🔍 দিল্লি বিস্ফোরণে নয়া মোড়: পুলওয়ামা-কাণ্ডের মূলচক্রীর স্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ! তদন্তে উঠে এল বিস্ফোরক তথ্য

দিল্লি বিস্ফোরণে নয়া মোড়!

দিল্লির সাম্প্রতিক বিস্ফোরণ এবং ফরিদাবাদ থেকে উদ্ধার হওয়া বিস্ফোরক ঘিরে তদন্ত যত এগোচ্ছে, ততই চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসছে। এবার সন্দেহভাজন চিকিৎসক শাহীন সিদ্দীকীর সঙ্গে সরাসরি যুক্ত হয়ে গেল পুলওয়ামা-কাণ্ডের মূলচক্রী ও জইশ নেতা উমর ফারুকের স্ত্রী আফিরাহ্ বিবি!

এই নতুন তথ্য গোটা তদন্তকে আরও জটিল ও বিপজ্জনক করে তুলেছে।

🧩 কারা কার সঙ্গে যুক্ত?

২০১৯ সালের পুলওয়ামা হামলায় ৪০ জন জওয়ান শহিদ হওয়ার পর এনকাউন্টারে নিহত হয় জইশ জঙ্গি উমর ফারুক। তার স্ত্রী আফিরাহ্ বিবি বর্তমানে জইশের নতুন মহিলা সংগঠন জামাত-উল-মোমিনাত-এর বড় পদে রয়েছেন।

সূত্র জানাচ্ছে—

দিল্লি বিস্ফোরণের কয়েক সপ্তাহ আগে আফিরাহ্ যোগ দেন সংগঠনের উপদেষ্টা পরিষদ ‘শুরা’র একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে।
একই সঙ্গে কাজ করতেন সাদিয়া আজহার, অর্থাৎ জইশ প্রধান মাসুদ আজহারের বোন।
তাঁদের সঙ্গেই নিয়মিত যোগাযোগ ছিল শাহীন সিদ্দীকীর।

তদন্তকারীদের মতে, ভারতে মহিলা সদস্য নিয়োগের দায়িত্ব প্রায় পুরোপুরি শাহীনের হাতেই ছিল।

🔗 শাহীন কী ভাবে যুক্ত?

শাহীন একজন প্রশিক্ষিত চিকিৎসক। কিন্তু তার অতীত জানলে আরও অবাক হতে হয়।
তাঁর প্রাক্তন স্বামী হায়াত জাফর জানিয়েছেন—
২০১২ সালে বিবাহবিচ্ছেদের আগে পর্যন্ত শাহীন ছিলেন একেবারেই উদারপন্থী। কোনও ধর্মীয় চরমপন্থার সঙ্গে তাঁর ভাবনা মিলত না।

কিন্তু পরে কী ভাবে তিনি জইশের মতো জঙ্গিগোষ্ঠীর সঙ্গে যুক্ত হলেন?
কোন পরিস্থিতিতে তাঁর মনোজগতে এই পরিবর্তন এল?
এই প্রশ্নের উত্তর এখনও খুঁজছেন তদন্তকারীরা।

🧨 তদন্তে উঠে আসছে আরও অন্ধকার তথ্য

ফরিদাবাদে যে বিস্ফোরক পাওয়া গেছে, তা নাকি ‘সাপ্লাই লাইন’-এর অংশ। বিভিন্ন সন্দেহভাজনকে জেরা করে জানা গেছে—

শুরা মিটিংয়ে কিছু নতুন পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল।
জইশের ভারতীয় শাখা আরও বিস্তৃত করার লক্ষ্যে নতুন ‘স্লিপার সেল’ তৈরি হচ্ছিল।
শাহীন ছিলেন মহিলা জঙ্গিদের ভারতীয় রিক্রুটমেন্টের অন্যতম মুখ।

এই নেটওয়ার্ককে ভাঙতেই এখন চারদিকে তৎপরতা বাড়ানো হয়েছে।

🚨 কেন এই তথ্য এত গুরুতর?

কারণ—
পুলওয়ামার মূলচক্রীর পরিবারের সঙ্গে সম্পর্ক মানে সরাসরি জইশের টপ লেভেল কমান্ডের সঙ্গে যোগাযোগ।
এই সংযোগ ভারতীয় নিরাপত্তার জন্য ভয়াবহ সংকেত।

তদন্তকারী সংস্থাগুলি মনে করছে,
এই চক্র সক্রিয় থাকলে ভারতের একাধিক রাজ্যে হামলার সম্ভাবনা থেকেই যায়।

📌 শেষ কথা

দিল্লি বিস্ফোরণ কেবল একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। এর সঙ্গে জুড়ে আছে আন্তর্জালিক নেটওয়ার্ক, চরমপন্থী সংগঠন, এবং ভারতের অভ্যন্তরে গোপনে বাড়তে থাকা স্লিপার সেল-কার্যকলাপ।

শাহীন সিদ্দীকী—এক সময়ের উদারপন্থী চিকিৎসক—কী ভাবে এমন এক বিপজ্জনক পথে পা বাড়ালেন, তা জানতে আরও তদন্ত প্রয়োজন।