সইফ আলি খানের সম্পত্তির ঝলক
বলিউডের অন্যতম ধনী অভিনেতা সইফ আলি খান, যাঁর ব্যক্তিগত সম্পত্তি ও আভিজাত্য তাঁকে আলাদা পরিচিতি দিয়েছে। ২০২৪ সালের রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারতীয় অভিনেতাদের মধ্যে তিনি নবম স্থানে আছেন। তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ ১২০০ কোটিরও বেশি। চলুন, তাঁর জীবনধারা এবং বিশাল সম্পত্তির দিকে একবার নজর দেওয়া যাক।
বিলাসবহুল ফ্ল্যাট, মুম্বইয়ে
মুম্বাইয়ের বান্দ্রার এক অভিজাত অঞ্চলে সইফ আলি খানের ফ্ল্যাটটি অবস্থিত। প্রায় ১০ বছর আগে কেনা এই ফ্ল্যাটের বর্তমান বাজারমূল্য ১০৩ কোটি টাকা। ১২ তলা ভবনের অষ্টম তলায় থাকা এই ফ্ল্যাটে পাঁচটি শোবার ঘর, বড় ছাদ-বারান্দা, একটি সংগীত কক্ষ, এবং একটি জিম ঘর রয়েছে। ছাদে রয়েছে সুসজ্জিত সুইমিং পুল।
ঐতিহাসিক পটৌদী প্যালেস
সইফ আলি খান তাঁর পরিবার-সহ উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত পটৌদী প্যালেসে বাস করেন। প্রাসাদটির বর্তমান বাজারমূল্য প্রায় ৮০০ কোটি টাকা। ১০ একর জমির উপর নির্মিত এই প্রাসাদে প্রায় দেড়শোটি ঘর রয়েছে। প্রতিটি ঘরে নবাবি ছোঁয়া রয়েছে, যা এই বাড়িটিকে রাজপ্রাসাদের মতো করে তুলেছে।
এই ঐতিহাসিক প্যালেসটি নির্মাণ করেছিলেন সইফের ঠাকুরদা, ভারতের প্রাক্তন ক্রিকেটার নবাব ইফতিকার আলি খান। বাড়িটির নকশা করেছিলেন বিখ্যাত স্থপতি রবার্ট টোর রাসেল। নবাব মনসুর আলি খান পটৌদীর আমলে এই প্রাসাদটি একটি হোটেল সংস্থাকে ভাড়া দেওয়া হয়েছিল। তবে, সইফ নিজেই একসময় এটি পুনরায় কিনে নেন, তাঁর অভিনয় থেকে উপার্জিত অর্থ দিয়ে।
বিলাসবহুল গাড়ির সংগ্রহ
সইফ আলি খানের ব্যক্তিগত গ্যারাজে রয়েছে একাধিক বিলাসবহুল গাড়ি। তাঁর সংগ্রহে রয়েছে মার্সিডিজ বেঞ্জ এস৩৫০, যার বাজারমূল্য ১.৭১ কোটি টাকা। এছাড়া অডি কিউ৭ এবং জিপ র্যাংলারের মতো গাড়িও রয়েছে, যেগুলোর দাম যথাক্রমে ৮৫ লক্ষ থেকে ৯৫ লক্ষ এবং ৬২ লক্ষ থেকে ৬৬ লক্ষ টাকা।
বলিউডে আয়
সইফ প্রতি ছবির জন্য ১০ থেকে ১৫ কোটি টাকা পারিশ্রমিক নেন। ২০২৪ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত তেলুগু ছবি ‘দেভারা’-তে শেষবারের মতো বড় পর্দায় দেখা গিয়েছিল তাঁকে। তাঁর এই উপার্জনই তাঁকে এত বড় সম্পত্তির মালিক করেছে।
পটৌদী প্যালেসে শুটিং
এই ঐতিহাসিক প্যালেসটি বহু ছবির শুটিং লোকেশন হিসাবে ব্যবহৃত হয়েছে। বলিউডের পাশাপাশি একটি হলিউডি ছবি, ‘ইট, প্রে, লভ’-এর শুটিংও এখানে হয়েছে। এছাড়া ‘রং দে বসন্তি’, ‘মঙ্গল পাণ্ডে’, ‘বীর জারা’, এবং ‘গান্ধী মাই ফাদার’-এর মতো ছবির দৃশ্যও এখানে শুট করা হয়েছে।
অতীতের প্রতি মমতা
এক পুরনো সাক্ষাৎকারে সইফ জানিয়েছিলেন যে, অতীতের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করা তাঁর পক্ষে সম্ভব নয়। পরিবারের ঐতিহ্য এবং প্রাসাদটি পুনরুদ্ধার করার জন্য তিনি নিজের সঞ্চয়ের অনেকটাই খরচ করেন। এই প্রাসাদটি শুধু একটি বাড়ি নয়, এটি তাঁর পরিবারের ঐতিহ্যের এক অমূল্য স্মারক।
সইফের উত্তরাধিকার ও আভিজাত্য
সইফ আলি খান শুধু বলিউডের একজন প্রতিভাবান অভিনেতা নন; তিনি তাঁর ঐতিহ্য এবং আভিজাত্যের জন্যও পরিচিত। পটৌদীর নবাব পরিবার থেকে উঠে আসা এই অভিনেতা তাঁর সংস্কৃতিকে জীবন্ত রেখেছেন। তাঁর সম্পদ, বাড়ি, এবং গাড়ির সমষ্টি এই আভিজাত্যেরই প্রতিফলন।
অভিনয় এবং উত্তরাধিকারের এই অদ্ভুত মেলবন্ধন সইফকে শুধুমাত্র বলিউডের নয়, ভারতের অন্যতম সম্পদশালী তারকা হিসাবে চিহ্নিত করেছে।
সইফ আলি খান: ৬টা কোপ, শিরদাঁড়ার পাশেই গভীর ক্ষত সইফের, অবস্থা কি আশঙ্কাজনক?