৭০০ কোটির প্রয়োজন হৃতিকের!!
বলিউডের সুপারহিরো বলতে প্রথমেই যার নাম আসে, তিনি হৃতিক রোশন। ‘কোই… মিল গয়া’ দিয়ে যাত্রা শুরু করে ‘কৃশ’ ফ্র্যাঞ্চাইজি আজও দর্শকদের মনে জায়গা করে আছে। কিন্তু এবার সেই ফ্র্যাঞ্চাইজি নতুন সংকটের মুখে! দীর্ঘদিন ধরে আলোচনায় থাকা ‘কৃশ ৪’-এর ভবিষ্যৎ নিয়ে তৈরি হয়েছে অনিশ্চয়তা। কারণ, এই ছবির জন্য প্রয়োজন ৭০০ কোটি টাকা, যা জোগাড় করাই এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
কেন এত টাকা দরকার?
হৃতিক রোশন এখন খুব বেশি ছবি করেন না। প্রায় দুই-তিন বছর অন্তর তাঁকে পর্দায় দেখা যায়। কিন্তু হঠাৎ করেই ৭০০ কোটির প্রয়োজন কেন পড়ল? আসলে, ‘কৃশ ৪’ তৈরি করতে হলে বিশাল বাজেট দরকার। হলিউডের সুপারহিরো ছবিগুলোর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হলে উন্নত প্রযুক্তি, ভিএফএক্স, গ্রাফিক্স ও দুর্দান্ত অ্যাকশন সিকোয়েন্সের প্রয়োজন। এসবের জন্য বিশাল পরিমাণ অর্থ দরকার, যা এখনও নিশ্চিত করতে পারেননি প্রযোজকরা।
কেন পাশে নেই রাকেশ রোশন?
‘কৃশ ৪’ নিয়ে পরিচালক রাকেশ রোশন শুরুতে আশ্বাস দিলেও, এখন তিনি নিজেই পরিচালকের আসন ছাড়তে চাইছেন। তাঁর ইচ্ছা, নতুন প্রজন্মের কোনও পরিচালক ছবিটি পরিচালনা করুক। তবে অনেকেই বলছেন, আসল কারণ ভিন্ন। বাজেট এত বেশি যে, প্রযোজকরাও হাত গুটিয়ে নিয়েছেন। এমনকি ১০০ কোটির ক্লাবে থাকা পরিচালক সিদ্ধার্থ আনন্দের নামও শোনা গিয়েছিল এই ছবির পরিচালকের জন্য। কিন্তু তিনিও পিছিয়ে গেছেন।
বক্স অফিসে অনিশ্চয়তা
২০০৩ সালে ‘কোই… মিল গয়া’ দিয়ে শুরু হয়েছিল এই ফ্র্যাঞ্চাইজি, তারপর ২০০৬ সালে ‘কৃশ’ এবং ২০১৩ সালে ‘কৃশ ৩’ মুক্তি পেয়েছিল। সবক’টি ছবিই ভালো ব্যবসা করেছিল। কিন্তু বর্তমানে পরিস্থিতি পাল্টে গেছে। হলিউডের মার্ভেল ও ডিসি সুপারহিরোদের রাজত্বে বলিউডের একটি সুপারহিরো ছবি কতটা সফল হবে, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে নির্মাতাদের মধ্যেই। ১২ বছরের বিরতির পর এই ছবি দর্শকদের মন জয় করতে পারবে কিনা, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে।
প্রযুক্তি ও আর্থিক সংকট
‘কৃশ ৪’ তৈরি করতে যে ধরনের উন্নত প্রযুক্তির প্রয়োজন, তা বলিউডে এখনও সীমিত। ভারতে ভিএফএক্স ও সিজিআই প্রযুক্তি উন্নত হলেও, হলিউডের মতো মান ধরে রাখতে গেলে বিশাল বিনিয়োগ দরকার। কিন্তু এত বড় বাজেটের ছবি বানিয়ে যদি বক্স অফিসে সফল না হয়, তাহলে প্রযোজকদের বড় ক্ষতি হবে। ফলে, নতুন লগ্নিকারীদের খুঁজে বের করাও কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে।
তাহলে ‘কৃশ ৪’-এর ভবিষ্যৎ কী?
বর্তমানে ‘কৃশ ৪’-এর ভবিষ্যৎ বিশ বাঁও জলে। প্রযোজকরা এখনো নিশ্চিত নন, এই ছবি বানানো উচিত কি না। প্রযুক্তিগত সীমাবদ্ধতা, বিপুল বাজেট ও সুপারহিরো ঘরানার ছবির অনিশ্চিত ভবিষ্যতের কারণে ছবিটি আপাতত থমকে আছে।
হৃতিক রোশন কি শেষ পর্যন্ত ৭০০ কোটি জোগাড় করতে পারবেন? প্রযোজকরা কি ঝুঁকি নিতে রাজি হবেন? নাকি ‘কৃশ ৪’ শুধুই থেকে যাবে এক অসমাপ্ত স্বপ্ন? এখন একটাই প্রশ্ন – বলিউডের এই সুপারহিরো কি সত্যিই ফিরবেন, নাকি হারিয়ে যাবেন হলিউডের সুপারহিরোদের ভিড়ে?
ন’মাস পর পৃথিবীতে ফিরছেন সুনীতা উইলিয়ামস! নাসা জানাল অবতরণের নির্দিষ্ট সময়