মণীশের ব্যক্তিত্বেই মুগ্ধ সৌরসেনী! বলিউডে কাজের অভিজ্ঞতা জানালেন অভিনেত্রী
বলিউডের দোরগোড়ায় সৌরসেনী মৈত্রের পদচারণা আজ আর নতুন নয়। বাংলায় দীর্ঘদিন অভিনয়ের পরে মুম্বইয়ে তাঁর যাতায়াত বেড়েছে বেশ কিছু বছর ধরেই। সম্প্রতি অভিনেত্রী কাজ করেছেন মণীশ মলহোত্র প্রযোজিত এবং টিসকা চোপড়া পরিচালিত ছবি ‘শালি মহব্বত’-এ, যেখানে রাধিকা আপ্তে, অনুরাগ কাশ্যপ এবং দিব্যেন্দু শর্মার মতো শিল্পীরাও তাঁর সহ-অভিনেতা। ছবির শুটিং থেকেই শুরু হয়েছিল তাঁর আর এক বিশেষ যাত্রা—পোশাকশিল্পী, ডিজাইনার ও এখন প্রযোজক মণীশ মলহোত্রের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ বন্ধুত্ব।
৫ ডিসেম্বর, মণীশ মলহোত্রের জন্মদিনে সৌরসেনী জানালেন তাঁর অভিজ্ঞতা, শিল্পী মলহোত্র নন—মানুষ মণীশ তাঁকে বেশি মুগ্ধ করেছে।
🔶 শুরুটা কোথায়? ‘তাজ’-এ সৌরসেনীকে দেখে মুগ্ধ হন মণীশ
সৌরসেনীর বলিউড ডেবিউ সিরিজ ‘তাজ: রেইন অফ রিভেঞ্জ’-এ তাঁর অভিনয় দেখেই প্রথম নজরে আসে মণীশের। সেই থেকেই শুরু যোগাযোগ। পরে আমন্ত্রণ আসে তাঁর বিখ্যাত ‘দিওয়ালি পার্টি’-তে—যেখানে সাধারণত বলিউডের প্রথম সারির তারকারাই থাকেন অতিথির তালিকায়। সেই তালিকায় জায়গা পেয়ে সৌরসেনী যেমন কৃতজ্ঞ, তেমনই বিস্মিতও হয়েছিলেন।
🔶 মণীশের গুণে কী সবচেয়ে বেশি আকৃষ্ট করল নায়িকাকে?
একজন শিল্পী হিসাবে মণীশ দীর্ঘদিন বলিউডে রাজত্ব করেছেন—শাহরুখ খান, করিনা কাপুর খান, আলিয়া ভাট থেকে শুরু করে প্রায় সব তারকারই প্রিয় ডিজাইনার তিনি। কিন্তু সৌরসেনীর মতে, তাঁর সবচেয়ে বড় পরিচয়—মানুষ হিসাবে তাঁর সরলতা এবং নম্রতা।
নায়িকার কথায়—
“জীবনে এত কিছু অর্জন করার পরও এতটা মাটির মানুষ থাকা খুব কঠিন। প্রত্যেককে সমান গুরুত্ব দেন তিনি। ওঁর দাদা, মা—সবার থেকেই অপরিসীম ভালবাসা পেয়েছি।”
🔶 প্রযোজকের ভূমিকায়ও সমান যত্নশীল
শুটিং চলাকালীন মণীশ প্রতিদিন সেটে থাকতে না পারলেও প্রতিটি শিল্পীর খোঁজ রাখতেন। ফোনে খোঁজ নেওয়া, তাঁদের আরাম-অসুবিধা দেখা—সবই ছিল তাঁর অভ্যাসের অংশ। দেরাদুনে শুটিং শুরুর দিনেই সৌরসেনী পেয়ে যান একটি বিশেষ উপহার—‘নতুন যাত্রায় শুভেচ্ছা’ জানিয়ে প্রযোজকের তরফে পাঠানো ব্যক্তিগত নোট।
ন্যায়িকার কথায়—
“ওঁর অফিসে দাঁড়িয়ে লুকসেট করা—এটা আমার কাছে অবিশ্বাস্য অভিজ্ঞতা। যেখানে রোজ বলিউডের বড় বড় নামেরা আসেন, সেখানে নিজের পোশাক বাছাই করা রীতিমতো স্বপ্ন।”
🔶 মণীশের পারিবারিক মূল্যবোধও মন ছুঁয়েছে অভিনেত্রীর
সাপ্তাহিক পারিবারিক সকালের নাস্তা থেকে শুরু করে বড় পার্টিতে প্রত্যেক অতিথিকে সমান গুরুত্ব দেওয়া—সবই সৌরসেনীর নজরে পড়েছে। তিনি বলেন—
“এত বড় মানুষ হয়েও কাউকে তিনি ভুলে যান না। তাঁর পরিবারও একই রকম আন্তরিক।”
শুটিং শেষে একটি পোশাক নিজের কাছে রেখে দেওয়ার কথা বলে ফেলতেই মণীশ হেসে বলেছেন, “হ্যাঁ, নিয়ে নাও।”
⭐ জন্মদিনে সৌরসেনীর বার্তা
নায়িকার একটাই কামনা—
“মণীশ যেমন আজ, সারাজীবন যেন তেমনই থাকেন—নম্র, ভদ্র, মাটির কাছাকাছি। তাঁর মতো মানুষ বলিউডে বিরল।”
শিল্পীর প্রতি শ্রদ্ধা, বন্ধুর প্রতি ভালোবাসা—দুটোই উঠে এসেছে সৌরসেনীর বার্তায়।

