগাযোগের অভিযোগ উঠেছে। কলেজ কর্তৃপক্ষ অবশ্য দাবি করেছে, তারা কোনও সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপে যুক্ত নয় এবং এটি তাদের প্রতিষ্ঠানের বদনাম করার চেষ্টা।

🔹 হাসপাতালে প্রধানমন্ত্রী

বুধবার প্রধানমন্ত্রী মোদী আহতদের দেখতে যান লোকনায়ক জয়প্রকাশ নারায়ণ হাসপাতালে, যেখানে এখনও অন্তত ২০ জন চিকিৎসাধীন। পরিবারগুলির সঙ্গে কথা বলার সময় তিনি বলেন,

“এই ষড়যন্ত্রের শিকড় পর্যন্ত পৌঁছানো হবে। দোষীরা কেউই রেহাই পাবে না।”

🔹 কেন্দ্রের বার্তা

সরকার জানিয়েছে, এই “অর্থহীন হিংসা” ভারতের গণতন্ত্র ও শান্তির ওপর আঘাত। তদন্তে সহযোগিতা করার জন্য বিদেশি দেশগুলির পাশে থাকার বার্তাকেও ধন্যবাদ জানিয়েছে কেন্দ্র।

দিল্লির এই বিস্ফোরণ শুধু একটি শহর নয়, গোটা দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থার জন্য একটি সতর্কবার্তা। এখন চোখ সবার তদন্তের ফলাফলের দিকে—এই ষড়যন্ত্রের আসল মাস্টারমাইন্ড কে, সেই উত্তরই হয়তো বদলে দিতে পারে ভারতের সন্ত্রাসবিরোধী লড়াইয়ের পরবর্তী অধ্যায়।