🐘🐉 “হাতি আর ড্রাগনের নাচ” — ট্রাম্পের শুল্ক-ঝড়ে ভারতকে পাশে চায় চিন!

হাতি আর ড্রাগনের নাচ!

আমেরিকা আর চিনের মধ্যে বাণিজ্য যুদ্ধের আঁচ ছড়িয়ে পড়ছে গোটা বিশ্বে। ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের নতুন শুল্কনীতিতে রীতিমতো চাপে বেজিং। আর এই পরিস্থিতিতে নয়াদিল্লির দিকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিল চিন। চিনা দূতাবাসের মুখপাত্র ইউ জিং স্পষ্টভাবে জানালেন—ভারত ও চিনের এখন একসঙ্গে পথ হাঁটার সময় এসেছে।

🇺🇸 ট্রাম্পের ‘ট্যারিফ টর্নেডো’

মঙ্গলবার ট্রাম্প সরকার ঘোষণা করেছে, কিছু নির্দিষ্ট চিনা পণ্যের উপর অতিরিক্ত ৫০% শুল্ক বসানো হচ্ছে। এর ফলে মোট শুল্ক দাঁড়াচ্ছে ১০৪ শতাংশ। এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে বুধবার থেকেই। স্বভাবতই এই ঘোষণায় ফের চরমে উঠেছে দুই দেশের টানাপোড়েন। প্রতিক্রিয়ায় চিনও জানিয়ে দিয়েছে, তারা সহজে হার মানবে না।

🇨🇳 চিনের বার্তা: একসঙ্গে এগোলে শুল্ক-সঙ্কট জয় সম্ভব

এই শুল্ক-যুদ্ধের প্রেক্ষিতে ইউ জিং তাঁর এক্স (সাবেক টুইটার) পোস্টে লেখেন,

“ভারত ও চিন—এই দুই বৃহত্তম উন্নয়নশীল দেশের এখন একসঙ্গে এগোনো উচিত। এতে শুধু দুই দেশেরই নয়, গোটা অঞ্চলের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় থাকবে।”

তিনি আরও বলেন, চিনের অর্থনীতি এমন এক কাঠামোর উপর দাঁড়িয়ে আছে, যা বিশ্ববাণিজ্যে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। কিন্তু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একতরফা শুল্কনীতির কারণে বহু দেশ উন্নয়নের অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। তাঁর মতে,

“শুল্ক বা বাণিজ্যযুদ্ধে কেউই জয়ী হয় না। সময় এসেছে বহুপাক্ষিক সহযোগিতাকে গুরুত্ব দেওয়ার।”

🐘 হাতি-ড্রাগনের যুগলবন্দি

চিনের এই আহ্বান অবশ্য নতুন নয়। আগেও ট্রাম্পের বাণিজ্য কৌশলের বিরুদ্ধে ভারতের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়তে চেয়েছে বেজিং। চিনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই গত বছর ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদী ও প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের বৈঠকের প্রসঙ্গ টেনে বলেছিলেন—

“হাতি ও ড্রাগনের বন্ধুত্ব দুই দেশের ভবিষ্যতের জন্য মঙ্গলজনক। আমাদের একসঙ্গে নাচতে হবে।”

এই বক্তব্য আবার উঠে এল ইউ জিংয়ের কথাতেও। স্পষ্টতই বোঝা যাচ্ছে, চিন এখন ভারতের পাশে দাঁড়াতে আগ্রহী—বিশেষত আমেরিকার বিরুদ্ধে সম্মিলিত অবস্থান তৈরি করতে।

🤔 নয়াদিল্লি কী ভাবছে?

এই মুহূর্তে মোদী সরকার চিনের প্রস্তাব নিয়ে প্রকাশ্যে কিছু বলেনি। কিন্তু পর্দার আড়ালে কূটনৈতিক স্তরে আলোচনা চলছে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। ভারতের পক্ষে চিনের সঙ্গে হাত মেলানো সহজ সিদ্ধান্ত নয়—গালওয়ান সীমান্ত সংঘর্ষের তিক্ত স্মৃতি এখনো টাটকা।

তবু বাণিজ্যিক স্বার্থ, আমেরিকার একতরফা নীতির বিরুদ্ধে অবস্থান এবং আঞ্চলিক প্রভাবের প্রশ্নে চিনের আহ্বানকে একেবারে খারিজ করাও সহজ হবে না।

সার কথা—বিশ্ব রাজনীতির মঞ্চে এখন হাতি ও ড্রাগনের একসঙ্গে নাচা হবে কি না, সেটাই দেখার। শুল্ক-ঝড় থামাতে দুই শক্তিধর প্রতিবেশীর বন্ধুত্বই কি পাল্টে দেবে খেলা? সময়ই দেবে তার উত্তর। 🌏🤝

পুরুষের ত্বকে ক্যানসারের ঝুঁকি ৫০% বেশি! সানস্ক্রিন মাখছেন ঠিকঠাক?