🌅 ভোরবেলায় তমন্নার জীবনযাপন: সুস্থতার চাবিকাঠি শৃঙ্খলা ও শরীরচর্চা

ভোরবেলায় তমন্নার জীবনযাপন!

সূর্য ওঠার অনেক আগেই দিন শুরু হয় অভিনেত্রী তমন্না ভাটিয়ার। এই জনপ্রিয় নায়িকা ভোর ৪টেতেই ঘুম থেকে ওঠেন এবং সাড়ে ৪টার মধ্যে শুরু করেন তাঁর দৈনিক ব্যায়াম। তমন্নার মতে, দিনের প্রথম প্রহরে শরীরচর্চা করলে তা শুধু শরীরকে সতেজ রাখে না, মনোযোগও বাড়ায় এবং কাজের প্রতি ইতিবাচক মনোভাব তৈরি করে।

তিনি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করেন, শৃঙ্খলাপূর্ণ জীবনযাপনই দীর্ঘমেয়াদে সুস্থতা এনে দেয়। তাই ব্যস্ত শুটিং শিডিউল বা ক্লান্তিকর দিনেও ব্যায়ামের ক্ষেত্রে তিনি কখনও ছাড় দেন না। প্রতিদিন সকালে এই নিয়মিত রুটিনই তাঁকে সক্রিয় এবং প্রাণবন্ত রাখে।

অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি, দিনের বেলা তমন্না কোনও ধরনের বিশ্রাম বা ছোট্ট পাওয়ার ন্যাপ নেন না। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত তিনি ৮ থেকে ১২ ঘণ্টা টানা কাজ করতে পারেন। তবে রাত নামতেই তিনি তাড়াতাড়ি ঘুমোতে যান এবং সেখানেই পূরণ হয় তাঁর দৈনিক ঘুমের চাহিদা। এই শৃঙ্খলা মেনে চলার ফলে তাঁর দেহের স্বাভাবিক জৈবিক ঘড়ি বা ‘সারকাডিয়ান সাইকেল’ ঠিক থাকে, যা গভীর ও প্রশান্ত ঘুম নিশ্চিত করে।

শরীরচর্চা নিয়ে তমন্না ভাটিয়ার দৃঢ় মতামত: ব্যায়াম শুধু শারীরিক শক্তি দেয় না, মানসিক প্রশান্তিও বজায় রাখে। তাঁর ভাষায়, ‘‘ভোরে ঘুম থেকে উঠলে শরীর স্বাভাবিক ভাবেই হালকা লাগে। আর ব্যায়ামের বিকল্প কিছু নেই। স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস জরুরি হলেও শুধু খাবার দিয়ে সুস্থ থাকা সম্ভব নয়। ব্যায়াম করতেই হবে। আমি শরীরচর্চাকে ভীষণ ভালোবাসি। ভোরবেলার ব্যায়াম শরীরকে সতেজ এবং সজীব করে তোলে।’’

তাঁর এই রুটিন থেকে বোঝা যায়, স্বাস্থ্যকর জীবনের চাবিকাঠি শুধু ভালো খাবার নয়, নিয়মিত শরীরচর্চা এবং শৃঙ্খলাপূর্ণ জীবনযাপন। সূর্যোদয়ের আগে দিন শুরু করলে তা শরীর ও মন—দুটিকেই ভালো রাখে। ব্যস্ত জীবনযাত্রার মাঝেও সুস্থতা ধরে রাখতে চাইলে তমন্নার জীবনযাপন নিঃসন্দেহে অনুপ্রেরণার উদাহরণ।

আপনি কি চান আমি এই লেখাটি আরও সেলিব্রিটি প্রোফাইলের মতো লিখি (কিছু স্টাইলিশ টোনে) নাকি খবরের মতো রাখি?

ইউএস ওপেনের তৃতীয় রাউন্ডে সহজ জয় রাডুকানু ও আজ়ারেঙ্কার