🏏 কেকেআরের ব্যর্থতার ছায়া: গম্ভীরকে মনে পড়লেও, কোচ পণ্ডিত যেন উধাও!

কেকেআরের ব্যর্থতার ছায়া!

কলকাতা নাইট রাইডার্সের (কেকেআর) এবারের আইপিএল অভিযান বেশ চড়াই-উতরাইয়ে ভরা। ছ’টি ম্যাচের মধ্যে তিনটিতে হারের মুখ দেখেছে তারা। একসময়ের দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের দল এখন পয়েন্ট টেবিলের প্রথম চারের বাইরেই। পরিস্থিতি এমনই যে দলের অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার রমনদীপ সিংহ মুখ খুললেন—আর তার কথায় স্পষ্ট, কেকেআরের ডাগআউটে কেউ একজনকে খুব মিস করছেন তাঁরা। তিনি আর কেউ নন, গৌতম গম্ভীর।

রমনদীপ অকপটে বলেন, “আমরা গম্ভীরের অভাব বোধ করছি। তিনি যে মাইন্ডসেট এবং নেতৃত্ব নিয়ে এসেছিলেন, সেটা খুব কাজে লেগেছিল। এখন ড্রেসিংরুমে তাঁর মতো নেতৃত্বের ছোঁয়া নেই।”

ব্র্যাভো আছেন, কিন্তু কোচের কী খবর?

গম্ভীর না থাকলেও দল এখন ভরসা রাখছে নতুন মেন্টর ডোয়েন ব্র্যাভোর উপর। রমনদীপ জানিয়েছেন, ব্র্যাভো ‘চ্যাম্পিয়ন মেন্টালিটি’ নিয়ে এসেছেন। “সে মাঠে ও মাঠের বাইরে দুটো দিকেই দারুণ সাহায্য করছে,” বলেন তিনি। পাশাপাশি অধিনায়ক শ্রেয়স আয়ার এবং অজিঙ্ক রাহানেকেও প্রশংসায় ভরিয়ে দেন রমনদীপ। রাহানেকে তিনি বলেন “শান্ত ও অনুপ্রেরণাদায়ী”, আর শ্রেয়সকে “আত্মবিশ্বাসী এবং কার্যকর পরিকল্পনাকারী”।

কিন্তু এই প্রশংসার মাঝেও চোখে পড়ে এক অদ্ভুত অনুপস্থিতি—দলের প্রধান কোচ চন্দ্রকান্ত পণ্ডিতের নাম একবারও বলেননি রমনদীপ। স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠছে, তবে কি ড্রেসিংরুমে কোচের ভূমিকা খুব একটা গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচিত হচ্ছে না? নাকি দলেই তিনি হয়ে উঠেছেন ব্রাত্য?

ভয়ডরহীন ক্রিকেট, ঈশ্বরের উপর ভরসা

ফিনিশার হিসেবে দলের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব সামলাচ্ছেন রমনদীপ। ব্যাট হাতে পাঁচ, ছয় কিংবা সাত নম্বরে খেলতে নামলেও তিনি মনেপ্রাণে চাইছেন ম্যাচ উইনার হয়ে উঠতে। “আমি ভয়ডরহীন ক্রিকেট খেলতে চাই। প্রতিটি মুহূর্ত থেকে শিখি। গতবার ভাবিনি জাতীয় দলের হয়ে খেলব, কিন্তু সুযোগ এসেছে। এখন একটাই লক্ষ্য, নিজের সেরাটা দেওয়া,” জানান তিনি।

আগামী চ্যালেঞ্জ: শ্রেয়স বনাম শ্রেয়স!

মঙ্গলবার কেকেআর মুখোমুখি হবে পঞ্জাব কিংসের। মজার বিষয় হলো, পঞ্জাবের অধিনায়ক এখন শ্রেয়স আয়ার—অর্থাৎ কেকেআরেরই একসময়ের অধিনায়ক। ফলে ম্যাচটি নিঃসন্দেহে রোমাঞ্চকর হবে। একদিকে আগের দলের বিরুদ্ধে শ্রেয়সের নেতৃত্ব, অন্যদিকে বর্তমান কেকেআরের হাল ধরেছেন রাহানে।

শেষ কথা:
কেকেআর কি ঘুরে দাঁড়াতে পারবে? মেন্টরদের উপর ভরসা থাকলেও কোচের ভূমিকা নিয়ে অনিশ্চয়তা থাকলে তা কতটা সাহায্য করবে দলকে, তা সময়ই বলবে। তবে একথা নিশ্চিত, গম্ভীরের মতো চরিত্র ড্রেসিংরুমে না থাকাটা নিঃসন্দেহে একটা বড় শূন্যতা তৈরি করেছে।

আপনি চাইলে এটিকে ব্লগ স্টাইলে SEO-অপ্টিমাইজড ১০০০ শব্দে সম্প্রসারিত করেও তৈরি করে দিতে পারি। জানাবেন?

মুর্শিদাবাদে ধীরে ধীরে স্বস্তির হাওয়া, ঘরছাড়াদের ফেরাতে প্রশাসনের বিশেষ উদ্যোগ