🔍 “যাঁর এজলাসে মামলার সূচনা, তিনিই এবার চাকরিহারাদের আশার আলো!”

চাকরিহারাদের আশার আলো!

২০২১ সালে হাই কোর্টের তৎকালীন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাস থেকেই এসএসসি দুর্নীতি মামলার বিস্ফোরণ— আর আজ, চাকরি হারানো হাজার হাজার প্রার্থীর মনে সেই এজলাসই যেন একমাত্র আশ্রয়! চাকরিচ্যুত শিক্ষকদের একাংশ এ বার আইনি দিশা খুঁজতে যাচ্ছেন প্রাক্তন বিচারপতি তথা বর্তমান বিজেপি সাংসদ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের কাছে।

মঙ্গলবার দুপুর ৩টেয় তাঁর সঙ্গে বৈঠক করবেন ‘এসএসসি ২০১৬ প্যানেলের বৈধ চাকরিহারা সমাজ’ মঞ্চের প্রতিনিধিরা। এই সিদ্ধান্ত এল এমন এক সময়, যখন সোমবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সামনে দাঁড়িয়ে নিজেদের আট দফা দাবি তুলে ধরেছিলেন অনেক চাকরিহারা। যদিও সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন না অভিজিৎ-সাক্ষাৎপ্রার্থী ওই গোষ্ঠীর সদস্যরা।

আইনি ভরসার খোঁজে…

চাকরিচ্যুতদের বক্তব্য, তাঁরা একজন প্রকৃত ও দক্ষ আইনজ্ঞের দিশা খুঁজছেন। আর এই পরিস্থিতিতে তাঁদের আস্থা রয়েছে সেই মানুষটির উপর, যিনি এক সময় বিচারপতির আসনে বসে বলেছিলেন— ‘‘যদি রাজ্য সরকার নির্ভুলভাবে যোগ্য প্রার্থীদের তালিকা ও ওএমআর শিটগুলোর মিরর ইমেজ প্রকাশ করে, তবে এখনও চাকরি রক্ষা সম্ভব।’’

প্রাক্তন বিচারপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ প্রসঙ্গে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “ওঁরা দেখা করতে চেয়েছেন। নামের তালিকাও পাঠিয়েছেন। আমি সরাসরি আইনজীবীর মতামত দিতে পারব না। তবে পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে দলের নির্দেশ অনুযায়ী তাঁদের সঙ্গে কথা বলব।”

মমতার আশ্বাসে অনিশ্চয়তা, তাই বিকল্প পথ

চাকরি বাতিলের ধাক্কায় বিপর্যস্ত প্রার্থীদের মধ্যে অনেকেই মুখ্যমন্ত্রী মমতার আশ্বাসে পূর্ণ আস্থা রাখতে পারছেন না। যদিও সোমবারের বৈঠকে মমতা জানিয়েছেন, আগে যোগ্যদের সমস্যা সমাধান করা হবে, পরে অযোগ্যদের বিষয়টিও বিবেচনা করা হবে। উপস্থিত ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু, ফিরহাদ হাকিম, অরূপ বিশ্বাসসহ আরও অনেকে।

তবু অনেকের মনে প্রশ্ন— কবে হবে সমাধান? কাদের চাকরি ফেরত মিলবে? এই দোলাচলের মধ্যেই বিকল্প আইনি পরামর্শের সন্ধানে তাঁরা পৌঁছতে চলেছেন সেই মানুষটির দরজায়, যিনি একসময় বলেছিলেন, “যোগ্যদের চাকরি ফিরিয়ে দেওয়া উচিত, নইলে এই প্রজন্মের সঙ্গে অন্যায় হবে।”

মামলার প্রেক্ষাপট

সুপ্রিম কোর্ট ইতিমধ্যেই এসএসসি-র ২০১৬ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল করেছে। চাকরি হারিয়েছেন ২৫,৭৩৫ জন। মঙ্গলবার শীর্ষ আদালত রাজ্য সরকারের অতিরিক্ত শূন্যপদ তৈরির সিদ্ধান্তেও হস্তক্ষেপ করেনি। একইসঙ্গে সিবিআই তদন্তের নির্দেশও খারিজ করেছে প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খন্নার বেঞ্চ।

এই পরিস্থিতিতে, যাঁর হাত ধরে এক সময় এসএসসি মামলার উন্মোচন— তাঁরই কাছে আইনি দিশা খুঁজে চাকরিচ্যুতদের একাংশ। অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়, যিনি আজ বিচারপতির গাউন খুলে রাজনীতির আঙিনায়— সেই অভিজ্ঞতার মিশ্রণে যদি মেলে একটু আলোর রেখা… সেটাই এখন চাকরি হারানো হাজার মানুষের প্রার্থনা।

পুরুষের ত্বকে ক্যানসারের ঝুঁকি ৫০% বেশি! সানস্ক্রিন মাখছেন ঠিকঠাক?