৬০০ কেজি নিষিদ্ধ বাজিসমেত ধরা পড়লেন যুবক!
কলকাতার ধর্মতলা এলাকায় কালীপুজো ও দীপাবলির আগেই পুলিশি অভিযান চলাকালীন এক বিপুল পরিমাণ নিষিদ্ধ বাজিসমেত উদ্ধার করা হয়েছে। শনিবার সকালে গোপন সূত্রের খবর পেয়ে ধর্মতলার মেয়ো রোডে হানা দেয় পুলিশ। সেখানে ধরা পড়েন ২৩ বছর বয়সি যুবক মহম্মদ জিশান, যিনি ৬০০ কেজি বাজি বহন করছিলেন।
🔹 ঘটনার বিবরণ
| ধৃতের নাম | বয়স | উদ্ধারকৃত বাজির পরিমাণ | স্থান | উদ্দেশ্য |
|---|---|---|---|---|
| মহম্মদ জিশান | ২৩ | ৬০০ কেজি | ধর্মতলা, মেয়ো রোড | কলকাতা থেকে আসানসোল পৌঁছে দেওয়া |
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ধৃতের কাছে ছিল তিনটি নাইলনের বস্তা এবং ২৫টি বড় বাক্স, যার মধ্যে শেল, কালিপটকা, চকলেট বোমাসহ বিভিন্ন ধরনের নিষিদ্ধ শব্দবাজি রাখা ছিল।
ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, বাজিগুলো কলকাতা থেকে আসানসোল পৌঁছে দেওয়ার পরিকল্পনা ছিল। তাঁর বিরুদ্ধে বাজিসংক্রান্ত আইন এবং ভারতীয় দণ্ডবিধির ৬১(২) ও ২২৩ ধারার অধীনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
🔹 কলকাতায় বাজি উদ্ধার অভিযানের সামগ্রিক তথ্য
| স্থান | বাজি উদ্ধার (কেজি) | ধৃতের সংখ্যা |
|---|---|---|
| জোড়াবাগান থানা | ১০ | ১ |
| তারাতলা | ২৯ + ৩০ | ২ |
| পর্ণশ্রী | ১০৩ | ১ |
| মোট (১০-১৭ অক্টোবর) | ৪৫৬৭.১৮ | ১৫ |
কলকাতার বিভিন্ন থানায় ৪৩টি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, আগামী দিনগুলোতেও নিষিদ্ধ বাজি রোধে অভিযান অব্যাহত থাকবে।
🔹 আইনগত প্রেক্ষাপট
নিষিদ্ধ বাজি এবং অতিস্বনক প্রবণ বাজি বিক্রি রোধে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী কঠোর অবস্থান নিয়েছে। ভারতীয় দণ্ডবিধি ৬১(২) ও ২২৩ ধারা অনুযায়ী, বেআইনি বাজি রাখার ও বিক্রির শাস্তি গুরুতর।
🔹 সতর্কবার্তা
- বাজির ব্যবহার ও বিক্রি আইনত দণ্ডনীয়।
- শারীরিক এবং অগ্নি ঝুঁকি থাকায় আবাসন ও জনবহুল এলাকায় বাজি ব্যবহার করা উচিত নয়।
- কালীপুজো ও দীপাবলির সময় সরকারি তল্লাশি ও নজরদারি বাড়ানো হয়।
🔗 আরও পড়ুন
- শ্রীলেখা মিত্রের প্রতিবাদে বহুতলে বাজি বিক্রি থামাতে পারল কি?
- কলকাতায় ৪৫৬৭ কেজি বাজি বাজেয়াপ্ত, পুলিশি অভিযান জোরদার
- Indian Penal Code: Section 61(2) & 223
উপসংহার:
ধর্মতলায় ধৃত যুবক ও অন্যান্য বাজি ব্যবসায়ীদের গ্রেফতারের মাধ্যমে পুলিশ নিষিদ্ধ বাজির প্রবাহ রোধে সতর্ক বার্তা দিয়েছে। কালীপুজো ও দীপাবলির আনন্দ নিরাপদে উপভোগ করতে, জনসাধারণকে বৈধ এবং নিরাপদ উৎস থেকে বাজি ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

