৮০৭ দিন পর অবশেষে শতরান বাবরের!
৮০৭ দিনের অপেক্ষার অবসান! ২০২৩ সালের ৩০ অগস্ট নেপালের বিরুদ্ধে এশিয়া কাপে শতরান করার পর বাবর আজম আর তিন অঙ্ক ছুঁতে পারছিলেন না। মাঝের সময়টায় ২০টি অর্ধশতরান এলেও শতরানের দেখা মিলছিল না। অবশেষে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে দ্বিতীয় এক দিনের ম্যাচে বাবর ফিরলেন চেনা ছন্দে—অপরাজিত ১০২ রান, এনে দিলেন পাকিস্তানকে জয়ের স্বস্তি এবং রেকর্ডের পাহাড়।
📊 বাবরের ১০২ রানের ইনিংস—কোন কোন রেকর্ড ভাঙলেন?
| অর্জন | বিবরণ |
|---|---|
| ২০তম ওয়ানডে শতরান | ছুঁয়ে ফেললেন পাকিস্তানের কিংবদন্তি সৈয়দ আনোয়ারকে |
| দ্রুততম ওয়ানডে ২০ শতরান | ১৩৬ ইনিংসে—তালিকায় তৃতীয়, আমলা ও কোহলির পর |
| পাকিস্তানের মাটিতে সর্বোচ্চ শতরান | ৮ম শতরান, টপকে গেলেন মোহাম্মদ ইউসুফকে |
| ৮৪ ইনিংস পর শতরান | ২০২৩ থেকে ২০২৫—সবচেয়ে দীর্ঘ অপেক্ষা কাটালেন |
🏏 ইনিংসটি কেন এত গুরুত্বপূর্ণ?
বাবরের ১১৯ বলে ১০২ রানের ধৈর্যশীল ইনিংস পাকিস্তানের জয়কে সহজ করেছে। ৮টি চার, ০ ছয়—সতর্ক কিন্তু নিশ্চিত ব্যাটিংই ছিল তাঁর ভরসা। নেপালের বিরুদ্ধে শেষ শতরানের পর বারবার অর্ধশতরান পেরিয়েও তিন অঙ্কে যেতে না পারা ছিল তাঁর মানসিক প্রতিবন্ধকতা।
এই ইনিংস তাঁকে ফিরিয়ে দিল কনফিডেন্স, আর পাকিস্তানকেও এনে দিল সিরিজে ২-০ লিড।
শ্রীলঙ্কা প্রথমে ব্যাট করে তুলে ৮ উইকেটে ২৮৮। জানিথ লিয়ানাগে (৫৪), কামিন্দু মেন্ডিস (৪৪) এবং ওয়ানিন্দু হাসরঙ্গা (৩৭*) ভালোই লড়াই দেন। পাকিস্তানের হয়ে আবরার আহমেদ নেন ৩–৪১, আর হ্যারিস রউফ ৩–৬৬।
জবাবে পাকিস্তান ৪৮.২ ওভারে ২ উইকেটে তোলে ২৮৯। বাবরের সঙ্গে বড় ইনিংস খেলেছেন ফখর জামান (৭৮) এবং রিজওয়ান (৫১*)।
🌍 কেন এই ইনিংস বিশ্বক্রিকেটে আলোচনায়?
বাবর ইতিমধ্যেই আধুনিক ক্রিকেটের অন্যতম ধারাবাহিক ব্যাটার। ২০টি শতরানের ক্লাবে এত দ্রুত ঢোকা তাঁর প্রতিভা ও স্থিরতার প্রমাণ।
দ্রুততম ২০টি শতরানের তালিকায় তিনি এখন—
- হাসিম আমলা – ১০৮ ইনিংস
- বিরাট কোহলি – ১৩৩ ইনিংস
- বাবর আজম – ১৩৬ ইনিংস
অফিশিয়াল স্ট্যাটস জানতে ভিজিট করুন ICC-এর ওয়েবসাইট:
🔗 https://www.icc-cricket.com
আর ক্রিকেট বিশ্লেষণ, ব্যাটারদের পরিসংখ্যান ও স্পোর্টস ইনসাইট পেতে ভিজিট করুন:
🔗 https://technosports.co.in (Internal link – retention & SEO)

