Friday, February 28, 2025

৯০% ভারতীয়র কাছে বাড়তি খরচের সুযোগ নেই! অর্থনৈতিক বাস্তবতায় চাপে মোদী সরকার

Share

৯০% ভারতীয়র কাছে বাড়তি খরচের সুযোগ নেই!

ভারতে ৯০% মানুষেরই অতিরিক্ত খরচ করার সামর্থ্য নেই— এমনই উদ্বেগজনক তথ্য উঠে এসেছে একটি সাম্প্রতিক অর্থনৈতিক সমীক্ষায়। শুধু তাই নয়, ঋণের ভারে জর্জরিত অধিকাংশ পরিবার, আর সঞ্চয় কমছে লাফিয়ে লাফিয়ে। স্বাভাবিকভাবেই, এই রিপোর্ট মোদী সরকারের অর্থনৈতিক নীতির কার্যকারিতা নিয়ে বড় প্রশ্ন তুলেছে এবং বিরোধীরা সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে কেন্দ্রকে আক্রমণে নামছে।

📉 কেন ৯০% ভারতীয়র বাড়তি খরচের সামর্থ্য নেই?

বৃহস্পতিবার প্রকাশিত ‘ইন্দাস ভ্যালি বার্ষিক রিপোর্ট, ২০২৫’ অনুযায়ী—

🔹 ভারতের সবচেয়ে ধনী ১০% মানুষই অর্থনীতির প্রধান চালিকাশক্তি।
🔹 এই ধনী গোষ্ঠীর সম্পদ ক্রমশ বাড়ছে, কিন্তু তাদের সংখ্যা বাড়ছে না।
🔹 ৩০ কোটি মানুষের আর্থিক অবস্থার উন্নতি হয়েছে, কিন্তু তারা ব্যয় করতে এখনো সতর্ক।
🔹 বাকিরা চরম অর্থনৈতিক চাপে, ঋণের বোঝায় জর্জরিত, সঞ্চয় কমছে।

এ পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষের কেনার সামর্থ্য না থাকায় কম দামি পণ্য ও পরিষেবার চাহিদা কমে যাচ্ছে। ফলে ছোট ও মাঝারি ব্যবসায়ীরা সমস্যায় পড়ছেন, এবং পুরো অর্থনীতিই চাপে।

💸 ঋণের ফাঁদে আটকা ভারতীয় পরিবার

কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশ দাবি করেছেন—
“ভারতের অর্থনীতি কোভিডের ধাক্কা কাটিয়ে উঠলেও তা হয়েছে শুধুমাত্র ঋণের উপর ভিত্তি করে। কিন্তু এখন সেই ঋণের সুদ আকাশছোঁয়া।”

👉 অনেক পরিবার লোন নিয়ে চলতে বাধ্য হচ্ছে।
👉 বাড়তি সুদের বোঝা তাদের আরও বিপদে ফেলছে।
👉 মধ্যবিত্তের সঞ্চয় কমছে, ফলে তারা খরচ কমিয়ে দিচ্ছে।

এই কারণে মহানগরগুলিতে সাধ্যের মধ্যে থাকা ফ্ল্যাটের বিক্রি কমে গেছে, মাঝারি দামের গাড়ির বাজারে ধস নেমেছে, এবং ছোট ব্যবসাগুলো ক্রেতার অভাবে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।

⚠️ মোদী সরকারের অর্থনৈতিক নীতির সমালোচনা

বিরোধী দলগুলো এই রিপোর্টকে কাজে লাগিয়ে মোদী সরকারের অর্থনৈতিক নীতির বিরুদ্ধে আক্রমণ শানাচ্ছে।

🔹 কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে বলেন—
“বিকশিত ভারতের কথা বলে মোদী সরকার সাধারণ মানুষের পকেট ফাঁকা করছে, আর কোটিপতিদের সিন্দুক ভরছে।”

🔹 বিরোধীদের মতে—
✅ সরকারের নীতির কারণে কেবল ধনীদের সম্পদ বাড়ছে, গরিব ও মধ্যবিত্তরা আরও দুর্বল হচ্ছে।
✅ প্রকৃত আয় না বাড়ায় সাধারণ মানুষের অর্থনৈতিক অবস্থা খারাপ হচ্ছে।
✅ সরকার বাস্তব পরিস্থিতি স্বীকার করতে চাইছে না।

📊 সরকার কী বলছে?

প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য শমীকা রবি অবশ্য এই সমীক্ষার তথ্যকে চ্যালেঞ্জ করেছেন। তাঁর মতে—

গত ১০ বছরে ভারতের সবচেয়ে গরিব ২০% মানুষের সম্পদের পরিমাণ উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে।
সমীক্ষার তথ্য যাচাই করা প্রয়োজন, কারণ এটি একতরফা হতে পারে।

📌 তাহলে ভবিষ্যতে কী হবে?

বিশেষজ্ঞদের মতে—
✔️ যদি সাধারণ মানুষের আয় না বাড়ে, তাহলে বাজার আরও দুর্বল হবে।
✔️ ঋণের বোঝা কমানোর জন্য সুদের হার কমানোর উদ্যোগ নিতে হবে।
✔️ মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্তদের জন্য আরও আর্থিক সহায়তার ব্যবস্থা করতে হবে।

বর্তমান পরিস্থিতিতে ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষের জন্য মোদী সরকারের বাজেট খুবই গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে। সরকার যদি সাধারণ মানুষের হাতে আরও অর্থ না তুলে দেয়, তাহলে দেশের সামগ্রিক অর্থনীতি বড় ধাক্কা খেতে পারে।

৬.১ মাত্রার ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল নেপাল, কম্পন অনুভূত শিলিগুড়িতেও! আতঙ্কে রাত কাটালেন বাসিন্দারা

Read more

Local News